Monday, 1 October 2018

অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই





দীপেন্দু চৌধুরী
বিগত ৪১ বছর পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যে কংগ্রেস দলের শাসন নেই। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুর্দান্ত প্রতাপশালী বামফ্রন্টের শাসন চলেছে। ‘বামফ্রন্ট’ একটি শব্দের আশ্রয়ে আসলে ৩৪ বছর সিপিএম নামক একটি দল আমাদের রাজ্য শাসন করেছে। ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার পরে একক দল হিসেবে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে। আমাদের আলোচ্য নিবন্ধ কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজ্য সরকার নয়। সমাজের এগিয়ে থাকা সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে কয়েকগাছা শব্দচয়ন বা বাক্যচয়ন। নাগরিক সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের রাজ্য স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে সচেতন। অথবা আমরা উনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের সময়ের কথাও উল্লেখ করতে পারি। ব্রিটিশ শাসনের সময় কলোনি নামক এক সমাজ ব্যবস্থায় আমরা উপলব্ধি করেছিলাম বুদ্ধিজীবীদের কলম অথবা ভূমিকা সমাজের কতটা পরিবর্তন করতে পারে। নাগরিক সমাজ বলতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে বলা হয় ‘সিভিল সোসাইটি’। ভাষা বিশেষঞ্জদের লেখা থেকে জানতে পারছি গ্রিক দার্শনিক আরিস্ততলের (খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২) ‘কইননিয়া পলিতিক’-এর লাতিন অনুবাদ ‘সোসায়েতাস সিভিলস’ হয়ে ইংরেজিতে কথাটা এসেছিল। বিশেঞ্জরা বলছেন, এই ধারণা যারা পোষণ করতেন তাঁরা রাজনৈতিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে অথবা রাষ্ট্র এবং সমাজের মধ্যে কোনওরকম ফারাক করতেন না। সেই সময় ‘নাগরিক সমাজ’- এর মানে ছিল শুধুমাত্র একটি সমাজবদ্ধ গোষ্ঠী।
সপ্তদশ- অষ্টাদশ শতাব্দীতে এসে ‘নাগরিক সমাজ’ গোষ্ঠীটির ধারণায় নতুন চিন্তার কথা বললেন ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক (১৬৩২-১৭০৪)তিনি সমাজের উচ্চ শিক্ষিত লেখক, শিল্পী, নাট্যকার, সাহিত্যিক, চিত্রকর ভাস্কর সহ সমাজের প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবী নাগরিকদের একটা মঞ্চে আসার কথা বললেন। পরস্পরের মধ্যে মত বিনিময় তথা নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর মঞ্চকেই নাগরিক সমাজের মূল ভিত্তি হিসেবে দেখার কথা বললেন। পাশাপাশি জন লক সাহেব সমাজের নীতিবোধের চালিকাশক্তি ঈশ্বর বিশ্বাসের কথা বললেন। তিনি বলে গেছেন ‘সুসভ্য’ সমাজে ঈশ্বর বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বাধীনতা থাকবে। তাঁর ধারণাশ্রয়ী সমাজে নাস্তিকদের অধিকার স্বীকৃত ছিল না। এই সূত্রেই জানা যায় অষ্টাদশ শতাব্দীর স্কটিশ তাত্বিকরা ঈশ্বর নির্ভরতার পরিবর্তে ধর্ম নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজের কথা বলে গেছেন। আলোচ্য বিষয় ঈশ্বর বিশ্বাস বা নাস্তিকদের নিয়ে কোনও আলোচনা দাবি করছে না। ২৯ সেপ্টেম্বর বিধান নগরের একটি ব্যাঙ্কয়ট সভাঘরে মতবিনিময় সভা ছিল। উদ্যোক্তাদের ভাষায় দার্শনিক আলাপ আলোচনার সভা বা সম্মেলন (Symposium) ‘Symposium on ‘’Fake news-Nemesis to Freedom of Expression’. বিষয় ছিল আমরা ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে। মিথ্যে খবরের বিরুদ্ধে। আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল সারা ভারত পেশাজীবী কংগ্রেস(AIPC) কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। এবং সংগঠনটি ইতিমধ্যে অনন্যতা দাবি করে। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের এটি দ্বিতীয় সভা ছিল। কলকাতা জেলা ছাড়াও হাওড়া জেলা, বিধাননগর এবং বারাসত থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সংগঠনটির দ্বিতীয় মত বিনিময় সভায় ছিল চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি।
সভার শুরুতেই এআইপিসির পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের সভাপতি ঋজু ঘোষাল আলোচনার সুরটা বেঁধে দিলেন। তিনি বললেন ‘’অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে এই সম্মেলন তৈরি করবে আগামীর নেতৃত্ব।‘’ আলোচনাসভায় বক্তা ছিলেন ছ’জন। পবন খেরা আস্তে পারেননি। সঞ্চালক সাহেরা হালিম প্রথমেই উল্লেখ করলেন, মিথ্যে কী ভাবে বলা হচ্ছে। ‘ফেক নিউজ’-কে কেমন করে আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কোন দেশে আমরা আছি? ‘ট্রুথ’ বা সত্যি কথা বলা যাবে না। বর্তমান ভারতকে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে তুলনা করতে পারব? কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল ধরিয়ে দিলে লেখক আক্রান্ত হচ্ছেনসাংবাদিক আক্রান্ত হচ্ছেবুদ্ধিজীবিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি ঋজু ঘোষালকে জিগ্যেস করব। কেরালার যেমন আলাদা পরিচিতি আছে। আমাদের এই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেরও আলাদা পরিচিতি আছে। সমাজকে, মানুষকে কতদিন উপেক্ষা করা হবে? বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা কী বলতে পারি?  
উত্তরে ঋজু বললেন, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিসগড়ের বিষয় নয়। আমাদের গ্রামীণ বাংলায় ইন্টারনেট সংযোগ কতটা পাবেন? কিন্তু স্মার্টফোন দ্বিতীয় হাত, তৃতীয় হাত ঘুরে খেটে খাওয়া তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তবুও বলব আমাদের দেশ আজও গ্রাম ভিত্তিক দেশ। সংস্কার আছে। মুল্যবোধ আছে তাই ‘ফেক নিউজ’-কে আটকাতে হবে। বাবর যেমন সম্রাট ছিলেন। ভারতের জিডিপি একটা সময় খুব ভালো ছিল। এটা সত্য। এই সত্যকে আমরা কেউ আড়াল করতে পারব না। ‘ফেক নিউজ’, মিথ্যে প্রচার বন্ধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তিকে অবহেলা করলে হবে না।‘’
রবীন্দ্রনাথ নিজে যেমন বিশ্বাস করতেন গ্রামকে বাদ দিয়ে একটা দেশের চরিত্র বোঝা সম্ভব নয়। তিনি জাতি তথা মহাজাতির কথা সেই যুগেও বলে গেছেন। তাঁর রাজা-প্রজা প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, যে দেশে একটি মহাজাতি বাঁধিয়া ওঠে নাই সে দেশে স্বাধীনতা হতেই পারে না। কারণ, স্বাধীনতার স্ব-জিনিসটা কোথায়? উপরন্তু গ্রামভিত্তিক দেশ। গ্রামের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ভেঙে দিয়েছিল অথবা স্বয়ম্ভরতা ভেঙে দিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকরা। রবীন্দ্রনাথ তার প্রতিবাদ করেছিলেন। এবং স্বদেশী সমাজের কথা বলেছিলেন।        
আইনজীবী ঋজু ঘোষালের বক্তব্য থেকেই আমাদের সামনে এসে যায় ‘গ্রাম সমাজ’-এর কথা। যেটা রবীন্দ্রনাথ সেই সময় বলেছেন। ‘নাগরিক সমাজ’-এর দায়িত্বের কথা বলেছেন তিনিসমাজ গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি রাষ্ট্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একে একে গড়ে উঠতে থাকল রাজনৈতিক দল বা শক্তি, প্রশাসন, আইন, বিচার ব্যবস্থা সহ একাধিক ব্যাবস্থা। সমাজের প্রয়োজনে লাগবে এমন সব সরকারি বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলি কিছু গোষ্ঠী বা বুদ্ধিজীবীদের টাকা দিয়ে বা উপঢৌকন দিয়ে কিনে নিতে চায় বা কিনে নেয়। অভিযোগ বিগত একশো বছরে দেশে বিদেশে এমন উদাহারণ ভুরিভুরি পাওয়া যাবে। সংবাদ মাধ্যমের উত্থানের পরে এই মাধ্যমকে মোটা টাকার অঙ্কে নিজেদের দলের স্বার্থে ব্যবহার করার উদাহারণ হিসেবে আমরা একাধিক অভিঞ্জতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে পারি। বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করেন সেই বাণিজ্যিক সমাজের সঙ্গে প্রতিবাদী এবং ধর্ম নিরপেক্ষ ‘নাগরিক সমাজ’-এর দ্বন্দ চিরায়ত। যে রাষ্ট্রপ্রধান বাণিজ্যিক সমাজের সঙ্গে ‘নাগরিক সমাজ’-এর ভারসাম্য সামলে দেশ শাসন করতে পারেন তিনি ইতিহাসে স্থান করে নিতে পারেন। আমরা যেমন আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু এবং মনমোহন সিংহের নাম উল্লেখ করতে পারি।
যে সূত্রের উপর নির্ভর করে এই লেখা লিখছি সেই একই সূত্র বলছে, ফরাসি সমাজতাত্বিক ও রাষ্ট্রবিঞ্জানী মঁতেস্কু-র (১৬৮৯-১৭৫৫) মত ছিল, বাণিজ্যিক সমাজের নাগরিকদের মধ্যে একটা স্বাধীন মেলামেশা এবং মুক্ত মনের জায়গা থাকে। এই দর্শন রাষ্ট্রের বাড়াবাড়িকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে এই শতাব্দীর প্রথম দশকের কথা মনে করতে চাইছি। ঘটনা আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া আমাদের রাজ্যে একটি শব্দ হঠাত এসে আছড়ে পড়েছিল। শব্দটি ছিল ‘সুশীল সমাজ’। রিজওয়ানুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটা আন্দোলন, সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে একটা আন্দোলন এবং নন্দীগ্রাম। রাজ্য তথা ভারতের ‘নাগরিক সমাজ’ বা ‘সুশীল সমাজ’ একটা রাজ্যের ভাগ্য নির্ণয়ের দায়িত্ব তখন নিয়ে নিয়েছিল। সেই সময়ে রাজ্যের ‘নাগরিক সমাজ’ বা ‘সুশীল সমাজ’ দু’টো শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়ে ‘আমরা-ওরা’ নামক আলাদা আলাদা গোষ্ঠীতে চিহ্নিত হয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্ভবত এই পরিণতি ডেকে আনে। আমরা নতুন করে এই বিতর্কে যাবনা। ঋজু ঘোষাল অহিংস সমাজের সদর দুর্গে কামান দেগে ন্যায্যতার দাবি জানালেন। সেই দাবি থেকেই সাংবাদিক এবং লেখক প্রাঞ্জয় গুহঠাকুরতা সভার আসনে বসে বললেন,  ‘’আমি কংগ্রেস করি না। তবু এই আলোচনা সভায় আমি এসেছি। ‘ভুয়ো খবর’ আমাদের কতটা ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। উদার সংস্কৃতির প্রসঙ্গে বলার জন্য আমাদের দেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ আক্রান্ত হচ্ছেন। আমেরিকায় নোয়াম চামস্কি আক্রান্ত। ‘ফেক নিউজ’ অথবা ভুয়ো খবর, গুজব এসব বেশিদিন ধরে রাখা যায় না। সত্য যদি আপনার সঙ্গে থাকে আপনার কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। সাংবাদিক মানে স্টেনোগ্রাফার নয়। সাংবাদিক মানে বিঞ্জাপন সংস্থা নয়। সাংবাদিককে নিরপেক্ষভাবে সমালোচকের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। মানে ক্রিটিক্যালি দেখতে হবে। এক পেশে এক তরফা হলে চলবে না।‘’
বিশ্বের অন্যতম চিন্তাবিদ তথা দার্শনিক নোয়াম চমস্কী কী বলছেন?    
     "The major media-particularly, the elite media that set the agenda that others generally follow-are corporations “selling” privileged audiences to other businesses. It would hardly come as a surprise if the picture of the world they present were to reflect the perspectives and interests of the sellers, the buyers, and the product. Concentration of ownership of the media is high and increasing. Furthermore, those who occupy managerial positions in the media, or gain status within them as commentators, belong to the same privileged elites, and might be expected to share the perceptions, aspirations, and attitudes of their associates, reflecting their own class interests as well. Journalists entering the system are unlikely to make their way unless they conform to these ideological pressures, generally by internalizing the values; it is not easy to say one thing and believe another, and those who fail to conform will tend to be weeded out by familiar mechanisms."

একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রাণঞ্জয় গুহঠাকুরতা বললেন, ‘’মার্কিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ফেক নিউজ’-এর নামে সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে চাইলেন। সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদ সংস্থার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়লেন। কারণ সাংবাদিকরা কঠিন প্রশ্ন করছিলেন। ট্রাম্প যুবক যুবতিদের বলছেন তোমাদের চাকরি মেক্সিকানরা নিয়ে নিচ্ছে। ট্রাম্পের মত আমাদের দেশে মোদী চাকরি দিতে পারছেন না। তিনি জাত, বর্ণ, ধর্ম নিয়ে ব্যাস্ত আছেন। তাঁর কাছে বাদামি বলে কিছু নেই। সব সাদা কালো। আমাদের দেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কিছু বলা যাবে না। কালাধন নিয়ে বলা যাবে না। নোট বাতিল নিয়ে বলা যাবে না গণপিটুনি নিয়ে কিছু বলা যাবে না। সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলে কিছু বলা যাবে না তাহলেই আপনি রাষ্ট্রের চোখে ‘শহুরে নকশাল’ অথবা রাষ্ট্রদ্রোহী।‘’
কংগ্রেস দলের ন্যাশন্যাল মিডিয়া প্যানেলিস্ট জয়বীর শেরগিল বলেন, ‘’কলকাতা অনুভূতির জন্য বিখ্যাত। সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাতগত চার বছর ধরে আপনারা পড়ছেন ‘অচ্ছেদিন আ গয়ে’। এর থেকে ‘ফেক নিউজ’ আর কী হতে পারে? আমি কোনও রাজনীতির পরিবার থেকে আসিনি। রাহুল গাঁধির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজনীতিতে এসেছি। যদি আপনার ট্যালেন্ট থাকে তাহলে আপনি রাজনীতিতে সাফল্য পাবেন। ভারতীয় সংসদে ১৬৪জন সাংসদের বয়স ৪০ বছরের কম।Fake news is not a current era news. এই ধরণের ভুয়ো খবর আগেও ছিল। সত্য সত্যের উপর নির্ভর করে। মিথ্যের উপর নয়।‘’
এআইপিসি(AIPC)-এর পূর্বাঞ্চলীয় কোঅর্ডিনেটর জারিতা লেইটপ্লাঙ্গ (Szarita Laitplang) বলেন, ‘’আমরা কমিউনিটি তৈরি করতে চাইছি। কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। আমরা প্রফেশনালদের আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। তাঁদের আহ্বান জানাচ্ছিমুক্ত মনে আসুন আমাদের মঞ্চে আসুনআমরা আলোচনা করব। দেশে সমস্ত মানুষ মিথ্যে খবরের উপর নির্ভর করছে না। মানুষকে বোকা বানানো সহজ নয়। মিথ্যে কথা এবং ভুয়ো খবর বন্ধ করতে হবে। আমরা নতুন মঞ্চ গড়ে তুলতে চাইছি।‘’

কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘’উপেক্ষা কোনও বিষয় হতে পারে না। ফোকাস সত্যের উপর হওয়া উচিৎ। আপনার দর্শন কেউ বদলে দিতে পারবে না। আপনি যদি সত্যের উপর নির্ভর করেন। যদি আপনি সত্যের পক্ষে থাকেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলছি দেশের প্রগতি হোক। সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নতি হোক। কতজন চা-ওয়ালা দেশে আছেন? একজন চা-ওয়ালা বলছেন আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী! যিনি নিজের মাকে কুড়ে ঘরে রেখেছেন। ভুয়ো খবর আর নিজের প্রচার করতে দেশের ভান্ডার থেকে ৪৫, ০০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন মোদীজী। দেশের বিকাশ কতটা করেছেন তিনি?’’
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আলোচ্য প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘’পশ্চিমবঙ্গে কোন দলের সঙ্গে জোট হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। কংগ্রেস দল এককভাবে নির্বাচন লড়বে না বিরোধী দল সিপিএমের সঙ্গে জোট করবে? অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ২০১১ সালের মতো জোটে লড়বে বিষয়টা ঠিক হয়নি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধির সঙ্গে আজ (২৯ অক্টোবর) দিল্লিতে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব আলোচনা করছেন সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে। কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না। আপনি যৌথ প্রচারের কথা বলছেন কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্ন দলের ট্রেডইউনিয়নগুলি একসঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচী নিচ্ছে। কংগ্রেস রাস্তায় প্রতিবাদে আছে।‘’
ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে ঋজু ঘোষাল আরও বলেন, ‘’দেশের ইতিহাস আপনিও জানেন আমিও জানি। ট্রুথ মানে সত্য। সবার উপরে সত্য তার উপরে কিছু নায়। সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির যে উন্নয়ন হয়েছে সেখানে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। প্রাণঞ্জয় গুহঠাকুরতা বলেছেন। অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে এই সম্মেলন তৈরি করবে আগামীর নেতৃত্ব।‘’                      
         

No comments:

Post a Comment