Tuesday 6 June 2017

মধ্যবিত্ত দলিতরা কতটা এগিয়ে এসেছেন?

মধ্যবিত্ত দলিতরা কতটা এগিয়ে এসেছেন? : 
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রকের গবাদি পশু কেনবেচা বিষয়ক একটি নির্দেশিকা নিয়ে দেশে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গরু অবশ্যই সমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জীব। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় আছে ‘গোহত্যার’ উদ্দেশ্যে গরু কেনা বেচা চলবে না। অথবা গরু প্রকাশ্য স্থানে হত্যা করা যাবে না। একটি নির্বাচিত সরকার। উন্নয়নের প্রতিশ্রতি এবং দেশে আর্থিক সংস্কারের মূল চালিকা শক্তি হিসাবে এনডিএ সরকার ভারতীয় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। এমনটা দাবি করেন এই সরকারের অন্যতম কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সরকারের তিন বছর উদযাপনের প্রাক্কালে আমরা পেলাম আর এক বিতর্ক। এই সেই বিতর্ক। এবং এই বিতর্কের জেরে গরুর চামড়া ছাড়ানো, গরুর ব্যবসা যারা করেন তাঁরা আজ আতান্তরে পড়েছেন। সংখ্যালঘু শ্রেণী যতটা নিজেদের সামনে থেকে প্রতিরোধ করতে পারে আরতে বংশ পরম্পরায় ‘চামড়ার ব্যবসা’ যারা করেন সেই অন্তজ শ্রেণীর সামনে আজ বড় বিপদ। একদিকে জীবিকায় হাত পড়ছে অন্যদিকে সামাজিক স্বীকৃতি চ্যালেঞ্জের মুখে। এ কোন ভারত? আমরা কেউ কি ‘উন্নয়ন’ নামক এক মডেলের পাশে নতুন শতাব্দীর ভারতকে চিনতে পারছি? আর্থিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল এই মানুষগুলির জন্য তাঁদের সম্প্রদায়ের যারা আর্থসামাজিকভাবে মধ্য স্তরে উঠে এসছেন তাঁদের ভূমিকা কি? তাঁরা আজ কোথায়? তাঁরা সংগঠিতভাবে সোচ্চার হচ্ছেন না কেন? দুর্বলতা কোথায়?      
আমার মনে পড়ছে আশির দশকে আমি কলকাতা শহরের আনাচে কানাচে ঘুরেছিলাম ‘ভিস্তি ওয়ালাদের’ নিয়ে ছোট গল্প লিখব এই আশায়। শেষ পর্যন্ত সফল হইনি। বর্তমান শতকের দ্বিতীয় বছরে আমি সাংবাদিক হিসাবে খুঁজে পাই ‘ট্যানারি শিল্পের’ বৃহত্তর এরিনা। ২০০২ সালে আমি জানতে পারি কলকাতা শহরে তথাকথিতভাবে যাদের ‘চামার’ বা দলিত হিসাবে দেখা হয় সেই শ্রেণী বা সম্প্রদায়ের লোকেরা কলকাতায় বসবাস বা জীবিকা আরম্ভ করেন বর্তমানে ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতাল’ (চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল) এর কাছে। অনুমান করে বলা যায় দু’নম্বর এবং তিন নম্বর লোহা পুলকে কেন্দ্র করে। ওই বছরে আমি একটি তথ্যচিত্র করার জন্য দু’ই ব্যক্তির খোঁজ পাই। একজন শিবশঙ্কর দাস এবং অপরজন এম এস এহসান। দু’জনেই কলকাতায় ট্যানারি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। অভিমানী শিবশঙ্করবাবু তথাকথিত দলিত সম্প্রদায়ের লোক। অথবা ওই ভদ্রলোকের ভাষায়, ‘আমদের এখন সরকারিভাবে ‘বাল্মিকী সম্প্রদায়’ বলা হয়।’ তাঁর মুখেই শুনেছি কলকাতার দলিত সম্প্রদায়ের আদি ইতিহাস। শিবশঙ্করবাবুর পিতৃপুরুষরা বিহার, উত্তরপ্রদেশের ‘গো-বলয়’ থেকে কলকাতায় জীবিকার সন্ধানে এসেছিলেন। শিবশঙ্করবাবু নিজেও ওই অঞ্চলে বড় হয়েছেন। ভদ্রলোকের দাবিমতো তিনি ওদের ওই অঞ্চলের বসবাসকারী সম্প্রদায়ের মধ্য প্রথম স্নাতক। বর্তমানে তিনি ট্যানারি ব্যাবসায়ী হিসাবে ‘চায়না টাউন’-এ বাড়ি করে প্রতিষ্ঠিত মধ্যবিত্ত নাগরিক। যদিও অনেক চাপা যন্ত্রণা আছে। নিজেদের সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করতে পারেননি।
আমরা আলোচনার বিষয়বস্তু যদি আমার একসময় অত্যন্ত পরিচিত যন্ত্রণাক্লিষ্ট শিবশঙ্কর দাসের কাছ থেকে পাই তা হলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভরসা পাই। শিবশঙ্করবাবু একসময় আমার কাছে ভেঙ্গে পড়ে স্বীকার করেছিলেন, আমি গ্র্যাজুয়েট হয়েছি। আমার পরিবার গর্ব করে। আমাদের বাপ ঠাকুরদা গর্ব করত। কিন্তু আমি কি সত্যি সত্যি শিক্ষিত হতে পেরেছি? মাতৃভাষা হিন্দি। সেইজন্য হিন্দিটা জানি। এই বাংলায় জন্মেছি। পড়াশোনা করেছি। সেই সুবাদে বাঙালি সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছি। তাই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। কিন্তু ইংরেজি? কেউ বললে কিছুটা বুঝতে পারি। খবরের কাগজ পড়ে কিছুটা বুঝতে পারি। কিন্তু ইংরেজি বলতে পারি না। তা হলে আমার বা আমাদের কি লাভ হল? আমার কথার প্রতিধ্বনি করে সেদিন তিনি আমায় বলেন, ‘’আপনার ব্যাখ্যামত আমি মধ্যবিত্ত দলিত’’। ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলে আমারও মনে হয়নি উনি অবাঙ্গালি। এতটাই ভালো বাংলা বলেন। শিবশঙ্করবাবু যতই আক্ষেপ করুক আমি নিজে উপলব্ধি করেছিলাম ভদ্রলোক ট্যানারি আন্দোলন নিয়ে কিছু কাজ করেছেন আরও কিছু কাজ করতে চান নিজেদের সম্প্রদায়ের জন্য। পাঁচ বছর পর ২০০৭ সালে আমি আবার ওই অঞ্চলে যাই। বানতলার দূষণ নিয়ে খবর করি। বান্তলা ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জামিল আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। বাণতলা লেদার কমপ্লেক্স-এর প্রমোটিং সংস্থা এম এল ডালমিয়া কোম্পানির কর্নধার জগমোহন ডালমিয়া সহ একধিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। আবার ট্যানারি আন্দোলন নিয়ে বড় ধারাবাহিক খবর করি।
‘দলিত’ নামক শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত হই সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। ওই সময়ের বিভিন্ন পত্র পত্রিকা থেকে জানা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রে ‘দলিত প্যান্থার’ নামে একটি সংগঠন গড়ে ওঠে। সমাজের যেসব মানুষ বহু আলোচিত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের কাছে অবহেলিত ছিল সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই এই দলের অন্যতম কর্মসূচী ছিল। সত্তর দশকের দিক নির্ণয়কারী সংগঠনটি মহাত্মা গাঁন্ধী এবং কংগ্রেসের আধুনিক মননের নেতৃত্বের পরে আমাদের ‘দলিত’ শ্রেণির অবস্থান নতুন করে চিনিয়েছিল। আজকের ভাষায় বলা যায় সেদিন পর্যন্ত সমাজের নিম্ন বর্গের শ্রেণী চেতনায় উদাসীন ছিল ওই সময়ের দলিতভাইয়েরাকিন্তু গোষ্ঠী স্বতন্ত্রতা সম্পর্কে সজাগ ছিল তাঁরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গীও ছিল।  ‘দলিত প্যান্থার’ নামক সংগঠনের কর্মসূচী যেদিন থেকে সংবাদ মাধ্যম, রাজনীতি এবং সমাজে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে সেদিন থেকেই খুব সম্ভবত রাজনীতির পরিভাষায় ‘দলিত’ শব্দটি চালু হয়। রাজনীতি বিশ্লেষকদের লেখা থেকে জানতে পারছি ১৯৬৩ সালে লোকসভায় দারিদ্র সম্পর্কিত এক বিতর্ক হয়েছিল। সেই বিখ্যাত বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু লোকসভায় স্বীকার করেন, ভারতে শিল্পের বিকাশ হচ্ছে। জাতীয় আয় বৃদ্ধিও হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব হল ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছে। ইতিহাসবিদরা বলছেন প্রায় সেই সময় থেকেই দলিত আন্দোলন শুরু হয়।     
বহু আলোচিত দলিত সম্প্রদায়ের সামাজিক অবস্থান আজও খুব কিছু জাহির করে বলার মত নয়। ১৯৮১ সালের সুমারির হিসাব অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যা ৭৫ কোটির মধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেন, এমনটা চিহ্নিত হয়েছিল। সেই সব চিহ্নিত মানুষের বেশির ভাগটাই হল ‘দলিত’ শ্রেণী। তারাই বর্তমানে একান্তভাবে গোষ্ঠী সচেতন এবং সংঘবদ্ধ একটি অংশ। পাশাপাশি গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে আম্বেদকরের নেতৃত্বে তৎকালীন সমাজের প্রায় ‘ক্রিতদাস’ থাকা এই অংশটি ভারতীয় সমাজে নিজেদের স্বত্বার জন্য আন্দোলনে নেমেছিল। রাজনীতির ময়দানেও সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। পরে গান্ধীজী তাঁর সামাজিক এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার মানদণ্ডে ভারতীয় সমাজের এই অবহেলিত শ্রেণীকে মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এই প্রচেষ্টা ইংরেজদের বিভেদের রাজনীতিকে অনেকটাই বানচাল করে। কিন্তু এর পরের অধ্যায় এই শ্রেণির কাছে খুব সুখকর হয়ে ওঠেনি। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন জনতা সরকার বিন্ধেশ্বরী প্রসাদ মণ্ডলের সভাপতিত্বে একটি কমিশন গঠন করে। পরে ‘মণ্ডল কমিশন’ নামে আমরা চিনতে অভ্যস্ত হই। আলোচ্য এই কমিশন গঠনের আগে ১৯৫৫ সালে কংগ্রেস সরকার অনুন্নত শ্রেণির আর্থসামাজিক অবস্থান জানতে প্রথম কমিশন গঠন করে। কমিশনের সভাপতি ছিলেন, কাকা কালেলকার (কে কে কমিশন)।      
১৯৭৯ সালে ‘মণ্ডল কমিশন’ গঠন হলেও (যে কমিশনকে দ্বিতীয় কমিশন বলা হয়) ১৯৮০ সাল থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করে। মণ্ডল কমিশন ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে সারা দেশে এক সমীক্ষা চালান। এই সমীক্ষা দেশের প্রতি জেলা থেকে দু’টি করে গ্রাম এবং একটি করে শহর অঞ্চলের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। সূত্রের খবর সেই সময় সারা ভারতে ৪০৭টি জেলার মধ্যে ৪০৫টি জেলায় শিক্ষাগত অবস্থান এবং আর্থসামাজিক অবস্থান বিষয়ে সমীক্ষা হয় মণ্ডল কমিশনের নেতৃত্বে। সমীক্ষা শেষে মণ্ডল কমিশন তাঁর রিপোর্ট পেশ করে। আশির দশকের ‘মণ্ডল কমিশন’ নামক এক বহু আলোচিত মঞ্চ ভারতীয় দলিত সমাজকে কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বর্তমান সময়ে ভারতীয় সমাজ ভালোই বুঝতে পারছে। কিছু সামাজিক সংস্কারের কারণে দলিত নামক নতুন ভারতীয় অবহেলিত শ্রেণির মধ্যেও সুবিধা পাওয়া এক নতুন শ্রেণী গড়ে উঠেছে। সমাজের অন্যান্য অংশের মতোই এই শ্রেণীর মধ্যে থেকেও বিভিন্ন স্তর গড়ে উঠেছে। যে রাজ্যে ‘প্যান্থার দলিত’ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ক্ষমতার যতো কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে তাঁরাই সমাজের মূল স্রোতে মিশে যেতে পেরেছেএবং স্থীতাবস্থা ধরে রাখার কৌশল আরও রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষমতা ভোগের কারণে দলিতদের মধ্য এক নব্য শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে। এই শ্রেণী গত প্রায় চার দশকের ধারাবাহিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বর্তমানে প্রায় ভারতের মূল ধারার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছে। কিন্ত তাঁদের সম্প্রদায়ের যাদের পেছনে ফেলে এলো তাঁরা, সেইসব অত্যন্ত গরিব, কম শিক্ষিত, আজও দেহাতি, পিছড়েবর্গ, দলিত মানুষজন আর নিকট আত্মীয় রইল না। শাসক শ্রেণীর উদ্দেশ্য সফল হল। যে কাজটা ব্রিটিশ সরকার করতে পারেনি দেশের বিভিন্ন দলের সরকার বিভিন্ন সময়ে নিজেদের অজান্তে ‘দলিত মধ্যবিত্ত’ শ্রেণী গড়ে তুলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উল্লেখিত ‘দলিত মধ্যবিত্ত’ শ্রেণী তাঁদের সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রকের গবাদি পশু বিষয়ক নির্দেশিকার পর দেশে ইতিমধ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন হিংসার ঘটনা ঘটে গেছে। সেইসব ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস পৃথক পৃথকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে তাঁর সরকার কেন্দ্রের আইন মানতে পারবে না। রাজ্যের পৃথক আইন আছে সেই আইন মেনেই এই রাজ্যে গবাদি পশু কেনাবেচা হবে। কেরলের এলডিএফ সরকার তৃণমূল সরকারের আগেই তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে মূলত চারটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির ধারাবাহিক বিরোধিতা এবং আন্দোলনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার সুর নরম করছে এমনটাই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। সূত্রের খবর গত দেড় বছর ধরে চলা গোহত্যা সংক্রান্ত নিষধাঞ্জা চলতে থাকার কারণে কাঁচা চামড়ার জোগানে টান পড়েছে। এমনটাই অভিযোগ চর্মশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যাবসায়ীদের। তাঁরা বলছে , ৭০ হাজার কোটি তাকার এই ব্যাবসা নতুন করে আবার সঙ্কটে পড়েছে। সারা দেশে ১৫০০ ট্যানারি মন্দার কবলে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ১০ লক্ষের বেশি মানুষের ভবিষ্যৎ কি হবে? ভাবছেন চর্ম শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব। যদিও কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ব্যাবসায়ী মহল সহ বিরোধী দলগুলির ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে পড়েই গবাদি পশুর তালিকা থেকে মোষকে বাইরে রাখার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কাণ ভারতে মাংস ব্যবসার সিংহভাগই হল মোষের। পাশাপাশি আগামী মাসে চর্ম শিল্প খাতে ৪০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। প্যাকেজের গুড় কারা খাবে? সেটা আমরা জানি না। ‘দলিত মধ্যবিত্ত’ এবং চর্ম শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ফোড়ের দল?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বয়েঙ্কাইয়া নায়ডু দাবি করেন, গবাদি বিধি নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বেঙ্কাইয়া নায়ডুর অভিমত, কেন্দ্র মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হাত দেয়নি। ওই নির্দেশিকায় কেবলমাত্র গবাদি পশু বিক্রি সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। এই কারণে কেরালা হাইকোর্টও জানতে চেয়েছে, ওই বিঞ্জপ্তির কোন অংশে নিশেধাঞ্জা রয়েছে।
কংগ্রেস নেতৃত্ব আগেই বিভিন্নভাবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সোমবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বৈঠকে দলের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেন, ‘’কংগ্রেস শুধু সরকারে থাকার জন্য রাজনীতি করেনা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছরের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিজেপি বেশি করতে সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছে। ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য ধরে রেখে সংখ্যালঘু মহল্লায় মহল্লায় মানুষের ভয় কাটাতে কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় হতে হবে।‘’
ভারতে গত দেড় বছর ধরে গোহত্যা বিষয়ে নিশেধাঞ্জায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ছাপ পড়ছে। আন্তর্জাতিক শিল্প মহল ভারতে ব্যাবসা নিয়ে উদ্বিগ্ন। The Verb’ নামে একটি বুলেটিনে গুগুলের সিইও সুন্দর পিচাই গবাদি আইন সম্পর্কে বলেন,
‘’I am not interested in politics but I am worried about India’s unemployment and millions of youngsters losing their jobs. India must concentrate on people’s welfare not on their food habits. Eating Beef or any food is purely personal freedom, No one has right to ban it. We don’t live in dark Ages where King decides on people freedom. Great country like India must move towards science and technology but not Religions. Moving towards religions will surely hit country’s stability and business as we see many big Industries already moving away from India due to religious tensions. Future of any country is in the hands of young rational minds.’’
মঙ্গলবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন,     

"We must be ready to protect the essence and idea of India which this government is seeking to extinguish," Congress President Sonia Gandhi  said at the meeting on 6th June, attacking Prime Minister Narendra Modi's government, which is celebrating its third anniversary.

Former Prime Minister Manmohan Singh, a noted economist, said PM Modi has failed to create jobs. The economy, Dr. Singh said, "is running on just one engine of public spending" and that investment by the private sector has collapsed.
(Source: NDTV)                                                 

No comments:

Post a Comment