Monday 8 May 2017

মহুল ফুলের কথাকলি

মহুল ফুলের কথাকলি: 

কৃষ্ণপাথর তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ?
কালো ম্যাঘেদের জল লয় উখানে,
কৃষ্ণপাথর কৃষ্ণপাথর তুমহার
চোখের জলে স্বপ্নের খাদানে—
ভাসছে দ্যাখ ওই মহুল ফুলের কাথাকলি!
বুড়ো হুতোম এল দ্যাশে, এই কৃষ্ণ তিথির বারবেলায়।
হাটি হাটি পায়, নলহাটি বাড়ি তার।
শুকনো গাছটার কোষ থেকে
আজও চুঁইয়ে চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়ছে
গন্ধহীন কৃষ্ণ রক্তের ধারা!
কৃষ্ণপাথর তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ?
ঘুম পাথরের দ্যাশে.........?
তোমার এক চোখে সূর্যাভিমান!
কৃষ্ণ পাথর তোমার অন্য চোখে দেখি বৃক্ষালোক।
হৃদয় নিঙড়ানো যন্ত্রণার শব্দ তুমি শুনেছ?
হ্যা সমাজকে বলছি, কাজ দাও কাজ—
অক্লান্ত শ্রম দাও ক্লান্ত হয়ে ঘুমোব,
শুন্য মাথা নারীর আলিঙ্গন চায়, চুম্বন চায়,
নারী যতই পর হোক, সেতো দেবদারু গাছের মত।
তার ভোগ শেষে পাতা ফেলে সে ঋজু হয়!
ভালোবাসাকে গোপন কোষে লালন করে......।
শুন্য মস্তিস্কের পুরুষকে কাছে টানতে  চায়!
আমি সমাজ চিনি-নারী অবলা,
যত দোষ পুরুষের, অজানা চাঁদের কলঙ্ক,
আর কতদিন নিজের সঙ্গে যুঝব?
বাড়ি আছে ঘর নেই, মাঠ আছে ঘাস নেই,
বন্ধু আছে মানুষ নেই, গান আছে সুর নেই।
সমাজ আছে, আরও সামাজিক হব!
এই জমিতে চাষ হয় না।
দিকে দিকে চতুর্দিকে পাহাড় ঘেরা আকাশসীমা,
সূর্য আলো, চাঁদ আলো......
আঁধার মাঠে আবাদ হয় না।
তবুও গোধূলিবেলার পাখিরা গান গায়।
আড়ম্বর মেঘেদের অনাড়ম্বর সৌজন্যে,
সাজ সন্ধ্যায় শাঁখের আওয়াজ,
আজ না হোক অনাবাদী জমি—
একদিন তোমার অহল্যা দুধেলা বুকে
সন্তানের ঠোঁট ঠেকাবো।
আজকের সন্তান কালকে জানি সুঠাম পুরুষ হবে,
ট্রাক্টরের অনেক ফলার সঙ্গমে.........
তুমি কি মাতৃদুগ্ধ দেবে না?
এসো পাহাড়ের অন্ধকারকে ভ্রুকুটি দেখাই।
এসো মেঘলা আকাশকে বলি,
প্রকৃতির পরিবার তুমি কেন ভেসে ভেসে যাও?
আমার ঘরে এসো আমাকে ভেজাও,
আবাদী দুগ্ধের প্রশ্রয়ে।
আমার স্বামী আমাকে আলিঙ্গন করেছে।
আমার সন্তান দুধের অপেক্ষায়,
আমার সমাজ, তোমার সমাজ
এই দিনেইতো অনেক পাখির গানের আওয়াজ।        
  
 

No comments:

Post a Comment