Friday 9 December 2016

এপথ কাঙাল নয়

এপথ কাঙাল নয়
এপথ কাঙাল নয়। মুক্তি আছে বলেও থেমে থমকে গেছি সেদিন। মাছেরা বড় আদরণীয়। মাছেদের সংখ্যা গুনতে আছে নাকি? পিঁপড়ের লম্বা লাইন আজ হেথা থাকে। অন্যথা হলেই অন্য কোথাও চলে যেতে চায়। ক্লান্তিহীন ওই লম্বা ‘লঙমার্চ’ এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায় এমন বাপের সাহসী পুত্তুর কজন খুঁজে পাওয়া যাবে? আজকের উত্তর বিশ্বায়ন ঝা চক চকে আধুনিক সভ্যতায়? বানরের গলায় মুক্তোর মালা দেখে অমন ‘মছলিবাবার’ মত করে চেয়ে আছ কেন? ভোগের জৌলুস চিনতে চাইবে না। তথাকথিত ত্যাগের কাহন শোনাতে চাইবে! তুমি ঘর কা না ঘাটকা হে নটবর? টিকিহীন সভ্যতার গল্পকথা স্বগর্বে চার ছয় হাঁকানোর মত করে আর কতদিন চটকাবে? এটা কি ‘তেঁতুলতলা যাবার ৩৩ নম্বর বাস? না ‘চেতলা যাওয়ার ডবল ডেকার’? কতদিন কলেজস্ট্রীটের শরবত খাওনি? কতদিন কফি হাউসে হুলো বেড়াল হয়ে বসতে পারছ না? ওই পাড়ার লিটলম্যাগ পড়তে চাইছ কেন? মাগগি গন্ডার ঞ্জান বাজারে তুমি কে হে? তর্পণ করার বই চেন না অর্থশাস্ত্রের ব্যকরণ খুঁজছ? ভালো জামার জন্য এখন গড়িয়া যাও না গড়িয়াহাট? মনে করতে পারবে নাটাটা করে ‘বাটা’ ভুললে কবে? যেদিন থেকে আট আঁটকুড়ে হলে? তোমার জামায় ঝোলানর জন্য ন্যাজ আছে? মানে টাই আছে? ধর্মতলার নিউ মার্কেটের সুখ্যাত এবং বিখ্যাত ‘নিউইয়র্ক’ দোকানটি আজ আর নেই। থাকলেই বা কি? তোমার কাছে সামাজিক কার্ড আছে? মোদীজীর মত চওড়া কাঁধ আছে? মমতাদির মত ভিন ভাষার রাজ্যে রাজ্যে ছুটে বেড়ানোর ‘হাওয়াই চপ্পল’ আছে? ‘সংসদে মুখ খুললে আমি ভূমিকম্প’ করে দেব।’ এটা আমার কথা নয় রাহুলজীর কথা। কি ভাবছ? রাহুলজী ছেলে মানুষ? এখনও এইসব ভাবার মত চওড়া বুক আর চওড়া মাথা তোমাদের আছে? কাজু খেতে চাইছ কেন? দিল্লিতে কাজু পাওয়া যায় না। দূষণ একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু আমি জানি ‘কেজরিবাল’জি একাই দিল্লির ‘কাজুকিসমিস’। এপাশে সীতারাম ওপাশে ডেরেক বাম। দুঃখিত। বাম মানে ব্যাথা বা যন্ত্রণা উপশম করার কথা কেউ বলছে না। যে মানুষটা বুদ্ধি উপচে সাধারণ ঞ্জানের ডালি সাজিয়ে কত সভাঘর ঘুরেছেন, সেই ব্যক্তিটি কম বয়সে কালো চুল সাদা করে ব্যাটিং করবেন না বোলিং করবেন ঠাউর করতে পারছেন নানা বস ঘাবড়ালে হবে না। সামিয়ানা ভাব্বেন সেটা নোট আকালেও থাকবে জোট আকালেও থাকবে। ছোট আমের জন্য পেতে পারেন আবার বড় বড় কমলালেবু, আপেল, ন্যাসপাতির জন্যও এক আনা দু আনা চিনে চিনে ঢুকে পড়লে কে আর আটকায় বস? ফকিরের কথায় দুঃখ কষ্ট পেলে মলিন হ্রদয় সাবলীল করতে সত্যি সত্যি তিন সত্যি প্লাস মাইনাস বাম লাগিয়ে নেবেন। কেমন জানেন? আমার অভিভাবক হুতোম বলে ‘সাদা গোলাপে কেউ রক্ত লাগালেই কি রক্ত লেগে যাবে? গোলাপ কাঁটা জড়িয়েই নিজেকে আলিঙ্গন করে।’ পাগলা হাওয়া কে দমকা খ্যাপাটে আগুন্তুক মনে হয় আমাদের। 

সারস্বত সাধনায় সাগরের ঢেউ মন্থর গতি থেকে সময়ে সময়ে একটা উচ্চতায় যায়। ধংস প্রলয় লয় সৃষ্টি। যেমন আমাদের সংসদ আছে। সংসদীয় আদব কায়দা মেনে বা চিনে সব সাংসদ চলতে চায়। কেউ ভোলেনি চলতি কা নাম গাড়ি। সেই গাড়ি চালাতে ডেবিট কার্ড লাগে না। ক্রেডিট কার্ড কি লাগে?                                                                  

No comments:

Post a Comment