Saturday 20 August 2016

রাষ্ট্র কি নিদ্রা গিয়েছে?

রাষ্ট্র কি নিদ্রা গিয়েছে?
ভারতে কে বা কারা রাষ্ট্রদ্রোহী? আইন আদালত এটা ঠিক করে। কিন্তু আমাদের দেশে ইতিমধ্যে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ নামক শব্দটি নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ করেছিলেন আমরা তাঁদের ‘স্বদেশী’ বলে সম্মান করতাম। আবার ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেও তাঁদের প্রাপ্য সম্মান স্বাধীন ভারত নামক নতুন রাষ্ট্র দিয়ে থাকে। ভারত এখনও কি প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠেছে? পুরোপুরি গড়ে না উঠলেও ‘রাষ্ট্র’ হিসাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিতি পেয়েছি আমরা। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ভারতের এই চিরায়ত সংস্কৃতিকে মেনেই ভারতীয় সংবিধানে আছে ১২২টা প্রধান ভাষার স্বীকৃতি। ১৫৯৯টি অন্যান্য ভাষা। ৬৪০০ জাতি। ২৯টি প্রধান উৎসব। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা নিয়েও ৭০টা বসন্ত হেঁটে এলাম ধনী দরিদ্র, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের আলিঙ্গনে। কখনও ছন্দপতন হয়েছে আবার আপন ছন্দে ফিরেছে ভারত নামক এক নতুন স্বপ্নের দেশ। কংগ্রেস জমানা, জনতা পার্টীর শাসন, এনডিএ জমানা, যুক্তফ্রন্ট জমানা আবার কংগ্রেস তথা ইউপিএ এবং আবার এনডিএ। এই দীর্ঘ ছায়াপথে তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি নামে কিছু নাগরিককে আমাদের চেনানো হয়েছে। কিন্তু ‘দলিত’ এই সম্প্রদায়কে আমরা জানলেও, ব্যক্তিগতভাবে আমি সম্মান করলেও সরকারি দলিল দস্তাবেজে লিখিতভাবে আমাদের চেনানো হয়েছে কি? জানি না। আমার জানা নেই।
নতুন ভারত গড়ে তোলার শ্লোগান নিয়ে তিনি এলেন। উদার অর্থনীতির প্রথমসারির অভিভাবক তিনি। তাঁর দাবি তিনি ভারতীয় সংস্কারের অন্যতম ভগীরথ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহের উত্তরসূরি হিসাবে নিজেকে বাজার অর্থনীতির অন্যতম অভিভবাক বলে দাবি করেন। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বণিক সমাজের প্রতিনিধি। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কি ভাবতে পেরেছিলেন তাঁর শাসনকালে নিজের হাতে গড়েতোলা উন্নত এক রাজ্য থেকে ভারতীয় সংস্কৃতির অতীত এক মূল্যবোধ আছাড় দেবে? রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর পর পরই কি ভারতীয় গরিমায় আঁচড় লাগল? আমরা পিছনের ফেলে আসা গ্রাম ভারতকে দেখলাম? এখানেই শেষ নয়। অতীত ভারত নামক রাষ্ট্রকে এক পা এগতে দিলেও দু’পা পিছনে টানছে। নাগরিক ভারত ফিরে যেতে চাইছে সামন্ত্র সংস্কৃতির দোলাচলে। বাজার অর্থনীতির সঙ্গে প্রাচীন ভারতের উপরিকাঠামোর সংঘাত সম্ভবত এখানেই। এটাকে চিহ্নিত করা গেলেও উত্তরণ প্রয়োজন। মন্দের ভালো প্রায় প্রত্যেকটি জাতীয় এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধে উঠতে পারছে। গত কয়েকমাস ভারতে ‘দলিত’ সমস্যা এবং কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রের ঘুম কেড়ে নিয়েছে? তবুও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদে উচ্চারণ করতে হবে না রাষ্ট্র নিদ্রা যায়নি।
দলিত সমস্যা
মধ্যযুগের কবি বলেছিলেন ‘’চন্ডালেতে রাঁধে ভাত, ব্রাহ্মণেতে খায়/ এমন সুধন্য দেশ, জাতি নাহি যায়।‘’ সাহিত্যিক কমলকুমার মজুমদারের লেখা অমর সাহিত্য ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ উপন্যাস (সুবর্ণরেখা, প্রথম প্রকাশ ১৩৬৯) শুরু হচ্ছে এইভাবে ‘’আলো ক্রমে আসিতেছে। এ নভোমণ্ডল মুক্তাফলের ছায়াবৎ হিম নীলাভ। আর অল্পকাল গত হইলে রক্তিমতা প্রভাব বিস্তার করিবে, পুনর্বার আমরা, প্রাকৃতজনেরা, পুষ্পের উষ্ণতা চিহ্নিত হইব। ক্রমে আলো আসিতেছে।‘’ (পৃষ্ঠা-১)
শেষের দিকের একটি অংশ ‘’বিস্ফারিতনেত্রা যশোবতী দুর্দশা দেখিলেন, তাঁহার পদদ্বয় ঘর্মাক্ত হইল, তাঁহার কর্তব্যবুদ্ধি ফিরিয়া আসিল। তিনি ছুটিতে গিয়া দেখিলেন তাঁহার হাত এখনও চন্ডাল ধরিয়া আছে। তিনি শিশুর মত আপনকার পা মৃত্তিকায় ঠুকিতে লাগিলেন, গগন শঙ্কিত হইল। আর যে, হঠাৎ তিনি চন্ডালের হস্তে কামড় দিতেই বৈজুনাথ হাত ছড়াইয়া লইল। এত জোরে তিনি কামড়াইয়াছিলেন যে বৈজুনাথের হাতের চুল ছিঁড়িয়া মুখে আসিয়াছিল। থু-থু করিতে করিতে তিনি তড়িৎবেগে ভেড়িপথেই ছুটিতে লাগিলেন, কখন আপনার হস্ত দর্শন করিলেন, কখনও আবার দেখা গেল আপনারগন্ডে চপেটাঘাত করিতে করিতে ছুটিতেছেন।‘’ (পৃষ্ঠা-২১০)                
তথ্য বলছে ভারতে ৪৫ শতাংশ আদিবাসী এবং ৩২ শতাংশ তফসিলি জাতির মানুষ আজও দারিদ্র সীমার নীচে। একটা সূত্র থেকে পাওয়া আরও খবর এঁদের বৃহত্তম অংশই ভূমিহীন। শুধু তাই নয় এঁরা নিম্ন মজুরির পেশায় আবদ্ধ। আমরা জানি সংরক্ষণের কারণে তফসিলি জাতির উপস্থিতি ১৭ শতাংশ, আদিবাসী ৮ শতাংশ। বেসরকারি চাকরিতে এই সব মানুষদের উপস্থিতি অতি নগন্য। অর্ধেকের কাছাকাছি তফসিলি জাতি ও আদিবাসী ছাত্র ক্লাস সেভেন পর্যন্ত কষ্ট করে পড়তে পারে। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ৮৫ শতাংশের বেশি অংশ তফসিলি জাতি এবং আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে আসে। আবার দলিত শ্রেণীর মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, উনায় চার দলিত যুবককে হেনস্থার প্রতিবাদে জুলাই মাসে সরকারি নিরাপত্তা এবং পরিচয় পত্রের দাবিতে গুজরাটের একাধিক সংগঠন ধর্মঘটে সামিল হয়। একটি সংগঠনের সদস্য নাতু পার্মার জানান, ‘’আমদের প্রধান দাবি মরা জন্তুর দেহ ভাগাড়ে ফেলে আসার কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদের সরকারি পরিচয় পত্র দেওয়া হোক।‘’ আমরা আবিষ্কার করলাম আঁধার কার্ড করাটা বাধ্যতামূলক হলেও দলিতদের কর্ম পরিচিতির কার্ড নাগরিক ভারত করতে পারেনি বা করতে চায়নি। কেন?
প্রাবন্ধিক শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় ১৯৮৬ সালের একটি মাসিক পত্রিকার দ্বিমাসিক সংখ্যায় লিখছেন, ‘’ভারতবর্ষে সমাজ বিঞ্জানের আলোচনায় জাতিপ্রথা বা ‘কাস্ট সিস্টেম’ এক উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র। ‘কাস্ট’ কথাটি ল্যাটিন শব্দ ‘Castus’ থেকে উদ্ভূত। Castus কথাটির অর্থ বিশুদ্ধ। পর্তুগীজরা ভারতের অসংখ্য জাতিকে ‘কাস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করে। প্রাচীন ভারতের বর্ণ বিভাগ এক ধরনের শ্রেণী বিভাগ। কালক্রমে বর্ণ বিভাগের কাঠামোর মধ্যে অসংখ্য জাতি ধীরে ধীরে উদ্ভূত হয়। বর্তমান ভারতে প্রায় তিন হাজার জাতির দেখা পাওয়া যায়। বর্তমানের জাতিপ্রথা আজও আবর্তিত হয় প্রাচীন সনাতন বর্ণপ্রথার কাঠামোর মধ্যে যা এখন শুধুই একটা ধারণা। রক্তের বিশুদ্ধতা আজ আর কোন উচ্চ জাতিরই নেই।
বর্ণবিভাগ বা জাতি প্রথার ক্রম বিকাশ আর সমাজকর্তার দ্বারা এর পরিচালনায় ইতিহাসে ‘ইডিয়লজি’ বা ধর্ম যুগে যুগে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। অনেকে বর্ণবিভাগ বা জাতি প্রথাকে ফাংশানাল বলে মনে করেন, তাঁদের মতে এক সংহতিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি হল জাতি প্রথা এবং এই কাঠামতে ‘সোশ্যাল মোবিলিটির (অর্থাৎ নিম্নবর্ণ থেকে উচ্চবর্ণে আরহণ বা এর বিপরীত গমন।) অভাব ছিল না। কিন্তু আমাদের ধারণা বর্ণ বিভাগ বা জাতি প্রথা অতি অবশ্যই এক ধরণের শ্রেণী বিভাগ, একে অস্বীকার করলে সমাজ কর্তারা ‘Correction’ বা দমন পীড়নের বিধানই দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দিয়েছেন তাত্ত্বিক অর্থাৎ ধর্মগত নির্দেশ।‘’ খুব সম্ভবত কংগ্রেস মহাত্মা গাঁধির নেতৃত্বে একটা পথ খুঁজে নিতে চেয়েছিল। তাই ‘হরিজন’ শব্দের মধ্যে অচ্ছুত শ্রেণীর আশ্রয় হয়েছিল। জওহরলাল নেহরুর পশ্চিমী শিক্ষার আলো এবং মিশ্র অর্থনীতি ভারতকে অনেকটা ‘জাতপাত’এর সমস্যা থেকে বাইরে টেনে আনতে পেরেছিল। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘’আয়বৃদ্ধির হার যে অলিম্পিক্স এর রেস নয়, এই কথাটা ভারতে মাঝেমাঝেই গুলিয়ে যায়। বৃদ্ধির হার কত, তার চেয়ে বেশি জরুরি হল সেই আয়বৃদ্ধির সুফল সবার কাছে পৌছোছে কিনা। ভারতে নেহরুর আমল থেকেই সর্বজনীন উন্নয়নের দিকে ঝোঁক ছিল। সম্প্রতি সেটা খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে তো বটেই।‘’   
নাগরিক ভারত আড়ালে পরিবারে জাতিপ্রথা মানলেও ধীরে ধীরে অফিস কাছারিতে এক ‘ফিল্টার’এর জল খেতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। সভ্যতার আলো সম্ভবত এভাবেই আমাদের চুপি চুপি বলে তুমি আধুনিক ভারতের সন্তান? না......?
কিন্তু সংবাদ মাধ্যম যতই আধুনিক মিশ্র সংস্কৃতির গল্প ফাঁদুক। বলিউড হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে বেদ পুরাণ, রামায়ন, মহাভারতের গল্পগাঁথাকে আধুনিক ক্যানভাসে আমদের পরিবেশন  করুক না কেন। গ্রাম ভারত যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে গেছে। ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ আধুনিক সমাজ গড়তে অনেক অনেক সাহায্য করছে তাই হয়ত রাষ্ট্র নেতারা আপন ভদ্রাসন থেকে নেমে আসছেন। মানুষের দাবিতে। মানুষের বর্ণীল আন্দোলনের আলোকছটায়। সমস্ত দেশ জুড়ে দলিত নিগ্রহ নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সামনে এলেন। রাজধর্ম পালন করলেন বা করতে বাধ্য হলেন। একুশ শতাব্দীর বাধ্য বাধকতায়। ৭ অগস্ট তিনি বললেন, ‘’যদি আক্রমণ করতেই হয়, আমাকে করুন। যদি গুলি করতেই হয়, আমাকে গুলি করুন। আমার দলিত ভাইদের নয়। এই খেলা বন্ধ হোক।‘’
৩১ জুলাই সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানতে পারছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করে। ৩০ জুলাই মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জন কার্বি বলেন, ‘’ধর্ম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে এবং অসহিষ্ণুতার বিরোধিতায় আমরা ভারতবাসী, ভারত সরকারের পাশে আছি। সরকারকে আর্জি জানাচ্ছি, তাঁরা যেন সর্বশক্তি দিয়ে নাগরিকদের রক্ষা করেন। দোষীরা যেন শাস্তি পায়।‘’
ভারতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উনার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে। কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধি নিজে তাঁর সংসদীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে পীড়িতদের সঙ্গে দেখা করেন। সংবাদ পত্রের সেদিনের ওয়েব পাতার সংস্করণ থেকে আমরা জেনে নিতে পারি।
‘’Congress vice president Rahul Gandhi Thursday met members of the Dalit family who were assaulted allegedly by Gau Rakshaks for skinning a cow carcass.
“In Mota Samadhiyala, Una to meet the family members of the Dalit youths who were so brutally assaulted,” he tweeted.
The Congress vice-president assured Balu Bhai, the father of the Dalit youths, that justice will be served.

“We told Rahul ji everything, how we were all beaten up. He said they will do everything to get us justice,” said one of the victims.
“Why should we leave this village? The people, who have hurt us should leave,” he added.
Rahul left for Rajkot to visit the victims receiving treatment at PDU General Hospital.
This comes a day after Rahul was found “dozing off” in the Parliament, when the issue of atrocities against Dalits in Gujarat was raised. Bahujan Samaj Party (BSP) supremo Mayawati said this incident showed Rahul’s lackadaisical attitude towards the sensitive matter.
On Wednesday, there was a near total bandh in Gujarat called by Dalit groups as protesters took to the streets, downing shutters, attacking public transport and halting trains and vehicle traffic. Chief Minister Anandiben Patel also met the victims on Wednesday, but it did little to help calming the protesters.
Seven youths of the Dalit community were beaten up last week by some people claiming to be ‘gau rakshaks’ (cow protectors) when they were reportedly skinning a dead cow in Mota Samadhiyala village.’’ By: Express Web Desk | New Delhi | Updated: July 21
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন। উনায় তৃণমূলের সংসদীয় দল পাঠিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কলকাতায় বলেছেন, ‘’আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমার বন্ধুরা রয়েছেন। ওঁদের এগিয়ে দিতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চাই আমি।‘’  
সনিয়া গাঁধি কংগ্রেসের ধারাবাহিকতা মনে রেখে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও দলের নেতা-সাংসদদের নিয়ে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর বিকেলে সংসদ চত্বর থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত হাটেন। সেদিন রাহুল গাঁধিও ছিলেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে কংগ্রেস সভাপতি ওইদিন স্মারকলিপি জমা দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সনিয়া বলেন, ‘’গোটা দেশে ভয়, হুমকি ও অসহিষ্ণুতার পরিবেশ কায়েম হয়েছে। কিছু লোক দেশের বর্ণময় সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চাইছেন।‘’

No comments:

Post a Comment