Sunday 29 November 2015

'আলিবাবা'-চিরন্তন

বাংলায় উল্লেখযোগ্য 'রুপকাথা' আর তেম্ন লেখা হছে কি? প্রশ্নটা তুলছি। কারণ আমার পাঠ সীমাবদ্ধতার জন্য কোনও স্মদ্রশী সিধান্তে উপ্নীত হওয়া ব্যক্তিগত পরিহাস হয়ে যেতে পারে। 'তেপান্তরের রুপকথা' ব্লতে আমরা ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদযা বিনোদের 'আলিবাবা' বা 'আরিবিয়ান নাইটস ফ্যান্টাসি' পড়েছি। পরে বাংলা ভাষায় তৈরি 'ম্রজিনা আব্দল্লা' সিনেমাও দেখেছি। হিন্দিতেও 'আলিবাবা চাল্লিশ চোর' ছবি আমরা পেয়েছি। কিন্তু এই বিষয়ের উপ্র পুরনাঙ্গ একটি নাটক? হযা। একটি আন্তর্জাতিক সবেচছাসেবি সংস্থার আমন্ত্রণে শ্নিবার স্নধযেয় দেখে এলাম 'আলিবাবা' নাটক। তারিফ করতে হয় মুম্বাইয়ের নাট্যগোষঠীকে। 'আন্নদ্ম' নাট্য গোষঠীর 'আলিবাবা' নাটকটির প্রিচাল্ক লাকি মুখারজীকে ধন্যবাদ। 'ক্লপ-বিঞ্জানের' যুগে তথা 'তথ্য-প্রযুক্তির' আধুনিক্তাকে সমানে পাল্লা দিয়ে প্রিচাল্ক এমন একটি উপস্থাপনা আমাদের উপহার দিতে পেরেছেন সাফ্লযের সঙ্গে।
নাটকের শুরুতেই ম্রজিনা-আব্দল্লা কে দেখে আমার পিছনের আস্ন থেকে একটি কম বয়সী ছেলে বলে উঠল, 'বাবা  I know them'. এখানেই সাফ্লয। আবার ওই ছেলেটি গুহায় মানুষের হাড়, মড়ার খুলি দেখতে না পেয়ে বলে উঠল, 'ও বাবা হাড় কোথায়? মড়ার খুলিও যে নেই।' আমার প্রশ্ন মঞ্চের মেঝেয় 'কাগজের' বা 'হার্ড বোর্ডের' তৈরি হাড়, মড়ার খুলি রাখা যেত না? ডিটেলিং এ আরও কিছুটা যত্ন নেওয়া কি সম্ভব নয়? তবুও নাটকটির আরও মঞ্চায়ন প্রয়োজন। এই প্রজন্মের বাঙ্গালির হারিয়ে যাওয়া শৈশব, কৈশোর কে ফিরিয়ে আনতে। সুদূর মুম্বাই থেকে এসে এত বড় একটি প্রযোজনা করা স্তযিই যথেষ্ট কষ্টার্জিত আশ্রমিক।
অভিনয় নিয়ে আমি কিছু ব্লার অধিকার অরজন করিনি। তবুও বলব আব্দল্লা চ্রিত্রে লাকি মুখারজী এবং ম্রজিনা চ্রিত্রে পৌল্মী চক্রবর্তী সব-মাত্রায় দর্শকের অভিন্নদন দাবি করতে পারে। আবার ফতিমা বিবি চ্রিত্রে মুনমুন চ্যাটারজী এবং সাকিনা বিবি চ্রিত্রে সবাতী চযাটারজী ততকালের একটি মুস্লিম সমাজের যথার্থ প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন নিজদের সামগ্রীক্তায়।
'রূপকথা' কেন্দ্রিক এইসব নাটকে (যেমন ঠাকুরমার ঝুলি) আলো, সঙ্গীত এবং আবহ সঙ্গীত বিশেষতব প্রয়োজন হয়। মুম্বাইয়ের নাট্য গোষঠী প্রযোজিত 'আলিবাবা' নাটকে বিশবনাথ দের আলো কিছুটা উচ্চকিত হলেও সম্ভবত শিশু-কিশোরদের জন্য এটা প্রয়োজন। যদিও ২৮ নভেম্বর কলকাতার রবীন্নদ্র সদনে অনুষ্ঠিত নাটক দেখতে শিশুদের উপস্থিতি নগনয ব্লেই মনে হয়েছে। পাশাপাশি স্নগীতে কোয়েল ত্রিপাঠী সঙ্গীত প্রিচাল্ক হিসাবে সফল আবেদন রেখেছেন। গায়িকা হিসাবেও তিনি আলদা করে নজর কেড়েছেন।  আন্নদ্ম নাট্য গোষঠী তাঁদের 'প্রিচিতি' পত্রে জানাচছে, এই নাটকের থেকে সংগৃহীত অর্থ আরথ-সামাজিভাবে দুর্বল শ্রেণীর কযান্সার আক্রান্ত মানুষদের চিকিতসার জন্য দান করা হবে।
এই বাংলায় নাট্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ভারতের নেতৃত্ব দাবি করে। দিকপাল সব নাট্য ব্যক্তিত্বদের আমরা পেয়েছি। গিরিশচন্দ্র ঘোষ, শিশির ভাদুড়ি, অহীন্দ্র চৌধুরী, উতপ্ল দত্ত, বিজন ভট্টাচার্য, অজিতেশ বন্দোপাধযায়। এই ধারাবাহিকতা মেনে বাংলা নাটক বিভিন্ন 'ঘূরণি'র অব্বাহিকায় বর্তমানে নিজসবতা দাবি করে। তবুও প্রশ্ন থেকে যায় সবাধীন্তার আলোয়। শব্দ-বাকযের ছল চাতুরিতে সমাজ কতটা উপকৃত হছে?                  

No comments:

Post a Comment