Wednesday 23 May 2018

ভারতে ঘোড়া কেনা-বেচার বাজার কি সঙ্কুচিত হচ্ছে?



দীপেন্দু চৌধুরী
ভারতের রাজনীতিতে গত কয়েক মাসে সদ্য ঘটে যাওয়া কয়েকটি চলমান দৃশ্য ভবিষ্যৎ ইতিহাস লেখকদের কাজে লাগতে পারে। সমাজ বিঞ্জানীরা আগামিদিনে এই ঘটনা একটা উচ্চতা থেকেই দেখবেন সম্ভবত। দ্রুত ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সাংবাদিক, সংবাদ মাধ্যমের ডেস্ক, সম্পাদকীয় দপ্তর তাল সামলে উঠতে পারছিল না বলেই মনে হয়। ২০১৪ সালের পর সাম্প্রতিক কালে এরকম রাজনৈতিক বাঁক খুব একটা দেখা যায় না। যে বাঁকের সঙ্গে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরাও ক্লান্ত বোধ করছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক সর্বভারতীয়স্তরের কয়েকজন ব্যস্ত নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানতে পেরেছি। আমি নিজে কোনওদিন ‘ঘোড়া কেনা-বেচা’-এর বাজার দেখিনি। কলকাতায় রেসের মাঠ আছে জানি।
বাইরে থেকে অনেকবার দেখেছি। সাংবাদিকতার সুবাদে দু’একবার ভেতরেও গিয়েছি। ঘোড়ার দল ছুটছে। সেই ঘোড়দৌড় আর তাগড়াই ঘোড়ার পেশী দেখে ফিরে আসতে হয়েছে। একটা দু’টো বাইট নিয়ে ফিরতে হয়েছে। তারপর ঘোড় দৌড়ের বিষয়ে জেনেছি সমরেশ মজুমদারের লেখা উপন্যাস ‘দৌড়’ পড়ে। তার অনেক আগে মুজতবা আলি তাঁর পূর্ববঙ্গের কুট্টিদের কথা লিখেছেন। সেখানে তিনি মাঝে মাঝে কুট্টি রিকশা চালকের বলা মুখের কথ্য ভাষা আমাদের বলে গেছেন। মুজতবা আলির লেখায় তিনি বলছেন ‘দ্যাখেন কত্তা ঘুড়ায় হাসে।’  
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের রাজনৈতিক আকাশে ঘটে যাওয়া বিষয়কে আমরা কি বলব? ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের পরীক্ষা নিরীক্ষায় ‘ঘোড়া কেনা-বেচা’ একটা কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে রয়েছে। এই অধ্যায় থেকে মুক্তি চাইছে ভারতের মানুষ। অনেকদিন পর সম্প্রতি কলকাতায় একটি বিদেশি দূতাবাসের সামনের পাতাঝরা কাঞ্চন ফুলের গাছে হুতোম বসেছিল। দিনটা ছিল কর্ণাটক বিধান সভার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পার শপথ নেওয়ার দিন। হুতোমের রাতচরা দেহের গন্ধ আমি চিনি। আমাকে চিনতেও হয় না। হুতোম নিজেই আমাকে ডেকে কথা বলে। সেদিনও তাই হল। হুতোম বলল, ‘’আজকাল তোর বড় দেমাক হয়েছে। সাহেব-মেমদের সঙ্গে ওঠা বসা করিস। আমাদের মত জেলার জংলীদের চিনবি কেন?’’
আমি হাসলাম। জানতে চাইলাম, ‘এই সব কথা এখন বলছ কেন?’
হতোম ঠোট বেঁকিয়ে বলল, ‘’আজকাল তোর কি দেমাক? বাপরে বাপ! তোর বন্ধু কমলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কমল আমাকে বলল, ‘আচ্ছা হুতোম ভাই এটা বুলতে পারবা? ভারতের লোকসভা, বিধানসভায় ঘোড়ার বাজার বসে?’ আমি বললাম সেটা আমি জানি না। কেন জানতে চাইছ? তোর বন্ধু কমল বলল, ‘ভারতে সরকার পক্ষ বা শক্তিশালী দলের সরকার গঠন করার মত প্রয়োজনীয় সংসদীয় সদস্য না জিততে পারলে ঘুড়া কিনে। ঘুড়া দিং কি করবে? দ্যাশের আইনসভায়? কেমন ধুয়াশা লাগছে লয়? বুলো?’ আমি বললাম তোমাদের সমাজের কথা আমি কি করে বলব? তোমার বন্ধুকে জিগ্যেস করব।‘’
আমি আবার হাসলাম। বললাম, ‘কমল সব জানে তোমার সঙ্গে মজা করেছে।’
হুতোম বলল, ‘’সেটাই আমি বলব। আমার আর কমলের কথা শুনে ফড় ফড় করে কিছু লিখিস না। আর লিখলে তো ঘোড়া কেনা-বেচা নিয়ে লিখবি। কিন্তু একচোখে লিখিস না। ঘোড়ার এক চোখে ঠুলি থাকে জানিসতো?‘’
‘’হাই, হাও আর ইউ? হু ইস দেয়ার? আর ইউ টকিং?’’
 বিদেশী দূতাবাসের এক মহিলা কর্মী এসে আমাকে বাঁচিয়ে দিল। আমি বললাম, ‘হি ইজ হুতোম। মাই ফ্রেন্ড। নাইট বার্ড। হুয়াইট আউল।’ হুতোম ততক্ষণে চলে গেছে। আমিও রেহাই পেলাম।
আজ এই প্রসঙ্গে লেখার সময় হুতোমের কথা মনে পড়ল। আমার এক বরিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধু আছেন। প্রায় পঞ্চাশ বছর সাংবাদিকতা করছেন। রাজনৈতিক সাংবাদিকতায় অত্যন্ত দক্ষ। তবু উদ্বেগে থাকেন। ভুল সিদ্ধান্তের সঙ্গে লড়াই করেন। আস্থা হারিয়ে ফেলেন।  সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। গুজরাটে রাজ্যসভার ভোটের সময় আহমেদ প্যাটেলের জয় নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। মাঝরাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন। আমাকে মাঝে মাঝে ফোন করতেন। আমি আস্থা জাগাতাম। শেষে আমার কথা মিলে যায়। কর্ণাটক বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠনের  তোড়জোড় শুরু করতেই সেই বরিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধু সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আর কিছু হবে না।’ আমি তাঁকে অপেক্ষায় থাকতে বলে বলেছিলাম, কংগ্রেসের যেমন রাহুল গাঁধি আছেন তেমনি এবার ময়দানে সিপিএম নামক একটি দলের দ্বিতীয়বারের জন্য সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েছুরি আছেন। তিনি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। দু’একটি আন্তর্জাতিক বিষয়ের উল্লখে করেছিলাম। সেই বিষয়গুলি এখানে তোলাটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে। বরিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধুকে আরও বলেছিলাম, সীতারাম ইয়েচুরি আছেন আড়াল থেকে। এবং সিপিএম নামক দলের বঙ্গ ব্রিগেডের প্রভাব রয়েছে জে ডি (এস) দলের শীর্ষনেতা এইচ ডি দেবগৌড়ার উপর। আজ কি আমাদের আরও একবার জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ মনে পড়ার কথা নয়? বর্তমান সময়ে কর্ণাটক বিষয়ক আলোচনায়, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধিকে আমরা ১৯৯৬ সালের জ্যোতি বসুর সঙ্গে তুলনা করলে কি বাতুলতা হবে? তার থেকেও বেশি প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে আলোচ্য বছরের মহাভারতের যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের পান্ডব দলের সারথী কংগ্রেস সভাপতির সুচিন্তিত পাশার চালে কুপোকাত ভারতের নতুন মহাকাব্যের সেনাধ্যক্ষের দল।        
কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গড়তে পারল না বিজেপি। ঘোড়া ‘কেনা-বেচা’ করতে গিয়ে মুখ পুড়ল বিজেপির। আধুনিক ভারতে উল্কার গতিতে সাম্রাজ্য বিস্তারের সফল জুটি ‘নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ’ এই প্রথম বড় ধাক্কা খেলেন। বিরোধী শিবির ভাঙার সবরকম চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত আধুনিক ভারতের বিজেপি দলের রাজনীতির অন্যতম সেনানায়ক তথা কৌটিল্য অমিত শাহ সহাস্যে বলছেন ১৫ দিন সময় পেলে তিনি সফল হতেন। হ্যাঁ অমিতজি আপনি সফল হতেন। আমরাও মানছি। কারণ এর আগের অভিঞ্জতা আমাদের সেই সত্য মানতে বলছে। আপনার নেতৃত্বে ছলেবলে কৌশলে ‘বিজেপি’ নামক একটি দল মাত্র চার বছরে (১৪-১৮) সারা ভারতে প্রথম এবং অবশ্যই প্রাসঙ্গিক দল হয়ে উঠতে পেরেছে। আপনার দলের মাত্র ৩৮ বছর বয়স। সেই দলকে আপনি সভাপতি হিসেবে এই উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন। কর্ণাটক নামক রাজ্যের ‘সরকার গড়া’-র প্রাক মুহূর্তে দক্ষ নেতার মত আপনি নির্দেশ দিলেন। কর্ণাটক বিধানসভায় ভোটাভুটিতে হেরে গেলে হিমালয় উচ্চতায় থাকা ‘বিজেপি’ নামক একটি সর্বভারতীয় দলের আত্মমর্যাদা ধু-লুন্ঠিত হতে পারে। এই কারণে দলের তরফে নির্দেশ যায় ইয়েদুরাপ্পার কাছে। সম্মান বাঁচিয়ে ইস্তফা দাও। ‘এক্সিট গ্রেসফুলি’। এর জন্য আপনার দলের সাধারণ সদস্য থেকে বর্তমান উচ্চতম নেতৃত্ব আপনার কদর করে। অমিতজি আপনি প্রমাণ করেছেন আপনি একজন দক্ষ সংগঠক।
যদিও আপনি মোদীভাই ছাড়া এতটা পথ এগতে পারতেন না। আপনাদের দলের শাখা সংগঠনের প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক কাজ বা কর্মসূচী নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে। মতামত রয়েছে। ভারত নামক একটি উন্নত গণতন্ত্রের দেশে সেই বিতর্ক থাকা স্বাভাবিক। পাশাপাশি এটাও সত্যি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতি ছাড়া বিজেপি এতটা উচ্চতায় কি আসতে পারত?  তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত গণতন্ত্রের কাঠামো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধি করে দিয়ে গেছেন। সেই কাঠামোকে ধরে বিশ্বায়ন উত্তর ‘স্মার্ট সিটি’ নির্ভর এক উজ্জ্বল ভারত নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এন ডি এ সরকার গড়ে তুলতে চাইছে। সেখানে সীমাবদ্ধতা ব্যপক। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা অনবরত বলছে, ‘আপনার প্রতিশ্রুতির কি হল? দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা থাকার কথা সেটার কি হল? কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার কি হল? বছরে এক কোটি বেকারের চাকরির কি হল?’ আমি নিজের কথা বলতে পারি একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার কাছে আমার তিন-চার লাখ টাকা পাওনা আছে। গত চার বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও সে টাকা উদ্ধার করতে পারলাম না। যেমন আমার আর আমার স্ত্রীর ভোটার কার্ড পরিচয় পত্র করতে ১৯ বছর লেগেছিল। অবশ্যই ‘বামফ্রন্ট সরকার’-এর আমলে। অমিতজি আপনি তথা আপনারা আধুনিক গণতন্ত্রের কথা বলছেন অথচ প্রাচীন এক সভ্যতায় চলে আসা খেলোয়ার ‘কেনা-বেচা’-এর মত রাজনীতির ময়দানে সাংসদ বিধায়ক কিনছেন? কেন? প্রশ্ন তুললে খুব কি অপরাধ হবে? সৎ সাংবাদিক, কলম লেখক, প্রতিবেদক, ব্লগার (স্বঘোষিত) হিসাবে জীবনে অনেক মূল্য চুকিয়েছি। আজ আবার রাজনৈতিক প্রসঙ্গে কলম নয় জং ধরা ‘কি বোর্ড’- এ হাত দিলাম। জানিনা সামনের দিনে কি পরিস্থিত হবে? ‘শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে......’।   
অতীত অভিঞ্জতা থেকে বলা যায় কংগ্রেস সহ সমস্ত আঞ্চলিক দলের ‘ঘোড়া কেনা-বেচা’-এর সংস্কৃতি চলে আসছে। মায় আমাদের সংস্কৃতিসম্পন্ন পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যেও সাম্প্রতিককালে আমরা সেই খেলা প্রত্যক্ষ করেছি। রাজনীতি এমনই এক বিষম বস্তু। ‘’অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে’’। এবারে কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট এবং পরবর্তী গঠনমূলক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভূমিকা অবশ্যই সুপ্রীম কোর্টের। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধির। কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত জোট সরকার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চাননি কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর নিজস্ব সংস্কৃতি মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করা। কর্ণাটক ভোটের ফল বেড়নোর পর থেকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় কিভাবে সরকার করা যায় সেটা নিয়ে ঠান্ডা মাথায় রাহুল গাঁধি ভেবেছেন। তাঁর ‘মাস্টার স্ট্রোক’ ছিল ফোনে কথা বলা। তিনি কথা বলেন এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে। জেডি(এস)-এর থেকে কংগ্রেসের ঝুলিতে দ্বিগুণ আসন রয়েছে। তবুও বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করে জোট সরকার গড়ার প্রস্তাব দেন রাহুলরাহুল গাঁধির উদার এই সিদ্ধান্তে ভারতের গণতন্ত্র আরও পোক্ত হতে বাধ্য। এবং কংগ্রেস নামক শতাব্দী প্রাচীন দলটি নিজেদের মঞ্চকে আরও মজবুত করতে পারবে। নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে পারবে। শুধুমাত্র ‘ কংগ্রেস জোট’ নয়। ‘ন্যুনতম সাধারণ কর্মসূচী’ নয়। প্রয়োজন আধুনিক ভারতীয় ঘরানা এবং পুরনো ভারতের সামাজিক মূল্যবোধের মিশ্রণএকটি জোটের গোষ্ঠীভুক্ত দলের স্বার্থের থেকে অনেক বড় দেশের স্বার্থ। দশের স্বার্থ।    
এই প্রসঙ্গে ২০০৮ সালের ইউ পি এ-র আস্থা ভোটকে আমরা মনে করতে পারি। ওই বছরের ‘২২ জুলাই’ ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন হিসেবে লেখা রয়েছে। ‘২২ জুলাই ইউ পি এ সরকারের পক্ষে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেদিনের কলঙ্কিত সেই অধ্যায়ের কথা সকলের মনে আছে। ইউ পি এ সরকার সেদিন ২৭৫-২৭৬ ভোটে জিতেছিল। ২২ শে জুলাই ৮ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত বা অনুপস্থিত ছিলেন। ক্রসভোট দিয়েছিলেন ২০ জন সাংসদ। ২২ শে জুলাই ভোট দিতে না এসে যারা সুবিধা করে দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জি সহ ১০ জন সাংসদ। ওইদিন লোকসভার ফ্লোরে ঘুষের টাকার বান্ডিল দেখিয়েছিলেন কয়েকজন সাংসদ। সংসদে ঘোড়া ‘কেনা-বেচা’-এর এক অভিশপ্ত অধ্যায় প্রকাশ্যে চলে আসে। ভারতীয় আইন সভায়!       
কংগ্রেস সভাপতি তাঁর এক চালেই তিনি কর্ণাটক ভোট বাজারের ঘোড়া ‘কেনা-বেচা’ আটকাতে পেরেছেন। গণতন্ত্র এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ভারতের মত উন্নত গণতন্ত্রের শীর্ষ আদালত। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে ১৫ দিনের বদলে মাত্র ২৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্ণাটক বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হয়েছে। আধুনিক এবং উন্নত সংসদীয় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাস ভারতীয় গণতন্ত্রে ‘মাইলস্টোন’ হয়ে থাকবে। আমরা ভারতীয়রা আশা করব আগামী দিনে ‘ত্রিশঙ্কু বিধানসভা’ বা ‘লোকসভা’ হলেও ঘোড়া ‘কেনা-বেচার’-এর মত কলঙ্কজনক অধ্যায় ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে মুছে যাক। এই আলোচনার শেষে উল্লেখ করি বিচারপতি এ কে সিক্রির মন্তব্য। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ‘ঘোড়া কেনা-বেচা’ যে চলছে, সেটা আশঙ্কা করে বিচারপতি সিক্রি বলেন, ‘’কংগ্রেস-জেডি(এস)এর পক্ষে ১১৭ জন বিধায়ক রয়েছে। তা হলে বিজেপি কী ভাবে ১১১ জনের সমর্থন দাবি করে?’’                                               
                  

No comments:

Post a Comment