দীপেন্দু চৌধুরী
বর্তমান ভারতে যারা ভাবছেন সিপিএম নামক দলটি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তাঁরা ভুল ভাবছেন। সিপিএম নামক দলটির আভ্যন্ত্রিক বিষয়ক খবর পুরোটা এখনও সংবাদ মাধ্যমে আসে বলে মনে হয় না। কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রশ্নে গত এক বছর ধরে সিপিএম দলে বিতর্ক জারি আছে। তথ্য বলছে অতীত অভিঞ্জতায় দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রশ্নে সিপিএম দল আড়াআড়িভাবে দু'টো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ২০১৯ সালে বিজেপির নেতৃত্বে লোকসভা ভোটের আগে আদ্রশগতভাবে দু'টো ভাগ হয়ে গেল। গত বছর অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। ডিসেম্বর মাসে প্লিটব্যুরো বৈঠক। পরে ধারাবাহিকভাবে প্লিটব্যুরোর বিভিন্ন সদস্য এই বিষয়ে বৈঠক করেন। এই বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত অনেকগুলি বৈঠক হয়। কিন্তু সর্ব সম্মত দলিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয় প্লিটব্যুরোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। 'নিও লিবারেল অর্থনীতি' প্রশ্নে এই সিদ্ধান্ত আটকে যায়। কলকাতায় তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের আগে শেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৬৩ জন সদস্য। সেদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ৭২ জনের মধ্যে ৬৩ জন হাজির ছিলেন। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে ৩১জন কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি গোষ্ঠীর। ৩২ জন কমরেড প্রকাশ কারাটের নিয়ন্ত্রণে।জানুয়ারি ২০, 'দ্য হিন্দু' ওয়েব পেজে শোভা কে নায়ার লিখছেন, ''The other draft political resolution is backed by former general secretary Prakash Karat. The two draft political resolutions agree that main objective is to oust BJP, however they disagree on the means to achieve this end. Mr. Yechury’s draft proposes left democratic “front” as a policy alternative. It also recommends that all secular forces need to be incorporated in anti-communal campaigns. The resolution backed by Mr. Karat says the party cannot enter into any front or alliance.
According to sources efforts were made to sort out the differences in the two drafts. In October too at the central committee Mr. Yechury's draft was backed by 31 persons.''
ফ্লে সিদ্ধান্ত হয়নি। কলকাতায় তিনদিনের (১৮, ১৯, এবং ২০ জানুয়ারি) বৈঠকেও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দল্টি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এদিনের ভোটাভুটিতে প্রায় ৮৬ জন সদস্য ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে ৫৫ জন সদস্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং ৩১ টি ভোট পড়েছে পক্ষে । এদিকে আগামীদিনে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যাওয়া হবে কি তা নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। তিনদিনের এই বৈঠকে গত দু’দিন ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গে জোট নিয়ে জোরালো সওয়াল করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্য। এক্ষেত্রে বঙ্গ বিগ্রেডের নেতারাও কংগ্রেসকে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে পাশে পেতে চান। কিন্তু সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত ঝুলেই রইল।
হায়দারাবাদে ১৭-১৯ এপ্রিলের পার্টী কংগ্রেস পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল। আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে সংগঠিত বাম্পথীদের অবস্থানের জন্য। অথবা বিভাজিত বামপন্থার ভবিষ্যৎ কি হয় সেটা দেখার জন্য।
No comments:
Post a Comment