Saturday 1 October 2016

নিষিদ্ধ ফল?

নিষিদ্ধ ফল? 

ঝিলম নদীর হাঁটুজলে হরিবাবুর
তৃতীয় প্রজন্ম, পাহাড় পাহাড়ে
উদিত দিবাকরের আলোর আল্পনা,
ঝিলমের জলের স্বচ্ছতোয়া ঢেউয়ে
স্বর্ণালি স্পন্দন, ‘ওঁ জবাকুসুমং
শঙ্কাসং কাশ্যপেয়ং.........
প্রণতস্মি দিবাকরম.........।’
প্রকৃষ্ট বাগানে ঝিলমের শীতল হাওয়ার
প্রতীতি। প্রচিত বাগানে
আপেল আখরোট ফলের বৃক্ষরাশি।
ছিল কালো কালো ‘কুচ’ ফল,
ওএক, পাইন গাছের অবাধ্য আস্ফালন।
গোত্তা খেয়ে একটা ঘুড়ি মগডালে—
হাওয়ায় আহত পাখির মত ঝুলছে।
ঘুড়ির দু’পাশে দু’টো ক্লান্ত চোখ,
একটা চোখে কেউ ছররা ইট দিয়ে আঘাত করেছে।
মসজিদের আজান শুনতে শুনতে ওরা আসছিল,
কেউ একজন বলল, ‘প্রভু কে তুমি?
কেন নিষিদ্ধ ফল দিলে?
সাত সাতটা দশক হাঁটছি, প্রভু কে তুমি?
কেন মানবতা কেড়ে নিলে?’  
তমাল বৃক্ষের নীচে দাঁড়িয়ে তমস্বিনী
মহাকাল থমকে আছে।
আরও একজন বলল, ‘প্রভু আমি, আমরা
ফিরিয়ে দিতে চাই ছেঁড়া তমসুক।’
লোকগুলির পাশ দিয়ে তখন এক-দু’ই
করে ভারী ভারী বুটের আওয়াজ।
ওরা ‘কফিন’ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে,
একটা-দু’টো নয়, চারটে পাঁচটা নয়—
সতেরো, আঠারো............
দিবাকর পশ্চিম দিগন্তে আগামীর ভোরের পথে,
বিশ বছরের সাদিক বোঝদার নাগরিক যেন,
চেনা ভাষায় আবৃত্তি করল, ‘আগ চারো তরফ
দহকতি হ্যায়, জীনা ইস বীচ কিতনা
মুশকিল হ্যায়, ফিরভি জাঁবাজ
খেল লেতে হ্যাঁয়।’
আর বিষফল নয় প্রভু.........
আপনি শুনতে পেলেন?  
স্বর্গ নয়, সমাজ দাও প্রভু সমাজ, নাগরিক সমাজ।
   

            

No comments:

Post a Comment