Sunday 6 March 2016

বিনা আমন্ত্রণে

উপযাচক হয়ে বিনা আমন্ত্রণে নেমে পড়লাম। ভারতের প্রথমসারির সাংবাদিক ব্রখা দত্তের বক্তব্য বিনা আম্নত্রণে টিভির প্রদায় শুনলাম। বছর তিন চার আগে আন্নদবাজার পত্রিকার 'দেশ বিতর্ক সভা' এবং' 'দয টেলিগ্রাপফ নযাশ্নযাল ডিবেটের' আমন্ত্রণ সরাস্রি রাজ্যের অভিভাবক সংবাদ মাধযমের অফিস থেকে আসত। 'বিতর্ক' আমার আপনার বেঁচে থাকার পাথেয়। অনেকটা ভালো গান আর কবিতা নিরজন ঘরে শোনার মতই। বিশেষত এই ধরণের বিত্রক্সভা হলে। হঠাত প্রকাশিত এই বিষয়টা নিয়ে কিছু লিখতে চাইছি কেন? যা লেখার গৌত্ম চক্রবর্তী নিজসব বযক্তিক গাম্ভীর্যে লিখে দিয়েছেন। আসলে 'সহিষ্ণুতা' 'অসহিষণুতা' নিয়ে লেখার চেষ্টা আমি বিভিন্ন ব্লগে করেছি। আমি নিজেও এই বাংলা তথা দেশে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষিত সমাজ ক্রতাদের কাছে 'জলচ্র' ছিলাম না। নিজেও অনুভব করেছি আমি ওই সব নাগ্রিদের কাছে ক্তটা গ্রহ্ণযোগয? তাঁরা কি আমার প্রতি সহিষ্ণু? নাগরিক সমাজের ওই সব ত্থাক্থিত বিশিষ্ট জনেরা আমার মত মানুষদের 'ছেলাবেলা' থেকেই 'স্মাজচযুত' বা স্মাজবিছিন্ন করে রেখেছেন। এক কথায় 'অস্পৃশ্য' করে রেখেছিলেন। কারণ আমাদের পারিবারিক দারিদ্রতা। এই লেখাটা হয়ত লিখতাম না। সাংবাদিক-যোগ্য স্মপাদক ব্রখা দত্তের একটি বক্তব্য আমাকে চাগিয়ে দিল। ব্রখা বলেছেন, ''আমি দাদ্রি, গোধ্রা, জরুরি অবস্থা সব কিছুর বিরুদ্ধে। কিন্তু আমার ভাষা কেড়ে নিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের স্বার্থে 'সেকুলার' কে 'সিউডোসেকুলার' বানিয়েছেন। বিদেশি জাতীয়তাবাদের বদলে বরং সব্দেশপ্রেম শব্দটা উচ্চারণ ক্রতেই ভালো লাগে।''
বরক্ষা দত্ত 'সিউডোসেকুলার' শব্দটি বযবহার করেছেন। আমরা আশি-নব্বই দশকে 'সিউডোইনটেক লেকচুয়াল' শব্দগাছা ব্যবহার করতে পারঙগ্ম ছিলাম। ভারতবর্ষ এমনই একটা দেশ যে দেশের মানুষ এখনো 'ধ্রম-ব্রণ' ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে দোল খেলে। হোলি খেলে। 'বিপ্লব দীরঘজীবী হোক' যেমন লোকে বলে ঠিক তেমনি 'বসন্ত দীর্ঘজীবী হোক' বলার সংখ্যা এই দেশে অনেক বেশি। ক্যেকশ বছর আগের মূল্যবোধ সব সময় লড়াই করে উত্তর আধুনিক মূলযবোধের সঙ্গে। অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয়কে আমরা চাগিয়ে তুলি। এই দেশে জন্মে এই দেশের উন্নয়নের কথা বলব না? এই দেশের কৃষ্টি, উপাচার সব অসবীকার করব? বযক্তিগতভাবে আমি মনে করি সাংবাদিক, লেখক হিসাবে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের 'উন্নয়ন মূলক কাজগুলিকে' আমাদের সমর্থন করা উচিত। প্রশংসা যেমন করব আবার ভুলগুলিকে গঠন্মূল্ক দৃষ্টিতে সমালোচনা করব। এখানেও বরখা বলেছেন, ''কোনও চযনেলের আযঙ্ক্র যখন মনে করেন, গ্লার জোরেই সব দমিয়ে রাখবেন, সাংবাদিক্তার বদলে ন্টুকেপ্নাই চূড়ান্ত করবেন, আমার দুঃখ লাগে।'' বিষয়টা গভীর প্রতয্যে সংবাদ মাধযমের করমীদের অনুভব করা উচিত নয় কি?
'সহিষণুতা' শব্দটা নিয়ে যারা উস্কে দিচ্ছেন তাঁদের 'শক্তিকে' উপেক্ষা করার জনয আমাদের অনেক মূলয দিতে হচ্ছেনাতো? ভেবে দেখার সময় কিন্তু এসেছে। 'শিক্ষার গোয়ারতুমি'? না 'গোঁয়ারতুমির' শিক্ষা? স্ম্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমদের চলতেই হবে। যে নরেন্দ্র মোদী একদিন আমেরিকার ভিসা পান্নি। এই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি পান্নি। অবশ্যই স্রকারিভাবে নয়। এই দেশের যারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন বা ক্রছেন তারাই সেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হ্যেছেন।  ইউরোপ-আমেরিকা সহ একাধিক দেশের ভিসা নিয়ে ঘুরছেন। এই অভিঙ্গতা থেকেই বলতে হবে 'নেহরু-গাঁধি' প্রিবারের 'সহিষ্ণুতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলা বাতুলতা মাত্র। রাজীব গাঁধি যখন দেশকে বুঝলেন, উপলব্ধি ক্রলেন। যখন যোগয নেতা হয়ে উঠছেন তখনই জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন এই দেশে মহাত্মা গাঁধি ন্ন, সুভাষ চন্দ্র বসু, ইন্দিরা গান্দধি, রাজীব গাঁধি, শযামাপ্রসাদ মুখারজীদের জীবন দিয়েই প্রমাণ করতে হয়। অখণ্ড 'ভারতে' সবাই থাকবে। ১০০ বছর পরে 'ভারতীয়' নামে একটা জাতীর উথথান হবে 'এই ভারতের মহামানবের সাগ্রতীরে'।
স্ম্যের দাবি সবাই মেনে নেয়। মেনে নিতে হয়। যদি বামপন্থীদের কে এগিয়ে থাকা অংশ বলে ধরে নিতে পারি তা হলে সিপিএম দলের একটি সিধান্তকে কুরণিশ জানাতেই হবে। সেটা হচ্ছে 'থিঙ্ক টুগেদার'। স্ম্রপ্তি ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য স্মপাদক অশোক ঘোষ কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্করাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সিপিএমের বিদ্গধ চিন্তাবিদ কমরেড বুধদেব ভট্টাচার্য। গতকাল (৫ মার্চ) আমি যখন টিভিতে দেখি তখনই আমার নজরে পড়ে। বুদ্ধবাবু জোড় হস্তে ভারতীয় মুদ্রায় প্রণাম বা নমস্কার করলেন। অনযানয্রা 'মুস্টিব্দধ' হাত তুলে 'লালসেলাম' জানালেও বুদ্ধবাবু 'নমস্কার' করলেন। ভারতীয় সংস্কৃতিতে দলের কট্টরপন্থীদের বারতা দিতে চাইলেন কি? এই স্ম্যকে বেছে নেওয়াটাই যে সঠিক সময়। আপনাদের কি মনে হয়? 'ইনক্লাব জিন্নবাদ' যেমন থাকবে। 'লাল সেলাম'ও  থাকুক আবার 'বন্দেমাত্রম', 'জয় হিন্দ' এবং 'নমস্কার' আমাদের জাতীয় ঐতিহয। দুটোকে মেনে নেওয়াটাই জাতীয় সহিষণুতা। 'সবার উপ্রে মানুষ সত্য তাহার উপ্র নাই'।                      
                                   

No comments:

Post a Comment