Thursday 22 October 2015

শিখিতে হয় না হইলে পিছিয়া পড়িতে হয়


প্রথমেই এই বাংলা তথা প্রবাসের এবং 'দেশে-বিদেশের' বাঙালি পণ্ডিত মণ্ডলীর কাছে মার্জনা চাহিয়া  লইতেছি। যদি কোনও অসংযমী বাক্য, শব্দ আপ্ন দিগের ম্নঃপূত না হয় তাহা হইলে আপন আপ্ন আভিজাতয এবং আপনার গুণে মাফ ক্রিয়া দিবেন। কারণ এই স্তম্ভে আবারও কহিয়া রাখি, আমার যোগ্যতা অষ্টম গর্ভে স্বন্গাতানের    বাগড়াম্বরের ল্গে। চাল বাড়ন্ত ঘ্র থিকা আসিয়া সাহস কিভাবে হয় শুনি? কথা উত্থাপন করিয়া বলিতে চাহিতেছি আমাগো দযাশে এক ঝাঁক লেখক, শিল্পী, নাট্য কর্মী তাহাদের দবারা প্রাপ্ত দ্বিজশ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ফিরাইয়া দিয়াছেন। তাহাদের অভিযোগ এবং প্রতিবাদ ভারতে স্বাধীন এবং বহু বর্ণের কণ্ঠ স্বর বন্দধ ক্রিবার চেষ্টা হইতেছে। এবং সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছে। 
ইহার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের স্নগবেদনশীল কবি এবং সাহিতিযক গ্ণ তাহাদের পুরষ্কার ফিরিয়া দিতে চাহেন না। শ্রদ্ধেয় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শ্রদ্ধেয় কবি শঙ্খ ঘোষ, প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় সাহিতিযক শীর্ষেন্দু মুখোপাধযায় এবং এই প্রজন্মের অতযন্ত শক্তিশালী কবি সুবোধ সরকার এই পঙতি তে আছেন বলিয়া জানি। ইহাতে আপত্তি করিবার মত ধৃষ্টতা আমার নাই। তাহাদের নেতৃত্বে একঝাক এই বাংলার লেখক শিল্পী অবস্থান করিয়া প্রতিবাদ করিয়াছেন। শিল্পী প্রতুল মুখোপাধযায়, মীরাতুন নাহার, বিভাস চক্রবর্তী এবং সুবোধ সরকার। সাহিতিযক নবনীতা দেবসেনের নেতৃত্বে একদল বাংলার লেখক প্রতিবাদ পত্র পাঠাইয়েছেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রাধান্মন্ত্রীর কাছে। অনয সব্র অনযভাবেও আছে যেমন কবি মন্দাক্রান্তা সেন। 
এহ্ন কথা দুইখান আছে। বছরটা ২০১৫। বছরটা ২০০৭-২০০৮ নয়। সেই রাম নামক সিঙ্গুরও নায়। আবার অযোধযা নামক ন্নদীগ্রামও নায়। কথা ছিল দুইডা। 'আমরা- ওরা' । স্কক্লে জানিয়াছিল দুই পারটির দুই দল। আমার বিভ্রম হইয়াছিল। আমি সোশাল মিডিয়ায় সুযোগ পাইয়াই লিখিয়া ছিলাম। একটি দলের দুই নেতার দুইডা ব্যানার হইয়াছিল। সেই বযানারে প্রকৃত বুদ্ধি চর্চা করা প্রতিবাদি মুখ যেমন সামিল হইয়াছিল। আবার মধয মেধার দলছুট কিছু স্ব ঘোষিত দবিজ গ্ণ ভিড় ক্রিয়াছিলেন। তাহারা কিন্তু আজ আর নায়। এখন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'উলঙ্গ রাজা' কাব্যগ্রন্থের ভাষায় বলিতে হয়, 'রাজা তোর কাপড় কোথায়? শঙ্খ ঘোষ তাঁর 'বাব্রের প্রারথনা' কাব্যগ্রন্থের 'পথের বাঁকে' কবিতায় ব্লিতেছেন, ''আজ আমার কথা বলবার কথা নয়/ তবু ব্লি:/ দাঁড়িয়ে আছি এই পথের বাঁকে/ আর সাম্নেই ডালপালাহারা দীর্ঘ বাক্ল/ ঠাণ্ডা আর চুপ.........''। 
 যাহারা পথ দেখাইছেন। আজও পথ দেখায় সেই স্ব অগ্রজ কবি, সাহিতিযক, শিল্পীদের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে উচ্চারণ ক্রি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা। 'ক্লকাতার যীশু' কবিতার শেষ চরণ। ''............সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে / সমগ্র বিশবকে তুমি পেতে চাও/ হাতের মুঠোয়। যেন তাই/ টাল মাটাল পায়ে তুমি/ পৃথিবীর এক-কিনার থেকে অন্য কিনারে চলেছ।''
আসেন আমার সঙ্গে। পৃথিবীর অন্য কিনারে একবার ঘুরিয়া আসি। আমরা জ্যা-প্ল সাত্র এর কথা জানি। তিনি খুব স্মভবত নোবেল পুরষ্কার গ্রহ্ণ করেন নায়। পাশাপাশি যতদূর ম্নে ক্রিতে পারিতেছি , সাদাত হাস্ন মানটো কেও ভুলিয়া যাইবার স্ব রক্ম ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। কি ব্লিবেন? কাহারে ব্লিবেন? শুনিলেন? না শোনা হয় নায়? তবে বাবু মশায়রা  এই শোনেন, মহারাষ্ট্রে ব্রিহ্মুম্বই কোনও একটি উতসব উপলক্ষে নিরামিষ ভোজনের জন্য আবেদন ক্রিয়াছিল। বুদধিমতি অভিনেত্রি সোন্ম কাপুর আপ্ন গ্রিমায় সম্ভ্রান্ত সোশাল মিডিয়া টুইটারে লিখিয়াছিলেন, ''অসহিস্নু নারী বিদ্বেষী সংকীর্ণ ম্নাদের জন্য ভারত চিরকাল তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়ে থেকে যাবে।'' কি শুনলেন? কথা হইয়াছিল আঁশ-নিরামিষ লইয়া। কিন্তু কি শুনিলেন? বাংলাদেশের চিত্র প্রিচাল্ক তারেক মাসুদ ব্লিয়াছিলেন, ''আমরা যত মিশ্র তত সমৃদ্ধ'। জাত,  ধর্ম, সন্ত্রাস কোন কিছুই স্মসযা হত্না ব্লিয়া তিন ম্নে করেন। 
আমাদের বাংলায় আবার ফিরিয়া দেখি। ২০০৪ সালের 'দেশ' বই সংখ্যায় সাহিতিযক শঙ্কর লিখিতেছেন, ''অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শিব্রাম চক্রবর্তী, শইলজান্নদ মুখোপাধযায় ও মুজতবা আলীর মতো পাঁচ দিকপাল বাঙালি সাহিতিযক যে প্রায় একই সময়ে এ দেশে জন্ম গ্রহ্ণ করে ছিলেন তা ভাবতেই ইদানীং আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ..................।সেই সঙ্গে ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে এঁরা যখন সৃষ্টির মধয গগনে তখনও স্মকাল তাঁদের তেম্ন গুরুতব দেন নি, একবার কাউকে ব্লতে শুনিনি, বাংলা কথা সাহিতেযর এম্ন এক স্বর্ণ যুগ চলছে যা আগে কখনও আসেনি।'' 
ঋত্বিক ঘটকের 'সুবর্ণরেখা' ছবির কথা ম্নে পড়িতেছে। অভিরামকে লইয়া সীতাও একদিন ক্লকাতায় পালাইয়া আসিয়া সংসার পাতিয়াছিল। সেই এঁদো গ্লির বস্তি, ঘোর বর্ষা, আর দারিদ্রের ম্ললার গাহিত সীতা। ছেলেকে স্বপ্ন দেখাইত। গল্প ব্লিত 'নতুন বাড়ির'। গান শোনাইত। ''আজ ধানের ক্ষেতে রোউদ্র ছায়ায় লুকোচুরির খেলা.........রে ভাই /লুকোচুরির খেলা।।''                                               

No comments:

Post a Comment