Monday, 15 October 2018

কলকাতা জাদুঘরে একঘণ্টার দুর্গাপুজো








                                                                                           
                                                                                                                                                           দীপেন্দু চৌধুরী


যে নক্ষত্র মরে যায়, তাহার বুকের শীত
লাগিতেছে আমার শরীরে—
যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে
তুমি আছো জেগে—
(‘নির্জন স্বাক্ষর’ জীবনানন্দ দাশ, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা- ৮২)
মানুষ সমাজে থাকে। সমাজে থাকতে চায়। একক মানুষ এক গোষ্ঠীতে জন্ম নিয়ে সেই গোষ্ঠীতে মৃত্যু হয় তার। আবার অন্য গোষ্ঠীতেও মৃত্যু হতে পারে। যদি কোনও একক মানুষ গোষ্ঠী পরিবর্তন করে। আমরা একই দেশের পরম্পরার কথা মাথায় রেখে এই কথা বলছি। মানুষের সংস্কৃতি এভাবেই পরস্পর পরস্পরের হাত ধরাধরি করে সম্মিলিত এক মিলন মঞ্চ তৈরি করে। সেই মঞ্চের ব্যাপ্তি গড়ে তোলে চিরায়ত এক সংস্কৃতি। চিরন্তন সংস্কৃতির পরতে পরতে থাকে ব্যক্তি এবং সমাজের সম্পর্ক। ব্যক্তিক সম্পর্ককে ভিত্তি করেই বৃহত্তর সমাজের মধ্যে আমাদের যেতে হয়। বাঙালি নামক একটি ভারতীয় তথা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি মানবগোষ্ঠীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা। যাকে আমরা আমাদের যোগ্যতা মত শব্দ চয়ন করে বলতে পারি ‘শারদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘শারদ উৎসব’।
বাঙালির এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গত কয়েকশত বছর ধরে এক মোহময় মমতায় সম্মিলিত হয়। যুগে যুগে এই সম্মেলনের বাহ্যিক আবরণের পরিবর্তন হলেও ‘দুর্গা পুজার’ আচার, উপাচার, ধর্ম, চণ্ডীপাঠ, ১০৮ টা প্রদীপ, ১০৮ টা পদ্ম ফুল, আঁখ, শিউলি ফুল, কলা বৌ, সিঁদুর খেলা, বিজয়ার কোলকুলি হয়। আমরা নতুন পোশাক পরি। বাঙালির দুর্গাপুজো সমস্ত রিচুয়ালসহ আজও ভারতীয় ঘরানা তথা ঐতিহ্য মেনেই হচ্ছে। যদিও আলোচনায় আস্তে পারে পরাধীন ভারতের দুর্গাপুজোর সঙ্গে স্বাধীন তথা আধুনিক উন্নত ভারতের সমাজে দুর্গাপুজার পার্থক্য কতটা? একচালার দুর্গা পুজা থেকে বারোয়ারি দুর্গাপুজোযাকে বলা হয় সার্বজনীন দুর্গাপুজো বর্তমানে বনেদী বাড়ির সাবেকী দুর্গাপুজো বনাম সার্বজনীন দুর্গাপুজো। বলতে হবে বা মানতে হবে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের দেশপ্রীতি, স্বদেশপ্রেমকে একটি পরাধীন দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তুলনা করা সম্ভবও নয়। তবুও একথা বলাটা অত্যুক্তি হবেনা যে, ব্রিটিশ যুগের প্রথম সকাল থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথম প্রহর পর্যন্ত জননীস্বরুপা জন্মভূমির মাতৃরুপের সাধনা করেছে বাঙালি তথা ভারতীয়রা। যখন রাষ্ট্রনীতি এতটা তীব্রভাবে প্রতিনিয়ত আলোচনায় ছিল না। অথবা রাজনৈতিক আন্দোলনের ঘনঘটা এতটা পরিলক্ষিত হয়নি সেই সময়কালে ভারতের তথা বাংলার কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা স্বদেশের ধ্যানমূর্তি রচনা করেছেন।
স্বাধীনতার পরে ‘দুর্গাপুজো’ ভারতের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে আরও জনপ্রিয় হয়েছে একটা বৃহতের মনন হিসেবে। দ্বিধাহীন মিলন মেলার মেলামেশার মঞ্চ হিসেবে। সম্প্রীতির সম্মেলন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা বাঙালিরা নতুন ভাষায় নতুন করে আমাদের চিনতে পারি। আমার সংগ্রহে অনেক অভিঞ্জতা আছে। তার থেকে আমি দুটো বেছে নেব। আমাদের ছোট বেলায় নলহাটীর ‘চার্চপাড়া’ অঞ্চলে একটি দুর্গাপুজো হত। রবার্ট রবীন দাস এবং তাঁদের পরিবার এই পুজোর মূল আয়োজক ছিলেন। রবীনদা একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পুজোর বাজেট বলে সেই সময় তেমন কিছু ছিল না। একটি গঞ্জ এলাকার পুজো। তাই খুব ছোট ছোট মাপে বা নমঃ নমঃ করে  দুর্গাপুজো হত। কিন্তু সেই পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের অবলিল আনন্দ  টেনে নিয়ে যেত এ পাড়া থেকে সে পাড়ায় সেখানে ‘জাতপাত’, ধর্ম ইত্যাদির কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। শৈশব কৈশোর থেকেই আমাদের মনটা গড়ে উঠেছে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য......’ এই দর্শনে। এই দর্শনে ব্রাহ্মণ নেই, ক্ষত্রীয় নেই, চাড়াল নেই, শূদ্র নেই, নমঃশূদ্র নেই, ডোম নেই, চামার নেই হাড়ি নেই। হরিজন নেই, বর্তমানের ‘দলিত’ নেই। আমরা সবাই মানুষ। যে কথা রবীন্দ্রনাথও বলছেন।
‘হিন্দু’ কোনও ধর্ম নয়। এই কথার যুক্তি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাতে কতটা জোড়ালোভাবে এসেছে? কবি বলছেন, ‘’হিন্দু শব্দে এবং মুসলমান শব্দে একই পর্যায়ের পরিচয়কে বুঝায় না। ............হিন্দু ভারতবর্ষের একটি জাতিগত পরিণাম।‘’ (রবীন্দ্র রচনাবলী, ১৩ খন্ড, পৃষ্ঠা- ১৭৫)        
পরেরটা কর্মজীবনের অভিঞ্জতা। খুব সম্ভবত ২০০৮ সাল। আমি কলকাতা টিভির সাংবাদিক হিসেবে কসবা-হালতু অঞ্চলের একটা দুর্গাপুজো কভার করতে গিয়েছিলাম। ক্যামেরাম্যান মণ্ডপের ছবি তুলতে তুলতেই আমি কাজ শুরু করে দিলাম। খুব খুবই ছোট মণ্ডপ। মানে বলার মতো তেমন কিছু নয়। মণ্ডপে একচালার একটা ঠাকুরের মূর্তি। টিম টিম করে আলো জ্বলছে। পুজোর কর্মকর্তারা সলজ্জ চাহনিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেনকেউ সামনে আস্তে চাইছে না। আমি প্রথমটায় ভাবলাম ছোট পুজো সেই কারণে কেউ কিছু বলতে চাইছে না। কিন্তু টিভির সাংবাদিক হিসেবে অতীত অভিঞ্জতা মিলছে না। পুজো যত ছোটই হোক টিভি ক্যামেরা মানে উদ্যোক্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যস্ততা চোখে ধরা পড়ে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখে আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। অনেক পরে একজন মাঝবয়সী লোককে দেখলাম। তাঁকে ধরলাম। তার পরনে নতুন চেক লুঙ্গি, কোরা গেঞ্জি। দাড়িগোফহীন ভদ্রলোক ভীষণ লজ্জা লজ্জা করে আমাকে বাইট দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের এটা মুসলমান পাড়া। আমরা কয়েকজন মিলে এই পুজো করছি। আপনি খবর করলে করুন। কোনও টিভি আজ পর্যন্ত আসেনি। আপনি প্রথম এলেন। অন্ধকারে হয়ত দেখতে পাচ্ছেন না। মণ্ডপের পাশে দেখুন একটা মাজার আছে।’ এই আমার আপনার বাংলা। এটাই আপনার আমার চিরায়ত সংস্কৃতি। মিলনের সংস্কৃতি।
কয়েকদিন আগে কলকাতার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ থেকে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমার ই-মেলের ঠিকানায়। বয়ানটা তুলে দেওয়া যাক। ‘Indian Museum Kolkata Ministry of Culture, Government of India Homage to the great goddes Durga an Exhibition of photogrphs at Indian Museum, Kolkata by Mireille Josephine Guezennce-Himabindu, French professor of philosophy, a writer and photographer from 12th October to 12th November. 2018, Madame Virginie Corteval Consul General of France in Kolkata has kindly consented to inaguirate the Exhibition.’  
 ১২ অক্টোবর দুপুর তিনটের সময় আমরা জনা পঞ্চাশেক আমন্ত্রিত ব্যক্তি (সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি সহ) কলকাতার জাদুঘরের প্রদর্শনী কক্ষে একঘণ্টার বাঙালি ঘরানার পুজোর উদ্বোধন দেখলাম। পুজো উদ্বোধন করলেন কলকাতার নতুন ফরাসি কনসাল জেনারেল ভার্জিনিয়া কোর্টেভাল(Virginie Corteval) দুজন ঢাকি ঢাক বাজালেন। সকলে চটি, জুতো খুলে দুর্গা মূর্তির সামনে করজোরে প্রণাম করলেন। প্রাণচঞ্চল এক উচ্চ শিক্ষিত মহিলা। ফরাসি কনসাল জেনারেল কলকাতায় নতুন। আমার সঙ্গে প্রথম আলাপেই তিনি জানালেন তিনি নতুন দর্শনের অধ্যাপিকা ক্যামেরা শিল্পী রথের সময় মা দুর্গার কাঠামো বাঁধা থেকে, একমাটি, দো-মাটি, প্রথম রঙের প্রলেপ, দ্বিতীয় রঙের টাচ, চক্ষুদান, দুর্গাপুজার চারটে দিন, বিসর্জন, সিঁদুর খেলা প্রতিটি মুহূর্তকে ক্যামেরার চোখে, বিদেশী ক্যামেরার ভাষায় নিজের শিল্প সুষমায় তুলে এনেছেন। চার মাস সময় নিয়েছেন ফরাসি ক্যামেরা শিল্পী। ১০০টা ছবি প্রদর্শনী কক্ষে প্রদর্শনের জন্য রয়েছে। প্রদর্শনী চলবে একমাস। ১২ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনীর একটি ছবির সামনের নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে, ‘’Presence and significance of the ghat (ritual pot) placed before the goddess, Before the Goddess stands a ghat, a floored Jar made of copper or clay. Containing water and various concentrated substance.’’
আরও একটি অংশে লেখা রয়েছে, এটি প্রদর্শনীর পরিচয় প্রসঙ্গে লেখা। শিরোনাম
Homage to the Great Goddess Durga.’
‘’The ancient scriptures reveal the origins of the Goddess Durga. They relate the circumstances under which ‘The one who is difficult to attain’ was born (Durga-means a fort). For the myth said that only an incredibly beautiful woman, endowed with invincible power, could kill the terrible demon king Mahishasura in a violent battle.’’   
ফরাসি প্রবীণ লেখক এবং দর্শনের অধ্যাপক মিরিল জোসফাইন (Mireille Josephine) ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘আমি বাঙালির দুর্গাপুজোর বিষয়ে ফ্রান্সে বসেই জানতে পারি। অনন্য এক ব্যতিক্রমী সুন্দরী নারীর প্রতীক তিনি। শক্তির দেবতা তিনি। নারীশক্তির প্রতীক তিনি। তাই আমি এই বিষয়টাকে আমার ক্যামেরায় তুলে আনতে চেয়েছি।‘’ সিঁদুর খেলার ছবির প্রসঙ্গে আলোচনা করার সময় ফরাসি অধ্যাপিকা জানালেন বিষয়টা তিনি জানেন। কিন্তু তাঁর কিছু করার নেই। সভ্যতা এগিয়ে গেলেও ভারতে দুর্গা পুজোর পরে বিশেষ অনুষ্ঠান সিঁদুর খেলা। এই অনুষ্ঠানে সধবা অর্থাৎ বিবাহিতা নারী ছাড়া অন্য মেয়েদের প্রবেশ এখনও অবাধ নয়। সম্প্রতি সাংবাদিক শ্রাবণী বসুর কলম থেকে জানতে পারলাম লন্ডনের বাঙালিরা তথাকথিত ওই সংস্কারের বেড়ি খুলে ফেলতে পেরেছেন। শ্রাবণী লিখছেন, ‘’......একমাত্র রয়্যাল বার্কশায়ারের বাঙালি অ্যাসোসিয়াশনই রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে পুজো করে। এ বার তাদের দশম বছর। পুজো হবে লন্ডন থেকে ২১ মাইল দূরে স্লাও-র বেইলিস হাউসে। এই পুজো ‘ডবল ডট মুভমেন্টের’ সমর্থক। শুধু বিবাহিত মহিলারাই নন, বিজয়া দশমীর দিন মায়ের বরণে এখানে সিঁদুর খেলায় অবাধে অংশগ্রহণ করেন সব মহিলাই। এক উদ্যোক্তা বললেন, ‘বিবাহিত, অবিবাহিত, বিবাহবিচ্ছিন্না কিংবা স্বামীহারা, ১৮ অক্টোবর মায়ের বরণে এবং সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করতে আমরা সকলকে স্বাগত জানাই।‘’ 
চলতি বছরের ২০ জুন কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে এলজিবিটিদের একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালায় রূপান্তরকামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মী রঞ্জিতা সিনহা দাবি করেন, ‘’ট্রান্স জেন্ডার আমরা। আমরা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় সিঁদুর খেলতে চাই। যদি আমাদের সুযোগ দেওয়া হয়।‘’                   
গতবছর দুর্গাপুজোর সময় সুদূর আমেরিকা থেকে এসেছিলেন এক তরুণ গবেষক। ক্রিস্টোফার এল ডায়মন্ড তাঁর নাম। ‘কবি বিদ্যাপতি’ বিষয়ক গবেষণার কাজে ১০ মাস কলকাতায় ছিলেন তিনি ক্রিস্টোফার একটি সাক্ষাৎকারে আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি দুর্গাপুজার কথা জানতাম। তাই পুজোর কিছুদিন আগে এসেছিলাম। হিন্দুস্তান পার্ক থেকে পায়ে হেঁটে আমি ১৫-২০টা ঠাকুর দেখেছি।’ সম্প্রতি কলকাতার নতুন কনসাল জেনারেল প্যট্রিসিয়া হফম্যান আমেরিকান সেন্টারের একটি অনুষ্ঠানে ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো নিয়ে তাঁর আগ্রহের কথা বলেছিলেন। ১৩ অক্টোবর চতুর্থীর দিন দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখেন সাতটি বিদেশী রাষ্ট্রের পদস্থ আধিকারিকরা। এই দলে ছিলেন ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জার্মান, জাপান, বাংলাদেশ এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা। ওইদিন সন্ধ্যেয় বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘’দুর্গাপুজো আমাদের সব চেয়ে বড় উৎসব হলেও আমরা সব ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এখানে ইদ, বড়দিন সবই সাড়ম্বরে পালন করা হয়। বড়দিনের শহরও উৎসবের সাজে সেজে ওঠে। এখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু বলে কোনও ভেদাভেদ আমরা করি না। এটাই আমাদের আদর্শ।‘’
সাতটা দেশ পাহারা দেয় বাংলার মা আমার। সাতটা মহাদেশ পাহারা দেয় ভারত মা আমার। আমরা অনাথ নই  বাংলা আমার মা, আমরা অনাথ নই ভারত আমার মা।
১২ অক্টোবর কলকাতা জাদুঘরে প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের কলকাতার নতুন কনসাল জেনারেল ভার্জিনিয়া কোর্টেভাল(Virginie Corteval) বলেন, ‘’আমি একমাস আগে কলকাতায় এসেছি। এসেই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসবের কথা জানতে পারি। রাস্তায় ফ্লেক্স, হোর্ডিং দেখলাম। খুব জাগ্রত মায়ের মুখ। আমাকে ভীষণ ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। আমি কলকাতা এসেই এক নতুনকে খুঁজে পেলাম। আবিষ্কার করলাম এই উৎসবকে। ১১ অক্টোবর কুমারটুলি গিয়েছিলাম। মৃৎ শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হলাম। অত্যন্ত সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেই সূত্র আর আজকের প্রদর্শনী আমাদের মিলন মঞ্চে এনে দিল। সবাইকে আমাদের শারদ শুভেচ্ছা।‘’                                         

No comments:

Post a Comment