Sunday 27 December 2015

আজকের সিপিএম

প্রথমেই জানাই আমি গণতান্ত্রিক ভারত নামক একটি দেশের বৈধ নাগ্রিক হিসাবে এই লেখার অবতারণা যেমন করছি। পাশাপাশি একজন প্রতিবেদকের অবস্থান থেকে কিছু কথা ব্লার চেষ্টা করব। তবু নিজের সঙ্গে আগে যুঝে নেওয়ার কথা বলতেই হয়। কারণ অপ্রয়োজনীয় কিছু আশঙ্কার 'দিকচিহ্নের' একাধিক স্মারক আমাদের সাম্নে রয়েছে। বর্তমান আরথসামাজিক সবঅবস্থান থেকে কেউ ফোন করবে অথবা বাড়ি এসে কথা বলবে এই দুঃসাহস দুর্বল 'সিপিএম' এর জামানাতেও কেউ আছে বলে মনে হয় না। বিশেষত আমার মত একজন বহু কথিত 'হীনব্ল' (আরথিক এবং সামাজিক) এবং 'দেগে' দেওয়া মানুষের সঙ্গে কে কথা বলবে?এখন স্মভবত সবাই জানে বামপন্থীদের এক্মাত্র 'অগ্রগামী' প্রধান দল হিসাবে 'সিপিএমের' অনুশাস্ন। আমি বাক্তিগতভাবে দলের রাজ্য কমিটির প্রধান পুরোহিতদের দ্বারা গত কয়েক দশক নিষিদধ ছিলাম। সেই উদবেগ থেকই বলছি। এটাই সম্ভবত রেজিমেন্টশেস্ন ছিল।
এত সীমাব্ধতার মধেও দু-একজন দাবি নিয়েই হাজির হয়েছে 'সিপিএম' নিয়ে কিছু লেখার জন্য। আমার যোগ্যতা কতটা আছে সেই দুঃসাহসিক প্রল্মবিত পৌণপুনিক সবম্ভাষণ মানুষ করবে বলেই জানি। এই লেখায় কোনও অসীমায়িত তাতবিক দায়িত্ব নেওয়ার দুঃসাহসে যাব না। ১৯৬৪ সালে গঠিত 'যুক্তি-তক্কঅ-গপ্পের' একটি ভারতীয় ধারায় 'ভুল এবং ঠিকের' দাবি নিয়ে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। তারাজুতে আজ ত্তব আর বাস্তবের মানদনড। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ নামক একটি রাজ্যে সিপিএমের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের পতন হ্ল। তখন আমরা শুনছিলাম সিপিএম ভেঙে দুটো দল হবে। একটির নেতৃত্বে থাকবেন কমরেড পরকাশ কারাত। সেটি আধুনিক গণতান্ত্রিক সিপিএম। পরেরটি কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে বিপ্লবী সিপিএম। দীর্ঘ টানা পোড়নের প্র দেখা গেল কমরেড কারাত, কমরেড ইয়েচুরি, বর্ষীয়ান কমরেড অচযুতান্নদ এবং আরও ক্যেকজন গণতান্ত্রিক সিপিএম নেতার উদযগে দলটির ভাঙ্গন রোখা সম্ভব হয়েছে।
এই প্লেনামে নিশ্চ্য সশ্ত্র বিপ্লবের খসড়া তৈরি হবেনা। জনণতান্ত্রিক বিপ্লব না সংসদীয় গণতন্ত্র? এই শিরোনাম সাম্নে রেখে ভারতের মানুষের আশু প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। লক্ষ লক্ষ বেকারের চাকরি, শিল্পের প্রসার তথা বৃহত এবং 'এসএমই' শিল্পের বিকাশের জনয সামাজিক আন্দোলন নতুন সিপিএমকে চিনতে সাহায্য করবে আশা করি। দেশের প্রাথিমিক শিক্ষা এবং সবাস্থ নিয়ে কি দল রাজনৈতিক ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে?  
আমার ব্যক্তিগত অভিঞ্জতা থেকে প্রথমেই বলব, গত চল্লিশ বছরের যে 'পাওয়া এবং পাইয়ে' দেওয়া সংস্কৃতি দলের ক্যাডাররা উপভোগ করেছেন সেটা পুন্রমূলযাণ করা প্রয়োজন। যদিও কেরল, তেলেঞ্জনা সহ কয়েকটি রাজ্য 'হোলটাইমারদের' বেত্ন এবং পেনশ্নের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া প্রয়োজন। সব রাজ্যের জন্য। তবে সম্ভবত নীচের স্ত্রে দুর্নীতির ঝোঁক কমতে পারে। নীচের স্ত্রের ক্রমীদের 'ব্যবহার'-এ আশু পরিবর্তন প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করব কমরেড জযোতি বসু এবং কমরেড অনিল বিশবাসের কথা।
২০০২ সালে একটি কেব্ল চযানেলের হয়ে কমরেড বসুর সাক্ষাতকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল, তখন আমি জানতে চেয়েছিলাম কলকাতা থেকে হোসিয়ারি শিল্প চলে গেল কেন? তাঁত এবং রেশ্ম শিল্পের এই দৈনয      দশা কেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'এই দুটি বিষয়ে আমাদের নতুন করে নজর দেওয়া দ্রকার।' কমরেড অনিল বিশ্বাস অকপটে কয়েকটি বিষয়ে ভুল সবীকার করে বলেছিলেন, 'আমি এসব জানতাম না। মেনে নিচ্ছি আমাদের ভুল হয়েছে।' তিনি আরও বলেছিলেন, আমরা 'আত্ম স্মলোচনা করতে ভুলে গেছি।'
আমার মনে হয় আমি কি বলতে চাইছি বোঝাতে পেরেছি। পুরনো পরবাদ মনে করে 'কোন কালে ঘি দিয়ে ভাত খেয়েছি আর দই দিয়ে হাত ধুয়েছি' এই অহংকার থেকে দল্কে বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশের বহু বর্ণের সংস্কৃতি এবং জাতের যে সমন্বয় আমরা পেয়েছি ভারতের কংগ্রেস সহ অনানয গ্ণতানত্রিক শক্তির সঙ্গে পা মেলানোর দায়িত্ব নিতে হবে 'সংসদীয় গ্ণত্নত্রের' মঞ্চ থেকে। সমালোচনা, তর্ক, বিতর্ক মেনে নেওয়ার মত পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্বও নতুন সিপিএমের নেতৃত্বকে ভাবতে হবে। তথাকথিত সাম্নত্রতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে স্মালোচনা করতে না পারলে বৃহত্তর ময়দানে দুরব্লতা ধ্রা পড়ে যাবে।            ৎ             

Tuesday 8 December 2015

বাউল্মন

কিছুদিনের জন্য মাত্র এক দশক হবে হয়ত! এই এক দশকের পরম্পরায় যারা চাঁদ সদাগরের নৌবহর থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিল তাঁরা কি জান্ত? এই প্রজন্মের একজন লক্ষ্মীন্দর আধুনিক হয়েছিল জয়দেবের অজয়ের নদে। মকড় সংক্রান্তির বালুচরে। লক্ষ্মীন্দরের বাসরে ছিদ্র করে দিলেও সরস্বতীর আশীর্বাদ আউল- বাউল চিনিয়ে দিল। ফিরে পেলাম বিদযার বাণিজয তরী। সাহিতয- সংসকৃতির ময়দানে বিশাল-বিপুল সাগ্রে ভাসতে ভাসতে কানে এসেছিল, ''আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান/ প্রাণেরও আশা ছেড়ে সপেছি প্রাণ।'' কতবার বহর-নৌবহর থেকে তোমরা নামিয়ে দিলে। নামিয়ে দিচছ। এসব নকল নিয়মের আঁকি-বুকি! কে ভালো কে মন্দ সব বোঝা যায়। বোঝা যায় বাউলের আখড়ায়। তোমাদের মুচকি হাসি দেখ। দেখ দেখ। দেখতে পাচছ? কৃতিরমতায়। মানবিক-অমানবিক অভিন্যে। আজ তোমরা অন্তর-বাইরে ক্লান্ত। আমার পৃথিবী সারস্বত প্রাথনায় 'জয়দেব মেলা' তে শিশির ভেজা ধুলো উড়িতে আমায় ডাকছে। নলহাটির 'শ্যামচাঁদের মেলা' কেও স্মৃতির কোঠাঘর থেকে, চিলে কোঠা থেকে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে। ৩৯ বছরের ব্যর্থ উথথান, সফল পতন দেখতে দেখতে দীর্ঘ এক মানবতার কযানভাস থেকে আবার ফিরে যাই জয়দেবের মেলায়। আউল-বাউলের মেলায় ১০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের রসগোল্লা। দড়িতে ঝুলছে। বড় বড় জিলেপি। গাঁ-গঞ্জের জোয়ান মরদদের জন্য। মেয়ে-বিবিরাও সব হজম করে ফেলতে পারে। সস্তার রঙ দেওয়া বিভিন্ন রসের মিঠাই। একটার প্র একটা দুকানে বিকছছে।
সঙ্গে থাকে সিদ্দি, গাঁজা, ভান,। আহা বড় শীতের সংক্রান্তি। মাঘের ৬-৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার শিশির ভেজা রাত। অচেনা নারী পুরুষের ওম। এই আখড়া ওই আখড়া। খড়ের বিছানা। কলান্ত শরীর। দেহের সমস্ত আদ্রতা শুষে নিয়েছে ভেজা চাঁদের আদ্র। গায়ের চামড়ার সাদাটে আঁচর জানান দিচ্ছে। তুমি জয়দেব মেলায় এসেছ।
হযা জয়দেব মেলা। তখন বেসরকারি ভাবে চলত। পাঁচড়া গ্রামে আমার বড়দির বাড়ি। আমার বড় প্রিয় দিদি ছিলেন তিনি। আর ছিলেন আমার রসিক জামাইবাবু। দুজনেই এখন ছিলেন হয়ে গেছেন। এই দিদি-জামাইবাবু আমার সব হাত খরচ দিতেন। কেন্দুলির মেলায় যাবার জন্য। পাঁচড়া থেকে দুব্রাজপুর হয়ে কেন্দুলির মেলা। আবার 'ক্লাখোলার' মেলা নামেও পরিচিত ছিল একটা সময়। চন্দননগর তথা হুগলী থেকে ৩০০-৪০০ কলা ব্যাপারীরা আসত। অজয়ের চোরাস্রোত জলে মকড় সংক্রান্তির স্নান সেরে জয়দেবের মন্দিরে ভক্তজনের ভিড়। স্কাল থেকেই মাঘের নরম রোদ গায়ে মেখে মেলার গৌরচন্দ্রিকা সেরে ফেলা যায়। তবু আশির দশক থেকে মেলার আউল-বাউলের উচ্চকিত আয়োজন। ওই আশির দশক থেকেই ,বাউল-ফকিরদের আদিমতা যথার্থ অরথে বললে সাধক বাউলদের আমরা চিনতে ভুলে গেলাম। আশির দশকে মনে পড়ছে কোঁকড়ানো চুলের এক রোগা দোহারা চেহারার বাউল এ আখড়া থেকে সে আখড়া গেয়ে বেড়াচ্ছে। 'খেজুর গাছে হাঁড়ি......।'' পবন্দাস বাউল। পবনের সঙ্গে শহর সভ্যতার একদল যুবক। জিন্সের চোঙ্গা প্যান্ট, গায়ে দামি পাঞ্জাবি, কাঁধে চামড়ার বযাগ্, মুখে গাঁজা ভরা সিগারেট নিয়ে কলকাতার একদল রাগী যুবক বযস্ত। বর্তমানে লব্ধ প্রতিসঠিত এক সাহিতিযক এই দলের নেতা ছিলেন। তখনও জয়দেব মেলা চিরন্তন বৈষ্ণব আখড়ার ঐতিহয নিয়ে চলতে চাইছে। বীরভূমের হারিয়ে যাওয়া দীপেন ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭৯ সালে 'চনডীদাস' পত্রিকায় লিখছে, ''.........আউল-বাউলদের নিয়ে এই কেন্দুলি মেলা বিখযাত। কিন্তু সেই প্রাচীন ঐতিহযম্নডিত এই মেলা বর্তমানে আধুনিকতায় প্রিপূরণ। মেলায় এসে প্রথমটায় হতাশ হলেও পরে ঠাকুর হরিদাস আশ্রমে 'বীরভূম সাহিতয পরিষদে'র সভায় অংশ নিতে পেরে মনটা তৃপ্ত হ্ল। ঐতিহযের কিছুটা ইঙ্গিত পেলাম।'' আবার ১৯৮৭ সালে 'দৈনিক বসুমতি' পত্রিকার প্রতিনিধি হয়ে ১৯ জানুয়ারি প্রতিবেদনে লিখলাম, ''......জেলা শাস্ক শুভেন্দু রায়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম 'বাউল মঞ্চে' বসে। তখন বেলা পৌনে চারটা। শুভেন্দু রায় বললেন, .........সরকারের পরিচালনায় মেলা সাত বছর চলছে। .........আর একটা অসুবিধা মেলার রাস্তা নিয়ে।''
আশা করা যায় মেলা আরও আধুনিক হয়েছে। প্রিকাঠামোও নিশ্চ্যই উন্নত হয়েছে। রাজ্য তথা জেলার হাত ধরে। আমরা জানি জ্যদেব-কেন্দুলি মেলার আদিরস বাউল-ফকিরের গানে। গ্রামীণ সভ্যতার বাঁধন একদা নির্ভর করত বৈষ্ণব পদাব্লীর চ্রণে।
নিরন্ন ঘর থেকে বা 'চাল বাড়ন্ত ঘর থেকে' জনপদের বাউল-ফকিররা পদব্রজে এক সাঁই থেকে অন্য সাঁইয়ের  আশ্রয়ে নাম লেখাত। তাইতে কি ওই সব অমর গান আজও প্রচলিত? আজও মন ছুটে যায় লাল মাটির রুক্ষতার ওম নিতে। শ্রদধেয় সুধীর চক্রবর্তী সম্পাদিত 'ধুরবপদ' বার্ষিক সংকলন ১৯৯৭ সংখ্যায় রমাকান্ত চক্রবর্তী তাঁর প্রবন্ধে লিখছেন, ''......ব্রাহ্মণরাও বাউলদের খোঁজ রাখেননি। .........কিন্তু ব্রাহ্মণরা কিছুতেই আউল বাউল সহজিয়া অঘোরীদের ধর্ম সাধনাকে সবীকৃতি দিলেন না।'' তিনি আরও লিখছেন, ''আধুনিক গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে, বাউল্রা নানা কারণে ব্রাহ্মণ্য সংসকৃতি মানেন্নি। কিন্তু তাঁরাও তো অত্যন্ত রক্ষণশীল। বাউল গুরুরা রক্ষণশীল। বাউল-ধ্রমের প্রচলিত ঐতিহয থেকে এক পাও তাঁরা সরে আসতে চান না। ছোটখাট মতবিরোধ স্তবেও বাউলদের ধ্রমাভযাসের একটা সাধারণ রুপ আছে। এই সাধারণ রুপের কোনও পরিবর্তন করা চলেনা। বাউলদের এইরুপ রক্ষণশীলতা সম্বন্ধে বৈচারিক মূলযায়ন করা হয় না।''                                        

Friday 4 December 2015

পাথ্রচাপুড়ি

আমি বীরভূমের লোক। ধানের শীষ ছুঁয়ে ছুঁয়ে জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। উত্তর থেকে দক্ষিণ। কত সব পোষ-পাবনের মেলা। ধর্ম, জাত, সংস্কার সব মিলে মিশে একাকার। নামে ফাটে বা নামে কাটে 'শান্তিনিকেত্ন', 'জয়দেব মেলা'। কিন্তু নামের ভীড়েও আলাদা করে চিনে নিতে হয়। রুখম লাল পাথরের আলখাল্লার মধযেই। এক শান্ত দাতা সাহেবের মাজার। আমরা আশির দশকে যেতাম।  মেলার সময় যেমন যেতে ভালো লাগত। অন্য সময়েও রাজনগর যাওয়া-আসার পথে টুপ করে নেমে পড়তাম।
'পাথ্রচাপুড়ির মেলা' কথ্য ভাষায় হয়েছে 'পাথ্রচাপড়ির মেলা'। বীরভূম জেলার সদর শহ্র সিউড়ি থেকে ১২ কিমি, দূরতব। বাসে চেপে যেতে হবে। একজন মুস্লিম স্নত তিনি। নাম শাহ মেহবুব। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে 'দাতা সাহেব' নামে পরিচিত। দাতাবাবার মাজারের ছাই বযবহার করলে মানুষের বহু দুরারোগ্য বযধি ভালো হয়ে যায়। এমনটাই লোকমত বিশ্বাস। যতদূর জানা যাচ্ছে 'দাতা সাহেবের' মৃত্যু হয়েছিল ১০ই চৈত্র, ১২৯৮ সালে (বাংলা ক্যালেন্ডার)। এই চৈত্র মাসেই 'পাথ্রচাপুড়ির' মেলা হয়। প্রায় এক লাখ লোকের সমাগম হয়। শুধু বীরভূম জেলা নয় ভারত তথা ভারতীয় উপ-মহাদেশ থেকেও ভক্ত্রা আসেন এই মেলায়। এ ছাড়া বছরের সারা মাস ভকতদের ভিড় হয়েই থাকে। ১৯৯৮ সালে খান বাহাদুর পাথ্রচআপুড়ি মাজার প্রিচালন কমিটির প্রথম সভাপতি নিরবাচিত হ্ন। জেলার প্রথম জেলা শাস্ক জে সি দত্ত এই কমিটি গঠন করেন। চৈত্র মাসের প্রখ্র দাব দাহের মধযেও সব ধর্মের মানুষ এই মেলায় হাজির থাকেন। প্রাঙ মুখো রামধনু মেঘেদের 'আউল-বাউলের' মাটি মেখে সব ঘুরে বেড়ায়।
বীরভূমের এই অঞ্চলটিকে নিয়ে আলাদা করে 'পর্যটনের' কথা ভাবতে পারে রাজ্য সরকার। কারণ 'ছোট-নাগপুরের' পাহাড়ি অঞ্চল। পাহাড়ি উপত্যকা। সাওতাল পরগণা জেলার সীমান্তে।  আপন খেয়ালে প্রাচীন বৃক্ষদের অনুশাসনের আদিমতায় প্রকৃতি হাসছে। আদিবাসিদের নীম তেলের মতই আলাদা করে চিনে নেওয়া যায়। আহবান করছে আমাদের। 'বাধ্না' পরবের 'ধামসা-মাদলের' ছন্দে ছন্দে 'রাজাদের' গ্রাম 'রাজনগর' কে কেন্দ্র করে এই পর্যটন ভাবা যেতে পারে।
গ্রামীন সংসকৃতিকে বিষয় ভেবে নিলে কিছু প্রথাগত ধযান ধারণা খুঁজে পাওয়া যায়। সেটাই কি লোক-সংসকৃতি? যা অনযভাবে বল্লে হয় লোকের জন্য সংসকৃতি। পাথ্রচাপুড়ির 'দাতা সাহেবের' মাজারে চাদর চাপানো থেকেই লোকসমাজের উদার সংসকৃতি আমাদের চিনতে অসুবিধা হয় না।        

Sunday 29 November 2015

'আলিবাবা'-চিরন্তন

বাংলায় উল্লেখযোগ্য 'রুপকাথা' আর তেম্ন লেখা হছে কি? প্রশ্নটা তুলছি। কারণ আমার পাঠ সীমাবদ্ধতার জন্য কোনও স্মদ্রশী সিধান্তে উপ্নীত হওয়া ব্যক্তিগত পরিহাস হয়ে যেতে পারে। 'তেপান্তরের রুপকথা' ব্লতে আমরা ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদযা বিনোদের 'আলিবাবা' বা 'আরিবিয়ান নাইটস ফ্যান্টাসি' পড়েছি। পরে বাংলা ভাষায় তৈরি 'ম্রজিনা আব্দল্লা' সিনেমাও দেখেছি। হিন্দিতেও 'আলিবাবা চাল্লিশ চোর' ছবি আমরা পেয়েছি। কিন্তু এই বিষয়ের উপ্র পুরনাঙ্গ একটি নাটক? হযা। একটি আন্তর্জাতিক সবেচছাসেবি সংস্থার আমন্ত্রণে শ্নিবার স্নধযেয় দেখে এলাম 'আলিবাবা' নাটক। তারিফ করতে হয় মুম্বাইয়ের নাট্যগোষঠীকে। 'আন্নদ্ম' নাট্য গোষঠীর 'আলিবাবা' নাটকটির প্রিচাল্ক লাকি মুখারজীকে ধন্যবাদ। 'ক্লপ-বিঞ্জানের' যুগে তথা 'তথ্য-প্রযুক্তির' আধুনিক্তাকে সমানে পাল্লা দিয়ে প্রিচাল্ক এমন একটি উপস্থাপনা আমাদের উপহার দিতে পেরেছেন সাফ্লযের সঙ্গে।
নাটকের শুরুতেই ম্রজিনা-আব্দল্লা কে দেখে আমার পিছনের আস্ন থেকে একটি কম বয়সী ছেলে বলে উঠল, 'বাবা  I know them'. এখানেই সাফ্লয। আবার ওই ছেলেটি গুহায় মানুষের হাড়, মড়ার খুলি দেখতে না পেয়ে বলে উঠল, 'ও বাবা হাড় কোথায়? মড়ার খুলিও যে নেই।' আমার প্রশ্ন মঞ্চের মেঝেয় 'কাগজের' বা 'হার্ড বোর্ডের' তৈরি হাড়, মড়ার খুলি রাখা যেত না? ডিটেলিং এ আরও কিছুটা যত্ন নেওয়া কি সম্ভব নয়? তবুও নাটকটির আরও মঞ্চায়ন প্রয়োজন। এই প্রজন্মের বাঙ্গালির হারিয়ে যাওয়া শৈশব, কৈশোর কে ফিরিয়ে আনতে। সুদূর মুম্বাই থেকে এসে এত বড় একটি প্রযোজনা করা স্তযিই যথেষ্ট কষ্টার্জিত আশ্রমিক।
অভিনয় নিয়ে আমি কিছু ব্লার অধিকার অরজন করিনি। তবুও বলব আব্দল্লা চ্রিত্রে লাকি মুখারজী এবং ম্রজিনা চ্রিত্রে পৌল্মী চক্রবর্তী সব-মাত্রায় দর্শকের অভিন্নদন দাবি করতে পারে। আবার ফতিমা বিবি চ্রিত্রে মুনমুন চ্যাটারজী এবং সাকিনা বিবি চ্রিত্রে সবাতী চযাটারজী ততকালের একটি মুস্লিম সমাজের যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন নিজদের সামগ্রীক্তায়।
'রূপকথা' কেন্দ্রিক এইসব নাটকে (যেমন ঠাকুরমার ঝুলি) আলো, সঙ্গীত এবং আবহ সঙ্গীত বিশেষতব প্রয়োজন হয়। মুম্বাইয়ের নাট্য গোষঠী প্রযোজিত 'আলিবাবা' নাটকে বিশবনাথ দের আলো কিছুটা উচ্চকিত হলেও সম্ভবত শিশু-কিশোরদের জন্য এটা প্রয়োজন। যদিও ২৮ নভেম্বর কলকাতার রবীন্নদ্র সদনে অনুষ্ঠিত নাটক দেখতে শিশুদের উপস্থিতি নগনয ব্লেই মনে হয়েছে। পাশাপাশি স্নগীতে কোয়েল ত্রিপাঠী সঙ্গীত প্রিচাল্ক হিসাবে সফল আবেদন রেখেছেন। গায়িকা হিসাবেও তিনি আলদা করে নজর কেড়েছেন।  আন্নদ্ম নাট্য গোষঠী তাঁদের 'প্রিচিতি' পত্রে জানাচছে, এই নাটকের থেকে সংগৃহীত অর্থ আরথ-সামাজিভাবে দুর্বল শ্রেণীর কযান্সার আক্রান্ত মানুষদের চিকিতসার জন্য দান করা হবে।
এই বাংলায় নাট্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ভারতের নেতৃত্ব দাবি করে। দিকপাল সব নাট্য ব্যক্তিত্বদের আমরা পেয়েছি। গিরিশচন্দ্র ঘোষ, শিশির ভাদুড়ি, অহীন্দ্র চৌধুরী, উতপ্ল দত্ত, বিজন ভট্টাচার্য, অজিতেশ বন্দোপাধযায়। এই ধারাবাহিকতা মেনে বাংলা নাটক বিভিন্ন 'ঘূরণি'র অব্বাহিকায় বর্তমানে নিজসবতা দাবি করে। তবুও প্রশ্ন থেকে যায় সবাধীন্তার আলোয়। শব্দ-বাকযের ছল চাতুরিতে সমাজ কতটা উপকৃত হছে?                  

Friday 13 November 2015

স্বতন্ত্র জাতি এবং নতুন রাষ্ট্র

বিষয়টা অত্যন্ত গ্রুতবপূরণ। ইতিহাসের কোনও গবেষক বা খ্যাতি স্পম্পন্ন লব্ধ প্রতিষঠিত কোনও ইতিহাসবিদ এই বিষয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করতে পারবেন। আমি সাহিত্যের ম্যদানে একজন প্রান্তিক অন্ত্যজ হিসাবে অবতারণা করছি। হেলা-অবহেলার নাগ্রিক দায়িত্বে।
১৯৪৭ সালে দীর্ঘ সংগ্রাম, বিভিন্ন ধর্ম, জাতি গোষ্ঠীর নিরলস প্রচেষ্টার পর ১৫ আগস্ট ভারত নামক একটি দেশ পণ্ডিত জওহরলাল নেহ্রুর নেতৃত্বে ভূমিষ্ঠ হ্ল। বিশ্বে সব দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা মেনেই 'স্বদেশী' আন্দোলনের বীর শহীদদের রক্ত এবং উদ্দেশ্য একই ছিল। কিন্তু মূল সমস্যাটা দেখা দিল 'ভারত' নামক একটি দেশ দবিজাতি তত্বের ভিত্তিতে বৃহত প্রেক্ষাপট নিয়ে নিজেকে বিকশিত করতে চাইল। এই সারস্বত উপলব্ধি থেকে ভারত নামক দেশটি 'উদার' সংস্কৃতির অভিভাবক হিসাবে গুরু দায়িত্ব নিল। তার অসংখ্য উদাহরণ আমরা পেয়েছি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৃঢ়চেতা এবং বলিষ্ঠ রাষ্ট্র নায়কের মতই নেহ্রু উপলব্ধি ক্রলেন রাষ্ট্র গঠন ও জাতি গঠন দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়া। প্রধান্মন্ত্রী নেহ্রু নিজে বুঝতে পারলেও ততকালীন জাতীয় কংগ্রেসের অনেকেই বিষয়টা বুঝতে চাননি। অথবা বুঝতে পারেননি। বিদেশী শাসকদের শাস্ন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার প্র একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন হলেও নতুন জাতি হয়ে উঠতে হ্লে তাকে অবশ্যই যেতে হয় নির্দিষ্ট স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ার মধ্যযে দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই বহুধাবিভক্ত স্বাধীন জাতিসবতবাগুলি নিজেদের স্বতন্ত্রতা নিয়েই নতুন দেশের প্তাকা বহ্ন করে। আর্থ-সামাজিক অখণ্ডতা লাভের মানদণ্ডে। টুকরো টুকরো হয়ে থাকা বহুজাতির স্মাহারকে ভারতীয় জাতি হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া একটি দীরঘকালীন প্রচেষ্টা। পৃথক পৃথক জাতিসবত্তাগুলিকে তাঁদের সংস্কৃতিকে স্বাধীনতা দিয়েই ঐকযমত গড়েতোলা যায়। প্রয়োজন বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক ঐতিহয ও আত্মপরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার। এবং পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা। ভারত স্বাধীন হয়েছে ৬৮ বছর। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১২৮ বছরের ধর্মনিরপেক্ষ বহুত্ববাদী এবং সহনশীল সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। কংগ্রেসিদের রক্তে ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারইজম। যে ঘোষণা দেশ স্বাধীন হওয়ার প্র মাত্র ১১ মাসের মধযেই রাষ্ট্র নায়কের মতই উপলব্ধি ক্রেছিলেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী জহ্রলাল নেহ্রু।

তাঁর একটি চিঠিতে তিনি লিখছেন, ''আমার বিশ্বাস ভারত হবে এম্ন একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, যেখানে পূরণ স্বাধীনতা থাকবে স্মস্ত ধর্ম ও সংস্কৃতির, তাঁদের মধযে সহযোগিতার। ভারত যুগ যুগ ধরে যে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে এসেছে, তাকে বজায় রেখেই কেব্ল ভারত মহান হয়ে উঠতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবুও সবীকার করছি, আদৌ কোনদিন সেটা সম্ভব হবে কিনা, মাঝে মাঝে তা নিয়ে গভীর সন্দেহ আমাকে আছন্ন করে ফেলে.........।'' ( ভূপালের নবাবকে নেহ্রু চিঠিটি লিখেছিলেন ১১ জুলাই, ১৯৪৮ সালে। প্রাবন্ধিক তরুণ রায়ের লেখা থেকে সংগৃহীত।)

স্ম্প্রতি নেহ্রুর চিন্তা এবং দরশন নিয়ে আমাদের দেশে বিত্রক তোলা হচছে। প্রেক্ষাপট অবশ্যই সাংস্কৃতিক অসহিষনুতা এবং উন্নয়ন। নিবন্ধের শুরুতে আমরা ভাবতে চেয়েছি স্বতন্ত্র জাতি এবং একটি নতুন রাষ্ট্রকে। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ভারত নামক দেশটিতে ধর্ম ধর্ম উন্মাদনা সাময়িক তৈরি করা যায়। কিন্তু সামগ্রীকভাবে রাষ্ট্রকে ফিরে আসতে হয় নেহ্রুর হাতে তৈরি মিশ্র অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক বহুতব্বাদে। কারণ আমরা জানি বিহার ভোটের আগে যেভাবে সাংস্কৃতিক অসিষনুতার প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা হয়েছিল তার সামনে বুক চিতিয়ে রুখে দাড়িয়েছে বহুত্ববাদী মুখ। লেখক, সাহিতিযক, শিল্পী, নাট্যকর্মী, খেলোয়াড় বিভিন্ন পথে তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুখ্রিত হয়েছে রাজপথ, বহুবরণ বহু রঙের পতাকায়। এর অন্যতম উদাহরণ বিহার ভোট।

যেখানে প্রগতিশীল কংগ্রেস, জে ডি ইউ, আর জে ডি-এর নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করছে। লালুপ্রসাদ যাদব, নীতিশ কুমার, সাম্প্রদায়িক স্মপ্রীতির 'বিহার'কে দিওয়ালির উপহার দিলেন দেশ বাসির কাছে। সামগ্রিকভাবে সনিয়া গাঁধি এবং রাহুল গাঁধির নেতৃত্বে নতুন এক 'ইয়ুথ ইনডিয়ার' স্বপ্নকে চাগিয়ে দিয়ে। এই বছরের সবথেকে পাওনা কিষাণগঞ্জ। মুস্লিমদের মধযেও প্রগতিশীল অংশ বিদ্যযমান। উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতেও ছিল। একবিংশ শতাব্দীতেও আছে। উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের মধযে প্রগতিশীল মুস্লিমদের কোনও দিনই অভাব হয়নি। সেই কারনেই 'একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুস্লমান'- এর মত কালজয়ী চরণ আমরা আজও আবৃত্তি করি। কিন্তু কম শিক্ষিত, অশিক্ষিত ধর্মভীরু, দ্রিদ্র, অন্ত্যজ মুস্লিম সম্প্রদায়ও বর্তমান ভারতে সচেতন। তার উজ্জল প্রমাণ বিহার। কিষাণগঞ্জকে ঘাঁটি করে পূরব ভারতে প্রভাব বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল দক্ষিণের নেতা মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-মুস্লিমিন (এম আই এম ) এর নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির। বিহারের সেইসব মানুষ তথাকথিত ভাষায় যারা 'প্রান্তিক' তারাই কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছে এই কট্টরবাদী নেতাকে। বিহার ভোটের প্র এই কারণেই কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধি প্রধানমন্ত্রী ন্রেন্দ্র মোদীকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ''প্রচার থামান। ভাষণ বন্ধ করে কাজ শুরু করুন। কারণ আপনার জন্য দেশটা এক বছর ধরে থমকে আছে।''
এবং যে কারণেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধি দেশের সাংসকৃতিক অসহিষনুতা নিয়ে বলেছেন, ''দাদ্রি কোনও বিছিন্ন ঘটনা নয়। এবযাপারে একটি মতাদর্শের নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র রয়েছে।'' রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও একাধিকবার রাষ্ট্রের বহুতব্বাদের কথা ম্নে ক্রিয়ে দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে গেছেন, '.........মানুষকে ঘৃণা করা যে দেশের ধর্মের নিয়ম, প্রতিবেশির হাতে জল খাইলে যাহাদের পরকাল নষ্ট হয়, পরকে অপমান করিয়া যাহাদিগকে জাতিরক্ষা করিতে হইবে, পরের হাতে চিরদিন আপমানিত না হইয়া তাহাদের গতি নাই। তাহারা যাহাদিগকে মলেচ্ছ বলিয়া অবঙ্গা করিতেছে সেই মলেচ্ছের অবঙ্গা তাহাদিগকে সহ্য করিতে হইবে।''  


গত কয়েক দশকের অভিঞ্জতায় বামপন্থীদের ভূমিকা কি? আমাদের দেশে 'রযাডিকাল' আন্দোলনের প্রধান দায়িত্ব কংগ্রেসের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল বাম্পন্থীরা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বামপন্থীরা নীরব দ্রশকের ভূমিকায় কিছুদিন স্ম্য কাটাতে বাধয হল কেন? সম্প্রতি এই শ্রমজীবী প্রতিবেদক প্রশ্নটি তোলার চেষ্টা করেছে। টুইটারে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি কয়েকটি টুইট করে প্রতিবাদ জানান। এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন কোন গোষ্ঠীর কি কি ভূমিকা ছিল সেই প্রশ্নও তুলেছেন। এই প্রতিবেদক জানতে চেয়েছিল, আমাদের দেশে যে অসহিস্নুতার বাতাব্রণ তৈরি হয়েছিল তার দায়িত্ব বামপন্থী নেতৃত্ব কি এড়িয়ে যেতে পারে? তিনি আমাকে লাল সেলাম জানিয়েছেন। এটাই গণতন্ত্র।

রাষ্ট্রের উন্নুয়ন বনাম ধর্ম 

দিল্লির ইকনমিক্স কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ''কীসের জন্য সংস্কার? জি ডি পি এর হার বৃদ্ধির জন্য? না স্মাজের পরিবর্তনের জন্য? আমরা পরিবর্তনের জন্যই সংস্কার করব।''  কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অসহিস্নু পরিবেশ বজায় থাকলে ভারতের উন্নয়ন ধাক্কা খেতে পারে। বিনিয়োগও থমকে যেতে পারে। একই সুরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রখযাত অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিংহ ম্নে ক্রিয়ে দিয়েছেন, ''অর্থনৈতিক ও বৌদধিক বিকাশের পূরবশ্রতই হ্ল শান্তির পরিবেশ কায়েম রাখা। বিরোধী স্বরকে জায়গা করে দেওয়া। কিন্তু যেভাবে বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে তাতে মার খেতে পারে অর্থনীতি।''
এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একাধিকবার সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ''ভারত তত ক্ষণই সফল যতক্ষণ না পর্যন্ত সে ধরমের নামে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।''
এই নিবন্ধে নেহ্রুর লেখা 'ডিসকভারি অব ইনডিয়া' থেকে একটি অংশ তুলে দিচ্ছি।

Chapter 4: The Discovery of India
Chandragupta and Chanakya: The Maurya Empire Established (Pages 122-124)
Alexander's general, Seleucus, who had inherited after his chief's death the countries from Asia Minor to India, tried to re-establish his authority in north-west India and crossed the Indus with an army. He was defeated and had to cede a part of Afghanistan, up to Kabul and Herat, to Chandragupta, who also married the daughter of Seleucus. Except for south India, Chandragupta's empire covered the whole of India, from the Arabian Sea to the Bay of Bengal, and extended in the north to Kabul. For the first time in recorded history a vast centralized state had risen in India. The city of Pataliputra was the capital of this great empire.
What was this new state like? Fortunately we have full accounts, both Indian and Greek. Megasthenes, the ambassador sent by Seleucus, has left a record and, much more important is that contemporary account—Kautilya's 'Arthashastra,' the 'Science of Polity,' to which reference has already been made. Kautilya is another name for Chanakya, and thus we have a book written, not only by a great scholar, but a man who played a dominating part in the establishment, growth and preservation of the empire. Chanakya has been called the Indian Machiavelli, and to some extent the comparison is justified. But he was a much bigger person in every way, greater in intellect and action. He was no mere follower of a king, a humble adviser of an all-powerful emperor. A picture of him emerges from an old Indian play—the Mudra-Rakshasa—which deals with this period. Bold and scheming, proud and revengeful, never forgetting a slight, never forgetting his purpose, availing himself of every device to delude and defeat the enemy, he sat with the reins of empire in his hands and looked upon the emperor more as a loved pupil than as a master. Simple and austere in his life, uninterested in the pomp and pageantry of high position, when he had redeemed his pledge and accomplished his purpose, he wanted to retire, Brahmin-like, to a life of contemplation.
There was hardly anything Chanakya would have refrained from doing to achieve his purpose; he was unscrupulous enough; yet he was also wise enough to know that this very purpose might be defeated by means unsuited to the end. Long before Clausevvitz, he is reported to have said that war is only a continuance of state policy by other means. But, he adds, war must always serve the larger ends of policy and not become an end in itself; the statesman's objective must always be the betterment of the state as a result of war, not the mere defeat and destruction of the enemy. If war involves both parties in a common ruin, that is the bankruptcy of statesmanship. War must be conducted by armed forces; but much more important than the force of arms is the high strategy which saps the enemy's morale and disrupts his forces and brings about his collapse, or takes him to the verge of collapse, before armed attack. Unscrupulous and rigid as Chanakya was in the pursuit of his aim, he never forgot that it was better to win over an intelligent and high-minded enemy than to crush him. His final victory was obtained by sowing discord in the enemy's ranks, and, in the very moment of this victory, so the story goes, he induced Chandragupta to be generous to his rival chief. Chanakya himself is said to have handed over the insignia of his own high office to the minister of that rival, whose intelligence and loyalty to his old chief had impressed him greatly. So the story ends not in the bitterness of defeat and humiliation, but in reconciliation and in laying the firm and enduring foundations of a state, which had not only defeated but won over its chief enemy.
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিলেত (লন্ডন ) স্ফ্রে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ''ভারত বুদ্ধের দেশ, গাঁধির দেশ। আমাদের সমাজের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায়, এম্ন কোনও ঘটনা আমরা বরদাস্ত করি না। তা সে ঘটনা দেশের যে প্রান্তেই ঘটুক না কেন। ১২৫ কোটির দেশে ক'জন এই ধ্রনের ঘটনার শিকার হচ্ছেন, তা ভারত সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই ধরনের যে কোনও ঘটনাতেই কড়া আইনি বযাবস্থা নেওয়া হবে।'' ( আঃ বাঃ পঃ, ১৩ নভেম্ব্র, ২০১৫)। প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভাষণে ব্লল্লেন, ''অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আধুনিকতার রূপকার ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানেই তাঁদের লক্ষের কথা প্রথম বুঝতে পারেন। তাঁদের মধযে রয়েছেন জওহরলাল নেহ্রু ও মনমোহন সিংহ।'' ( আঃ বাঃ পঃ, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫)  






               


                                                   

Sunday 8 November 2015

আমার কলকাতা

                                                             
           কলকাতা তুমি তন্বী যুবতীর 
           নৃত্যের ছন্দে তিলে তিলে সাজছ।
          সাপের মত পাকদণ্ডি...........
           আকাশ দেখা কংক্রিটের উড়ান,
     ছুটছে আলোর সভ্যতা------ভয়ে ভয়ে থাকি
         কেন?  ভয় কেন? আলোয় যে দেখা যায়           নামঠিকানাহীন ভদ্রতা! ৩৬৫ গুণিতক ছয়, কত                                                                     হয়? নিকষ কালো, কৃষ্ণ গহ্বর, নতুন যুগের নতুন সভ্যতা।
             থুথু ছিটে আসে, 'ও মদিরা পাগল মানুষ
            ওকে রেখে দাও আবাসে।' 'ফেসবুকে' এঁকে                                দাও ১৯-২০, ২৫-৩০, ৩০-৪০,
                                                                                                               ৫০-৫৮ বছরের নারীর যোনি।
                             ক্ষমাহীন ঘৃণা? নাকি সভ্যতা?                                                     মজা মজা খেলার
             ঘসা মজার মৃদু মন্ত্রণা?   তাই বলি এসো                                                                 অন্ধকার
     তোমাকে চুম্বন করি। 'সোশাল মিডিয়ায়' ওরা বলে
      এই দেখ তৈলাক্ত দড়ি! আচছা পাহাড় ঠেলেই তো
                                                                                                                 আলো আসে.........আলো.........
                                                                                                       সেদিন আধেক রাত ছিলাম কলকাতায়।
           ৩৬৫ গুণিতক ছয়। কত হয়? আলোক উজ্জল
                                                                                                                           এই কলকাতার দেশে?
                                                                                                                         'ডান চোখের 'ছানি'র চাদর
                                                                                                           ফুড়ে আলোর কলকাতা দেখে এলে?
                                                                                                    আলোক সনযাসীর বেশে?'  বলল যে জন
                                                                                                   আত্মার আত্মীয় নয়, নয় বন্ধু স্বজন।
                                                                                                         কৃষ্ণ কালো রাতে যে প্রদীপ জ্বালে
                                                                                                                                          সেও কি কূজন?
                                                                                                     এই বাড়িতে অলক্ষ্মীর আরাধনা আজ
                                                                                                                   ঘরে ঘরে লক্ষ্মী-নারায়ণের
                                                                                                                                   শুভ মহরতের সাজ।
                                                                                                                            হুতোম বলল, আজ থেকে
      আমি তোমার সঙ্গে থাকব! আহা কি মজা.........
                                                                                                                          চল পাগলা মহাকরণ।
                                                                                                                                   শুভ দীপাবলি
                                                                                                                        দীপেন্দু চৌধুরী, ১৪২২       
                                                      

Tuesday 3 November 2015

শুশুক আবার ফিরছে

অমরবাবু আপনাকে ধন্যবাদ। এই জেলায় Zee News এর জেলার দায়িত্বে থাকার স্ম্য আপনার সঙ্গে আলাপ। এবং যৌথভাবে অনেক সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছি। কয়েকটি সাহিতয স্মমেলনেও টাটকা বাতাস এবং আন্তরিক উত্তাপ অনুভব করেছি। শুশুক আবার ফিরছে। মাতলা, বিদযাধ্রী, স্রসবতী, হাতানিয়া-দেয়ানিয়া ন্দীর পাড় ধরে চলুন আবার হাটি। তেভাগার যে কোনও একটা ভাগ পেতে 'চন্দন পিঁড়ি' গ্রামেও আবার যেতে চাই। চলুন আবার হাটি জয়নগর-কুলতলী, নীম্পীঠ, মৈ-পীঠ, বাস্নতী, গোসাবা, ঝড়খালির আনাচে-কানাচে। ক্লান্ত প্রদীপের শিখার আলো স্মৃতির পদ্মা-মেঘ্না হয়ে গঙ্গা-সাগ্রে ফিরে যেতে ব্লে। সুন্দর বনের সুন্দ্রী গাছ। বাদা বন। সুন্দরের আরাধ্না না করলে ওইস্ব প্রাকৃত ভুবন ভোলানো আদিমতা কোথায় পাওয়া যায়? আমার জানা নেই। যে স্ব খব্র ক্রার জন্য আমি আজও গ্রব বোধ ক্রি। পাথ্রপ্রতিমা, মগরা, সোনারপুর, রায়দীঘী, ম্থুরাপুর, বজবজ, মহেশতলার anti corruption, soft story, Industrial story এবং সুন্দ্রবনের উন্ন্যনের খব্র। এইসব খব্র ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সালে ক্রেছিলাম। বাঘ গ্ননার খবরও করেছি। 
পরে 'কলকাতা টিভির' প্রতিনিধি হয়ে বণদপ্ত্রের দুরনীতি নিয়ে কয়েক কিস্তির ধারাবাহিক। ২০০৮ সালে এই রাজ্যের কাঁপন ধ্রিয়ে দিয়েছিল। এরপরও সাংবাদিকতার মর্যাদা দাবি করব? মা-বাবা, দিদি, ভাইপো সবাইকে কারা যেন কেড়ে নিল। ম্রযাদা-স্মমান আজ পথে পথে ঘুরছে। ২০১১-২০১৩ আমরা কেউ কাউকে বিশবাস ক্রছিলাম না। তাই কে কাকে ফেরাবে? ব্লুন্তো? দাপটটা '(মেজাজটা) যে আস্ল রাজা আমি রাজা নই।

'আর কতকাল থাকবে বাঁধা ভোটবাজীদের খপ্পরে ?
আর কতকাল ঠুকবে মাথা ওদের পা’য়েই ঠক করে ? ওরা যে খেলিয়ে তোমায় তুলছে জালে ওদের তৈরী গনযন্ত্ররে-------? আর কত রাত অন্ধ বরাত ছিঁড়বে তোমার উদম পীঠ আর কত গান নাটক তোমায় গিলিয়ে যাবে ওদের ঋণ? ওরা যে ঘূণধরা এই সমাজটাকেই নতুন করে রঙ করে |'

আপনার লেখার উত্তরে এইটুকু ব্লি, মসৃণ ত্বকে ওরা কতটা অনুভব করে? ৩৪ বছরের এক ক্লান্ত সং সংসকৃতি নব্য বাংলার ধারাপাত শিখিয়েছে। প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় আর্থিক নিরাপ্ততা এদের 'রুবিক্স কিউব' বা দাবার বযাবহারে দক্ষ করে তোলেনি। আপনি যাদের কথা বলছেন তাঁদের অনেকেই ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবনে কতটা সফল? এরা সবাইকে নিজেদের অনুগত এবং অনুগামী ঠাউরে বসে। পরে গৃহপালিত ভৃত্য ভাবে। আসুন এদের খস্মা করে ক্ষুদ্রতার অপচয় বন্ধ করি। রবি কবির কথায় ''পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দবার, সেথা হতে আনে উপহার,/ দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে--/ এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।।''

Tuesday 27 October 2015

হারিয়ে গেছে পাঁচালী

ওর সঙ্গে প্রতি বছর এইদিন দেখা হয়। সেটা গোধূলী বেলায়, আবার লগ্ন জাগা ভোরে।
চোখ দুটো লাল। জানতে চাইলাম তোমার নাম কী?  হুতোম।
শুন্তে পাইনি। আবার জানতে চাইলাম। বণিক বাড়ির মধুবাবু বললেন, ও ব্লল, হুতোম! ও! বুঝলাম। কথা লম্বায় বলা শেখা হ্যনি। পদ্মা,  পাঁচটা কলার খোলে ভাস্তে ভাস্তে পদ্মা টপকে  সূর্যের সোনালী ন্রম রোদে ভিজতে ভিজতে সোনালি ধানের শীষের আহবান। এসো মা।
আমার মা আজও মাটির দাওয়ায়.........
ঘ্রে বারান্দায়, মেঝেতে, উঠনে আতপ চালের আলাপ্ন। প্রধান ফটকে মাঙ্গলিক চিহ্ণ। ধূপের ধোঁয়া। গঙ্গা জল। পবিত্র তুলোর সুতো, হুলুর ধ্বনি, শঙ্খের মাঙ্গলিক ল্মবা শঙ্খ ধ্বনি। প্রদীপের ন্রম আলোয় অচঞ্চলার  আরাধ্না। ওর সঙ্গে দেখা হয় এইদিন। চোখ দুটো লাল। ওর নাম হুতোম। কাল টপকে, আকালের পথ ভেঙে ও এসেছে ওর মায়ের সঙ্গে। এ গলি সে গলি। এ পাড়া সেই গ্রাম।  হুতোম কি যেন খোঁজে! পদ্মা-গ্নগার গান শুন্তে শ্নতে............কি খোঁজে হুতোম? ওর চোখ দুটো লাল। বণিক বাড়ির মধুবাবু কইলেন, হুতোমের একটা বোন ছিল।  ওর বোনের নাম ছিল পাঁচালী।  
            

Thursday 22 October 2015

আকাশটা কী বড়

আকাশটা কী বড়, জানেন আপ্নারা!
পাখিরাও বলছে..................
বলছে, এসো আমাদের শ্যামলা গাঁয়ে,
ভেঙে ফেল ধূস্র স্মৃতি। রুক্ষ পাথুরে রাস্তায়............
মহুল ফুল্র ঘ্রাণ নিয়ে যাও।
পাখিদের পাঠশালায় এই কথা শিখে
এখন ওদের আমন্ত্রণে ভেসে যাচ্ছি
নন্দনে। সোমনাথ হোর চেনা হ্যনি যে।
দীপেনদু চৌধুরী, শুভ বিজয়া, ১৪২২, কলকাতা  

শিখিতে হয় না হইলে পিছিয়া পড়িতে হয়


প্রথমেই এই বাংলা তথা প্রবাসের এবং 'দেশে-বিদেশের' বাঙালি পণ্ডিত মণ্ডলীর কাছে মার্জনা চাহিয়া  লইতেছি। যদি কোনও অসংযমী বাক্য, শব্দ আপ্ন দিগের ম্নঃপূত না হয় তাহা হইলে আপন আপ্ন আভিজাতয এবং আপনার গুণে মাফ ক্রিয়া দিবেন। কারণ এই স্তম্ভে আবারও কহিয়া রাখি, আমার যোগ্যতা অষ্টম গর্ভে স্বন্গাতানের    বাগড়াম্বরের ল্গে। চাল বাড়ন্ত ঘ্র থিকা আসিয়া সাহস কিভাবে হয় শুনি? কথা উত্থাপন করিয়া বলিতে চাহিতেছি আমাগো দযাশে এক ঝাঁক লেখক, শিল্পী, নাট্য কর্মী তাহাদের দবারা প্রাপ্ত দ্বিজশ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ফিরাইয়া দিয়াছেন। তাহাদের অভিযোগ এবং প্রতিবাদ ভারতে স্বাধীন এবং বহু বর্ণের কণ্ঠ স্বর বন্দধ ক্রিবার চেষ্টা হইতেছে। এবং সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছে। 
ইহার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের স্নগবেদনশীল কবি এবং সাহিতিযক গ্ণ তাহাদের পুরষ্কার ফিরিয়া দিতে চাহেন না। শ্রদ্ধেয় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শ্রদ্ধেয় কবি শঙ্খ ঘোষ, প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় সাহিতিযক শীর্ষেন্দু মুখোপাধযায় এবং এই প্রজন্মের অতযন্ত শক্তিশালী কবি সুবোধ সরকার এই পঙতি তে আছেন বলিয়া জানি। ইহাতে আপত্তি করিবার মত ধৃষ্টতা আমার নাই। তাহাদের নেতৃত্বে একঝাক এই বাংলার লেখক শিল্পী অবস্থান করিয়া প্রতিবাদ করিয়াছেন। শিল্পী প্রতুল মুখোপাধযায়, মীরাতুন নাহার, বিভাস চক্রবর্তী এবং সুবোধ সরকার। সাহিতিযক নবনীতা দেবসেনের নেতৃত্বে একদল বাংলার লেখক প্রতিবাদ পত্র পাঠাইয়েছেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রাধান্মন্ত্রীর কাছে। অনয সব্র অনযভাবেও আছে যেমন কবি মন্দাক্রান্তা সেন। 
এহ্ন কথা দুইখান আছে। বছরটা ২০১৫। বছরটা ২০০৭-২০০৮ নয়। সেই রাম নামক সিঙ্গুরও নায়। আবার অযোধযা নামক ন্নদীগ্রামও নায়। কথা ছিল দুইডা। 'আমরা- ওরা' । স্কক্লে জানিয়াছিল দুই পারটির দুই দল। আমার বিভ্রম হইয়াছিল। আমি সোশাল মিডিয়ায় সুযোগ পাইয়াই লিখিয়া ছিলাম। একটি দলের দুই নেতার দুইডা ব্যানার হইয়াছিল। সেই বযানারে প্রকৃত বুদ্ধি চর্চা করা প্রতিবাদি মুখ যেমন সামিল হইয়াছিল। আবার মধয মেধার দলছুট কিছু স্ব ঘোষিত দবিজ গ্ণ ভিড় ক্রিয়াছিলেন। তাহারা কিন্তু আজ আর নায়। এখন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'উলঙ্গ রাজা' কাব্যগ্রন্থের ভাষায় বলিতে হয়, 'রাজা তোর কাপড় কোথায়? শঙ্খ ঘোষ তাঁর 'বাব্রের প্রারথনা' কাব্যগ্রন্থের 'পথের বাঁকে' কবিতায় ব্লিতেছেন, ''আজ আমার কথা বলবার কথা নয়/ তবু ব্লি:/ দাঁড়িয়ে আছি এই পথের বাঁকে/ আর সাম্নেই ডালপালাহারা দীর্ঘ বাক্ল/ ঠাণ্ডা আর চুপ.........''। 
 যাহারা পথ দেখাইছেন। আজও পথ দেখায় সেই স্ব অগ্রজ কবি, সাহিতিযক, শিল্পীদের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে উচ্চারণ ক্রি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা। 'ক্লকাতার যীশু' কবিতার শেষ চরণ। ''............সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে / সমগ্র বিশবকে তুমি পেতে চাও/ হাতের মুঠোয়। যেন তাই/ টাল মাটাল পায়ে তুমি/ পৃথিবীর এক-কিনার থেকে অন্য কিনারে চলেছ।''
আসেন আমার সঙ্গে। পৃথিবীর অন্য কিনারে একবার ঘুরিয়া আসি। আমরা জ্যা-প্ল সাত্র এর কথা জানি। তিনি খুব স্মভবত নোবেল পুরষ্কার গ্রহ্ণ করেন নায়। পাশাপাশি যতদূর ম্নে ক্রিতে পারিতেছি , সাদাত হাস্ন মানটো কেও ভুলিয়া যাইবার স্ব রক্ম ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। কি ব্লিবেন? কাহারে ব্লিবেন? শুনিলেন? না শোনা হয় নায়? তবে বাবু মশায়রা  এই শোনেন, মহারাষ্ট্রে ব্রিহ্মুম্বই কোনও একটি উতসব উপলক্ষে নিরামিষ ভোজনের জন্য আবেদন ক্রিয়াছিল। বুদধিমতি অভিনেত্রি সোন্ম কাপুর আপ্ন গ্রিমায় সম্ভ্রান্ত সোশাল মিডিয়া টুইটারে লিখিয়াছিলেন, ''অসহিস্নু নারী বিদ্বেষী সংকীর্ণ ম্নাদের জন্য ভারত চিরকাল তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়ে থেকে যাবে।'' কি শুনলেন? কথা হইয়াছিল আঁশ-নিরামিষ লইয়া। কিন্তু কি শুনিলেন? বাংলাদেশের চিত্র প্রিচাল্ক তারেক মাসুদ ব্লিয়াছিলেন, ''আমরা যত মিশ্র তত সমৃদ্ধ'। জাত,  ধর্ম, সন্ত্রাস কোন কিছুই স্মসযা হত্না ব্লিয়া তিন ম্নে করেন। 
আমাদের বাংলায় আবার ফিরিয়া দেখি। ২০০৪ সালের 'দেশ' বই সংখ্যায় সাহিতিযক শঙ্কর লিখিতেছেন, ''অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শিব্রাম চক্রবর্তী, শইলজান্নদ মুখোপাধযায় ও মুজতবা আলীর মতো পাঁচ দিকপাল বাঙালি সাহিতিযক যে প্রায় একই সময়ে এ দেশে জন্ম গ্রহ্ণ করে ছিলেন তা ভাবতেই ইদানীং আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ..................।সেই সঙ্গে ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে এঁরা যখন সৃষ্টির মধয গগনে তখনও স্মকাল তাঁদের তেম্ন গুরুতব দেন নি, একবার কাউকে ব্লতে শুনিনি, বাংলা কথা সাহিতেযর এম্ন এক স্বর্ণ যুগ চলছে যা আগে কখনও আসেনি।'' 
ঋত্বিক ঘটকের 'সুবর্ণরেখা' ছবির কথা ম্নে পড়িতেছে। অভিরামকে লইয়া সীতাও একদিন ক্লকাতায় পালাইয়া আসিয়া সংসার পাতিয়াছিল। সেই এঁদো গ্লির বস্তি, ঘোর বর্ষা, আর দারিদ্রের ম্ললার গাহিত সীতা। ছেলেকে স্বপ্ন দেখাইত। গল্প ব্লিত 'নতুন বাড়ির'। গান শোনাইত। ''আজ ধানের ক্ষেতে রোউদ্র ছায়ায় লুকোচুরির খেলা.........রে ভাই /লুকোচুরির খেলা।।''                                               

Wednesday 21 October 2015

This is not tremendous excitement of an accident. It is facts

Sorry to say, again I have taken one pen not sword. Yes I would like to join one common platform for pen dance, not sword dance. May be that stage became a ultra modern, but small, under light that is not my hard core problem. I have need one stage on the eve of pen dance. Some one un known Hindi poet who remind us, ''Do (Two item) me se tumhe kiya chahiye? Kalam yea ki Talwar? /Kalam  pakarke likhoge uche mithe gan,/ yea Talwar pakarke Jitoge bahar ki Maidan?                            
And Saint Kabir has said, ''Sab se hile sab se miliye sabka lilie nao (boat)/ ha ji ha ji, sab se kijie base apna Gao.'' (we want to live all together.) According to media report, 151 intellectuals has been returned their award. Now they are dropout intellectuals. Sorry for above line. Earlier Sahitya Akademi president V.P.Tiwari said. ''We are an autonomous body and writers decide whom the awards go to. We are not the government. So, it is not appropriate for anyone to return our award as a form of protest. This is the first time the awards are being returned. The award is given for a particular work, which is then translated by the academy into 24 Indian languages. Can the reputation gained through these translations also be returned?'' (News sources). So when one such comment was drawn, one anticipated that message were all set to put their best pen forward.
However, what is congress reaction? Please follows. Which statement made by AICC.   
                   ''Prime Minister Narendra Modi came to power under the banner of good governance and development for all. Instead he is overseeing hatred and intolerance spread across our country. Most recently there was the lynching of an innocent man in Dadri, on Monday,  former BJP ideologue Sudheendra Kulkarni was attacked in Mumbai and black ink smeared on his face because he was organising a book launch for a former Pakistan Minister.
The murder of MM Kulbargi, a Sahitya Academi Award winner, and the continued silence of the both the PM and the Academi on the rising intolerance, has forced many of India's foremost writers to return their awards in protest. 
The longer Shri Modi refuses to come out against these elements the stronger they will get. It is important to remind him that hatred and violence are not good either for neither our economy nor our society.
Yet, the Prime Minister has let the loose talking, Minister of Culture, Mahesh Sharma, be the voice of the government. 
Prime Minister’s silence leads many to believe that he tacitly supports such vitriol, and it may be a distraction from the faltering economic agenda of the government. It bears reminding there is immense distress amongst the agriculture communities, a rise in farmer suicides and our exports down.
One can only hope that the Prime Minister is not playing politics with people's lives, just to consolidate his power.'' 
And Senior party leader KKapil Sibal said,''what happened in Dadri was not just an attack on Mohammed Akhlaque, it was an attack on the Constitution, the fundamentals of democracy, our liberal traditions, our cultural diversity, the spirit of tolerance and finally on the soul of India....................''(The Telegraph, Calcutta, 11 October, 2015.) Telegraph added more on 14 October, 2015. ''I think what's crept into Indian life now is a degree of thuggish violence which is new. And it seems to be, I have to say, given permission by the silence of official bodies, by the silence of Sahitya Akademi which is what so many of the writers are protesting about, by the silence of the Prime Minister office. Mr. Modi is a very talkative gentleman, he has a lot to say about on a lot of subjects and it would be very good to hear what he has to say about all this.'' Salman Rushdie told Barkha Dutt of NDTV during an interview.

I would like to put one reaction of RSS general secretary Suresh Bhaiyaji Joshi. He said on 14 October, 2015, the ''honesty'' and ''integrity'' of the writers must be gone into because they were ''vitiating the atmosphere by their their action.'' (news source). Finance Minister Arun Jaitley has said same day described the writers protest as ''olitics by other means. 
             In a long blog on his Facebook page, Jaitley says that there was no atmosphere of intolerance in the country, and this act of writers returning their awards was an act of ideological intolerance.
Here is what Jaitley wrote on his blog:
A manufactured revolt – Politics by other means:
The death by lynching of a member of minority community at Dadri was extremely unfortunate and condemnable. No right thinking person can ever rationalise and condone such an action. Such incidents bring a bad name to the country.
Subsequent to this incident, a series of writers have returned awards conferred on them by the Sahitya Academy. The thrust of the writers’ protest appears to be that under the present Central Government led by Prime MinisterNarendra Modi, an atmosphere of intolerance has been created in the country (First Post) . Beside Nayantara Sehgal thinking about 'Sahitya Akademi' that Sahitya Akademi like guardian of the national literature sky. Ashok Bajpai's understanding that an akademi is a national institution of the novelist and Sashi Despande consider 'the premier literary organization of the country.  Hence, Pen international extend their support to Indian writer, poet and theater personality. ''Renowned writers' body PEN International has expressed their solidarity with Indian writers who have returned their awards to the country in their protest against clamping down on freedom of expression. Delegates from 73 countries, part of the global community of writers, have called on the Indian government to "to provide better protection for such individuals and safeguard free speech as guaranteed by the Indian constitution".
The organisation's president, John Ralston Saul, has also written to the Indian President and Prime Minister, as well as the President of Sahitya Akademi (the country's National Academy of Letters), representing writers from 150 countries who had assembled in Quebec, Canada, for the 81st Congress of the organisation.
"We stand in solidarity with the more than fifty novelists, scholars, poets, and public intellectuals who have returned their awards to the Akademi and admire their courage,"  
Beside, BJP president Amit Shaw has warned motormouth in his party to stop venting their views on ''Contentious'' issues, apparently prodded by the Prime Minister who feels ''irreparable'' image damage has been caused by such statement.''  (TT, Calcutta, 19 October, 2015). US President Barak Obama office also remind about Indian Constitution, the fundamentals of democracy and cultural diversity. President Pranab Mukherjee recall about Indian traditional cultural dignity from 'Devangan' of Durga Puja of Birbhum District of West Bengal, which 'durga puja' we know popular as hindu festival.