Sunday 27 December 2015

আজকের সিপিএম

প্রথমেই জানাই আমি গণতান্ত্রিক ভারত নামক একটি দেশের বৈধ নাগ্রিক হিসাবে এই লেখার অবতারণা যেমন করছি। পাশাপাশি একজন প্রতিবেদকের অবস্থান থেকে কিছু কথা ব্লার চেষ্টা করব। তবু নিজের সঙ্গে আগে যুঝে নেওয়ার কথা বলতেই হয়। কারণ অপ্রয়োজনীয় কিছু আশঙ্কার 'দিকচিহ্নের' একাধিক স্মারক আমাদের সাম্নে রয়েছে। বর্তমান আরথসামাজিক সবঅবস্থান থেকে কেউ ফোন করবে অথবা বাড়ি এসে কথা বলবে এই দুঃসাহস দুর্বল 'সিপিএম' এর জামানাতেও কেউ আছে বলে মনে হয় না। বিশেষত আমার মত একজন বহু কথিত 'হীনব্ল' (আরথিক এবং সামাজিক) এবং 'দেগে' দেওয়া মানুষের সঙ্গে কে কথা বলবে?এখন স্মভবত সবাই জানে বামপন্থীদের এক্মাত্র 'অগ্রগামী' প্রধান দল হিসাবে 'সিপিএমের' অনুশাস্ন। আমি বাক্তিগতভাবে দলের রাজ্য কমিটির প্রধান পুরোহিতদের দ্বারা গত কয়েক দশক নিষিদধ ছিলাম। সেই উদবেগ থেকই বলছি। এটাই সম্ভবত রেজিমেন্টশেস্ন ছিল।
এত সীমাব্ধতার মধেও দু-একজন দাবি নিয়েই হাজির হয়েছে 'সিপিএম' নিয়ে কিছু লেখার জন্য। আমার যোগ্যতা কতটা আছে সেই দুঃসাহসিক প্রল্মবিত পৌণপুনিক সবম্ভাষণ মানুষ করবে বলেই জানি। এই লেখায় কোনও অসীমায়িত তাতবিক দায়িত্ব নেওয়ার দুঃসাহসে যাব না। ১৯৬৪ সালে গঠিত 'যুক্তি-তক্কঅ-গপ্পের' একটি ভারতীয় ধারায় 'ভুল এবং ঠিকের' দাবি নিয়ে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। তারাজুতে আজ ত্তব আর বাস্তবের মানদনড। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ নামক একটি রাজ্যে সিপিএমের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের পতন হ্ল। তখন আমরা শুনছিলাম সিপিএম ভেঙে দুটো দল হবে। একটির নেতৃত্বে থাকবেন কমরেড পরকাশ কারাত। সেটি আধুনিক গণতান্ত্রিক সিপিএম। পরেরটি কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে বিপ্লবী সিপিএম। দীর্ঘ টানা পোড়নের প্র দেখা গেল কমরেড কারাত, কমরেড ইয়েচুরি, বর্ষীয়ান কমরেড অচযুতান্নদ এবং আরও ক্যেকজন গণতান্ত্রিক সিপিএম নেতার উদযগে দলটির ভাঙ্গন রোখা সম্ভব হয়েছে।
এই প্লেনামে নিশ্চ্য সশ্ত্র বিপ্লবের খসড়া তৈরি হবেনা। জনণতান্ত্রিক বিপ্লব না সংসদীয় গণতন্ত্র? এই শিরোনাম সাম্নে রেখে ভারতের মানুষের আশু প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। লক্ষ লক্ষ বেকারের চাকরি, শিল্পের প্রসার তথা বৃহত এবং 'এসএমই' শিল্পের বিকাশের জনয সামাজিক আন্দোলন নতুন সিপিএমকে চিনতে সাহায্য করবে আশা করি। দেশের প্রাথিমিক শিক্ষা এবং সবাস্থ নিয়ে কি দল রাজনৈতিক ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে?  
আমার ব্যক্তিগত অভিঞ্জতা থেকে প্রথমেই বলব, গত চল্লিশ বছরের যে 'পাওয়া এবং পাইয়ে' দেওয়া সংস্কৃতি দলের ক্যাডাররা উপভোগ করেছেন সেটা পুন্রমূলযাণ করা প্রয়োজন। যদিও কেরল, তেলেঞ্জনা সহ কয়েকটি রাজ্য 'হোলটাইমারদের' বেত্ন এবং পেনশ্নের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া প্রয়োজন। সব রাজ্যের জন্য। তবে সম্ভবত নীচের স্ত্রে দুর্নীতির ঝোঁক কমতে পারে। নীচের স্ত্রের ক্রমীদের 'ব্যবহার'-এ আশু পরিবর্তন প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করব কমরেড জযোতি বসু এবং কমরেড অনিল বিশবাসের কথা।
২০০২ সালে একটি কেব্ল চযানেলের হয়ে কমরেড বসুর সাক্ষাতকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল, তখন আমি জানতে চেয়েছিলাম কলকাতা থেকে হোসিয়ারি শিল্প চলে গেল কেন? তাঁত এবং রেশ্ম শিল্পের এই দৈনয      দশা কেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'এই দুটি বিষয়ে আমাদের নতুন করে নজর দেওয়া দ্রকার।' কমরেড অনিল বিশ্বাস অকপটে কয়েকটি বিষয়ে ভুল সবীকার করে বলেছিলেন, 'আমি এসব জানতাম না। মেনে নিচ্ছি আমাদের ভুল হয়েছে।' তিনি আরও বলেছিলেন, আমরা 'আত্ম স্মলোচনা করতে ভুলে গেছি।'
আমার মনে হয় আমি কি বলতে চাইছি বোঝাতে পেরেছি। পুরনো পরবাদ মনে করে 'কোন কালে ঘি দিয়ে ভাত খেয়েছি আর দই দিয়ে হাত ধুয়েছি' এই অহংকার থেকে দল্কে বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশের বহু বর্ণের সংস্কৃতি এবং জাতের যে সমন্বয় আমরা পেয়েছি ভারতের কংগ্রেস সহ অনানয গ্ণতানত্রিক শক্তির সঙ্গে পা মেলানোর দায়িত্ব নিতে হবে 'সংসদীয় গ্ণত্নত্রের' মঞ্চ থেকে। সমালোচনা, তর্ক, বিতর্ক মেনে নেওয়ার মত পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্বও নতুন সিপিএমের নেতৃত্বকে ভাবতে হবে। তথাকথিত সাম্নত্রতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে স্মালোচনা করতে না পারলে বৃহত্তর ময়দানে দুরব্লতা ধ্রা পড়ে যাবে।            ৎ             

No comments:

Post a Comment