আশির দশকে আমি কয়েকদিনের জন্য বিখ্যাত তথ্যচিত্র নির্মাতা সুরজিৎ দাশগুপ্তের সঙ্গে ঘুরেছিলাম। না এতটা স্পর্ধা আমার ছিলনা। আমি তথ্যচিত্র তৈরি করব। অথবা সিনেমা তৈরি করব। আমি সুরজিৎ দাশগুপ্তের কাছে গিয়েছিলাম ক্যামেরার কাজ শিখব এই উদ্দেশে। সিরিয়াল এবং চলচ্চিত্র পরিচালক যিশু দাশগুপ্ত যেমন বিখ্যাত পরিচালক তপন সিনহার কাছে ক্যামেরার কাজ শিখেছিলেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের গড়চা রোডের বাড়িতেও গিয়েছিলাম ‘ক্যামেরার কাজ’ শিখব বলে। আমি লালমাটির দেশ বীরভুম থেকে এসেছিলাম। গৌতম ঘোষের বন্ধু উৎপলদার পরিচয় নিয়ে গড়চা রোডের বাড়িতে গিয়েছিলাম। উৎপলদা নলহাটি সিএডিপি (CADP) প্রকল্পের অধিকর্তা হয়ে এসেছিলেন। সেই সুবাদে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ। তিনি আমাকে গৌতম ঘোষ এবং সুরজিৎ দাশগুপ্তের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আরও একটি সূত্র উল্লেখ করি। আমাদের নলহাটী শহরের তৎকালীন খ্যাতনামা ডাক্তার গনেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে গোরাদা (ব্রতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়)। গোরাদা বিশবভারতীর ‘পাঠভবনে’- শিক্ষকতা করেন। আমাকে খুব ভালবাসতেন।
গৌতম ঘোষের প্রথম তথ্যচিত্র (যতদূর জানি) ‘সুন্দরবনের আর্জান সর্দার’-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন গোরাদা। তাঁর চিঠি নিয়ে আমি গৌতম ঘোষের কাছে যাই। কলকাতায় আমার থাকার ব্যবস্থা নেই জেনে গৌতমবাবু আমাকে তাঁদের বাড়ির গ্যরাজে থাকতে হবে বলেন। আমি রাজি হয়ে যাই। কিন্তু তিনি কোনও পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না, এই কথা আগেই বলে দিয়েছিলেন। সুরজিৎ দাশগুপ্তও একই কথা বলেছিলেন। সুরজিৎ দাশগুপ্ত প্রতিদিনের খাবারের টাকাটা দিতেন। সেটাও ব্যবস্থা হয়েছিল লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে। কিন্তু কলকাতায় মাথা গোঁজার জায়গা না থাকায় আমি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করি। তবে তথাকথিত কয়েকজন বামপন্থীনেতা এবং বন্ধুদের সৌজন্যে আমি ‘ক্যামেরামযান’ হিসেবে সুখ্যাতি পাই। সাংবাদিক হিসেবে নয়। ক্যামেরাম্যান হিসেবে। সাংবাদিকতায় সরকারী অ্যাক্রিডিটেড কার্ড থাকা সত্বেও পরিকল্পিতভাবে এই কথা প্রচার করা হয়েছিল। প্রায় দু’ই দশক এই সম্মান আমি বয়ে বেড়াই। কারণ ২০০১ সালে আমি সোনি কোম্পানীর ‘পি সি ৯ ই’ মডেলের একটি ভিডিও ক্যামেরা কিনি। তখনকার সময় ওই ক্যামেরার দাম ছিল এক লাখ টাকা। তাই ‘ক্যামেরাম্যানের’ যন্ত্রণা আমার কৈশোর-যৌবন এবং পৌঢ়ত্বে লেপ্টে আছে। প্রসঙ্গ আমার ব্যক্তিগত জীবন বা পেশাদারি জীবন নয়। প্রসঙ্গ ভারতীয় তথ্যচিত্র এবং.........।
সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শন এবং আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল কলকাতার ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ। আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল ‘’Allinca Francaise du Bengale and Charles Wakeman Films welcome you to ‘Nemai Ghosh: A Ray of Light’ (the Calcutta preview of) screening of the Film directors.’’ তথ্যচিত্র নির্মাতা অনির্বাণ মিত্র এবং তীর্থ দাশগুপ্তের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ছবির প্রদর্শন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ৪মে আয়োজন করে। এই তথ্যচিত্রটি ফরাসী দূতাবাসের ২০১৮ সালের সরকারি অনুমোদিত ৮ম দাদাসাহেব ফালকে ফেস্টিভ্যালের তালিকাভুক্ত। তথ্যচিত্র শুরু হওয়ার আগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনাসভার শুরুতেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক পিয়নী সেনগুপ্ত আমাদের জানান, নিমাই ঘোষ এবং সত্যজিৎ রায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ডাইরেক্টর ফাব্রিক প্লাঙ্কন বলেন, ‘’আমরা এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্ব বোধ করছি। কারণ সত্যজিৎ রায় এবং নিমাই ঘোষের সঙ্গে ফরাসী দেশ তথা প্যারিস শহরের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেই সম্পর্কের স্রোত আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্থান করে দিয়েছে।‘’
সেই আলোচনা সভায় ভারতের প্রবীণ ক্যামেরা শিল্পী বলেন, ‘আমি যদি মানিকদার সান্নিধ্যে না আসতাম তাহলে আমার এই চোখ বা চোখের ভাষা তৈরি হত না। ২৫ বছর মানিকদা মানে সত্যজিৎ রায়কে আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি যেমন আমি তুলেছি, আমি তাঁর সঙ্গে থেকে তথ্যভিত্তিক ক্যামেরার ভাষাও শিখেছি।‘’
আলোচনা সভায় ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ ছবির পরিচালক অনীক দত্ত হাজির ছিলেন। তিনি তাঁর নিজের অভিঞ্জতার কথা বললেন। বিশ্ব বরেণ্য শিল্পী নিমাই ঘোষের কাছে যাওয়ার অভিঞ্জতাও তিনি আমাদের শোনালেন। অনীক এতটাই শ্রদ্ধা করেন নিমাইবাবুকে যে তিনি প্রয়োজন থাকলেও ফোন করতে চাইতেন না। কারণ তাঁর অনুভব যদি ব্যস্ত শিল্পীকে বিরক্ত করা হয়? অনীকবাবু বলেন, ‘’যদিও পরে নিমাইদা নিজেই আমাকে ফোন করতেন যেটা আমার কাছে অনেক সহজ হয়ে যায়। নিমাইদা একজন অতি সাধারণ এবং সহজ ব্যক্তি। সিনেমা শিল্পের জন্য তিনি যে কোনও সাহায্য করতে প্রস্তুত আছেন যে কাউকে।‘’
ছবির (তথ্যচিত্র) অন্যতম পরিচালক অনির্বাণ মিত্র তাঁর এই ‘Nimai Ghosh: A ray of Light’ তথ্যচিত্র তৈরির অভিঞ্জতার কথা বলেন। আমাদের সামনের পর্দায় ক্যামেরার ভাষায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্যামেরা ব্যক্তিত্ব নিমাই ঘোষকে হাজির করেন। ৪৮ মিনিটের ছবির শুরুই হয় একটি ক্যামেরা, লেন্সে নিমাইবাবুর আলতো ছোঁওয়া দিয়ে। তথ্যচিত্রে অনির্বাণের ক্যামেরা ঘুরতে থাকে আন্তর্জাতিক শিল্পীর ঘরে। সেখানে প্রাঞ্জ নিমাইবাবু বসে আছেন একটি চেয়ারে। তাঁর প্রবীণ মুখের বলিরেখা আমাদের নিয়ে যাচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টির ঝর্ণাবেলায়। ক্যামেরাবেলায়। সেলুলয়েডের প্রত্যয় চিনতে বলছে। তথ্যচিত্রে নিমাইবাবুর বাংলায় বলা কথাগুলি থেকে আমরা জানতে পারি নিমাইবাবু দীর্ঘদিন প্রারিশ্রমিক ছাড়া কাজ করেছেন মনের টানে। ক্যামেরা শিল্পের টানে। ধ্রুপদী শিল্পের টানে তিনি কাজ করেছেন। তাঁর প্রথমদিকে কখনও মনে হয়নি যে পারিশ্রমিক প্রয়োজন। এমনই একটি প্রসঙ্গে নিমাইবাবু তথ্যচিত্রে বলছেন, ‘’সবাই পারিশ্রমিক পান আমি পাইনা। আমি কাজ করে যাচ্ছি। মানিকদা জানতেনও না। একদিন মানিকদার বাড়িতে মানিকদার সামনে প্রযোজক সংস্থা সব শিল্পীকে পারিশ্রমিক দিচ্ছেন। আমি মানিকদার কাছে হাত পেতে বললাম, ‘মানিকদা আমাকে একটা টাকা দেবেন। আমার পারিশ্রমিক’। মানিকদা শুনে প্রযোজক ভদ্রলোককে বললেন, ‘ও তাইতো নিমাইকে তাঁর পারিশ্রমিক দিতে হবে। নিমাই এখন আমাদের ইউনিটের লোক। ওর বিষয়ে কী করা যায় একটু দেখবেন।’ এরপর থেকে আমি পারিশ্রমিক পেতে শুরু করি।‘’
এই তথ্যচিত্রের উল্লেখযোগ্য বিষয় এটি। নিমাইবাবুর মত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফটোগ্রাফারকে নিয়ে তৈরি কালোসাদা তথ্যচিত্রে তাঁর দীর্ঘজীবনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি পরিচালক সন্দীপ রায়ের সময়োপযোগী বক্তব্যের মাধ্যমে। তিনি নিমাইবাবুর তাঁদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠার কথা আমাদের শুনিয়েছেন। সন্দীপ রায় বলেন, ‘’তখনকার সময়ে বাংলা চলচ্চিত্র ইউনিটে স্থীরচিত্রের ক্যামেরাম্যানের নিয়মিত কাজ ছিল না। বাবার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে নিমাইকাকু এই ধারার অন্যতম নাম। একটা সময় স্টীল ক্যামেরাম্যান হিসেবে বাবার ইউনিটে নিমাইকাকু নিয়মিত কাজ করতে থাকেন।‘’
‘Nemai Ghosh: A Ray of Light’ তথ্যচিত্রে অভিঞ্জ নিমাইবাবু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের অর্জিত অভিঞ্জতায় গড়ে ওঠা মননে তৈরি চোখের ভাষায় কথা বলেন। আড়ম্বরহীন সেই ভাষার পরতে পরতে এসেছে সত্যজিৎ রায়ের প্রতি কৃতঞ্জতা। বন্ধুপ্রতিম রবি ঘোষ সহ একাধিক তৎকালীন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের কথা তিনি আমাদের বলেছেন। আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজ করার কথাও আমরা শুনেছি। অনির্বাণ এবং তীর্থ এই বিষয়গুলিকে ক্যামেরা এবং সুরের সম্মিলিত আবেদনে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তথ্যচিত্রের বিস্তারও মানে ‘ডিটেলিং’ নিয়েও আলাদা করে পরিচ্ছদ রচনা দাবি করে। আমরা প্রেস বিবৃতি থেকে জানতে পারছি, ‘’Nemai Ghosh: A Ray of Light is the product of its director’s deep admiration for Satyajit Ray, whose works have had an indelible influence on his creative outlook and sense of detailing, an appreciation of Nemai Ghoh’s candid photography, and the filmmaker’s own experience of visual storytelling. This documentary-feature, the first cinematic venture of Anirban Mitra, deals with the world of Satyajit Ray as seen by his photo-biographer Nemai Ghosh— through his lenses and unique perceptive. The subject is the beginning and progress of Ghosh’s journey in photography in era of classic, analogue medium with all its nuances and beauty. ……….The narration of the film has been recorded in the UK by voice artist Mark Mansell.
পরিচালক অনির্বাণ মিত্র সম্পর্কে লেখা হয়েছে, Anirban Mitra has been working as a still photographer from 2003......................... He has photographed 40 stately homes and places in Calcutta and most of the erstwhile vice-regal palaces and estates in Bengal. His solo exihibitations have been mounted in premier galleries in Calcutta and London.
তথ্যচিত্রে নিমাইবাবু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘’ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে স্টীল ফটোগ্রাফারদের কাজ নিয়ে স্থায়ী প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে। ভারতে তথায় কলকাতায় এটা করা যায় কিনা সেটা আমি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।‘’ তথ্যচিত্র শেষ হওয়ার পরে প্রশ্ন উত্তর পর্বে আলোচ্য প্রতিবেদক পরিচালক অনির্বাণ মিত্রের কাছে জানতে চেয়েছিল অভিঞ্জ নিমাইবাবুর প্রস্তাব নিয়ে তাঁরা কি ভাবছেন? অনির্বাণ জানান, ‘’আপনার প্রশ্নটা খুব ভালো। কিন্তু এতবড় একটা কাজ নিয়ে আমাদের সামান্য ক্ষমতায় কি করতে পারি। কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার এবং ফরাসী দূতাবাস সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে এই কাজ করা সম্ভব।‘’ পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে অনির্বাণ জানান, ‘’আমরা এই ছবি সেন্সর বোর্ডের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিলে কলকাতায় একটি বড় প্রেক্ষাগৃহে এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা আছে। কলকাতার বৃহত্তর নাগরিক সমাজ ছবি দেখার পরে নিমাইদার প্রস্তাবটা নিয়ে ভাবতে পারেন।‘’
সৃষ্টিশীল সহকর্মী তীর্থ দাশগুপ্ত যুগ্ম প্রযোজক হিসেবে একসঙ্গে কাজ করেছেন এই তথ্যচিত্রে। ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে তীর্থ বলেন, ‘’আমি দীর্ঘদিন এডিনবরায় আছি। আমরা ওই শহরে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছি। এছাড়া লন্ডন শহরেও আমন্ত্রণীমূলক একটি প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু নির্ভর করছে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে।‘’
প্রেস বিবৃতিতে তীর্থ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘’In 2015, he joined forces with a friend to make a short film, titled The Paper Boy, which was selected for a number of film festivals in India, including the prestigious Dada Saheb phalke Film Festival and Calcutta International Film Festival. The film won the first prize in the BGHSAA Satyajit Ray Memorial Short Film Festival.
এই ছবি নিয়ে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং খ্যাতনামা লেখক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য। তিনি পরে আমাকে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘’নিমাইদার দু’টো বড় কাজ প্রচার পায়নি। একটি অ্যান্তোনিয়েকে নিয়ে নিমাইদার ধারাবাহিক ছবি। যে ছবিগুলি নিয়ে ইতালির দূতাবাস প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল। দ্বিতীয় কাজটা হচ্ছে প্যারিস শহরের উপর তোলা নিমাইদের ছবি। যে কাজ শিল্পের পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। ফরাসী দূতাবাস সেইসব ছবির প্রদর্শনী করেছে। কিন্তু এটাই শেষ কথা হতে পারেনা। আমি যে দু’টি বিষয়ে উল্লেখ করলাম সেই বিষয় দু’টি নিয়ে বই প্রকাশ করা যেতে পারে। বই দু’টির সব কাজ শেষ হলেও প্রকাশকের অভাবে বই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। কোনও প্রকাশক এগিয়ে এলে এই বই পরবর্তী প্রজন্মের কাজে ভীষণ সাহায্য করবে।‘’
প্রেস বিবৃতিতে তীর্থ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘’In 2015, he joined forces with a friend to make a short film, titled The Paper Boy, which was selected for a number of film festivals in India, including the prestigious Dada Saheb phalke Film Festival and Calcutta International Film Festival. The film won the first prize in the BGHSAA Satyajit Ray Memorial Short Film Festival.
এই ছবি নিয়ে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং খ্যাতনামা লেখক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য। তিনি পরে আমাকে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘’নিমাইদার দু’টো বড় কাজ প্রচার পায়নি। একটি অ্যান্তোনিয়েকে নিয়ে নিমাইদার ধারাবাহিক ছবি। যে ছবিগুলি নিয়ে ইতালির দূতাবাস প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল। দ্বিতীয় কাজটা হচ্ছে প্যারিস শহরের উপর তোলা নিমাইদের ছবি। যে কাজ শিল্পের পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। ফরাসী দূতাবাস সেইসব ছবির প্রদর্শনী করেছে। কিন্তু এটাই শেষ কথা হতে পারেনা। আমি যে দু’টি বিষয়ে উল্লেখ করলাম সেই বিষয় দু’টি নিয়ে বই প্রকাশ করা যেতে পারে। বই দু’টির সব কাজ শেষ হলেও প্রকাশকের অভাবে বই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। কোনও প্রকাশক এগিয়ে এলে এই বই পরবর্তী প্রজন্মের কাজে ভীষণ সাহায্য করবে।‘’
‘Nemai Ghosh A Ray of Light’ এই তথ্যচিত্রের সুর এবং আবহসঙ্গীত রচনা করেছেন শুভজ্যোতি পাল। তথ্যচিত্রের মূলভাষা এবং থিমকে মাথায় রেখে ছবির সুর সংযোজনা আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment