তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ
ভারতে উত্তর সনিয়া গাঁধি কংগ্রেস......:
আজকের এই দিনে গুজরাট নামক ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে প্রথম দফার ভোট। প্রায় ২৭ বছর পর কংগ্রেসের ওই রাজ্যে সরকার গড়ে তোলার সম্ভবানা দেখা
দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বলছে ‘হার্দিকের হাত কংগ্রেসের সাথ’। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের
সময় কংগ্রেসের শ্লোগান ছিল ‘কংগ্রেসের হাত আম আদমি কে সাথ’। বিজেপির ‘বিকাশ পুরুষ’
তথা ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে কংগ্রেস আলোচনায় উঠে
এসেছে। গত কয়েক বছরের মানদণ্ডে কংগ্রেস দলটিকে ক্ষয়িষ্ণু দল হিসাবে রাজনৈতিক
বিশ্লেষক এবং সমাজ বিঞ্জানীরা চিহ্নিত করে বসেছিলেন। একসময়ের একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ
করা ভারতের একমাত্র দলটি সময় এবং কালের নিয়মেই এক যুগসন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। নব্বইয়ের
দশকে টালমাটাল বিশ্বে ভারতেও আর্থ-সামাজিক টানাপড়েন দেখা দেয়। আয়ারাম গয়ারাম
রাজনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ভারতীয় নাগরিকরা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে
গিয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধির মৃত্যুর পর কংগ্রেস নামক দলটি
অভিভাবকহীনতায় ভুগছিল। বিজেপি নামক দলটি তখনও এতটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। ফলে
ভারতে আর্থ রাজনৈতিক এবং আর্থ সামাজিক অস্থিরতা দীর্ঘদিন আমরা পরিলক্ষিত করেছি। উদার
অর্থনিতির রাস্তায় গিয়েও ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল স্বাভাবিক বিষয়। যদিও
বর্তমান ভারতবর্ষে বিজেপি দলটির সাংগঠনিক শক্তি বাড়লেও আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে
সমালোচকরা প্রশ্ন তুলতে চাইছে। আধুনিক গণতন্ত্রের আধুনিক দল বলে বিজেপি নেতৃত্ব
দাবি করলেও বিজেপি দলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষত আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রে।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিজিপিকে রাজনৈতিকভাবেই সামলাতে হবে কংগ্রেসকে। পাশাপাশি
বিজেপিকেও সামলাতে হবে কংগ্রেসকে। এটাইতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের পরম্পরা। তর্ক,
বিতর্ক এবং গঠনমূলক সমালোচনা একটি গণতান্ত্রিক দলের সংবিধানে প্রাথমিক পাঠ্যসূচি
হওয়া উচিত।
১৯৯৯ সালের আগে স্থায়ী সরকারের চরিত্র কেমন যেন ঘোলাটে
দেখাচ্ছিল। সর্বকালের সেরা তথা বিশ্বের অন্যতম অর্থনীতিবিদ এবং নব্বইয়ের দশকের সফল
অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ তখনও রাজনীতিতে দক্ষ হয়ে ওঠেননি। অথবা হয়ে উঠতে চাননি।
ভারতে তথ্যপ্রযুক্তির ভগীরথ রাজীব গাঁধির মৃত্যুর পর কংগ্রেস যে নেতৃত্বহীনতায়
ভুগছিল সেই শুন্যস্থান ভরিয়ে তুলতে এগিয়ে এলেন সনিয়া গাঁধি। আজ ৯ নভেম্বর সনিয়া
গাঁধির জন্মদিন। আজই আগামীর আলো দেখা ভোরের আশায় কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সভাপতি রাহুল
গাঁধি গুজরাট ভোটে প্রচারে ব্যস্ত। গুজরাট বিধানসভা ভোটকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের
আগে সেমিফাইনাল বলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ঘটনা যেমন কাকতালীয় আবার মানতে হবেই
সনিয়া গাঁধির গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আভিজাত্যকে। আজকের দিনে তিনি কোনরকম আড়ম্বর
করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর এমনটাই। দলের প্রধান নেত্রীর
জন্মদিনকে সব গণতান্ত্রিক দেশেই যে কোনও রাজনৈতিক দল সাড়ম্বরে উদযাপন করে। কিন্তু
শুধু এই বছর নয় গত কয়েক বছর সনিয়া গাঁধি নিজের জন্মদিনে সবিনয়ে আড়ালে থাকছেন। এবছর
সনিয়া গাঁধি ৭১ বছরে পা দিয়ে সতীর্থ নেতাদের বলেছেন, ‘’এবার আর কথায় কথায় ১০ জনপথ
নয়। এখন থেকে গন্তব্য ১২ তুঘলক লেন।‘’
আভিজাত্যের সংস্কৃতি আমাদের চিনে নিতে বলছেন সম্ভবত। অথবা পরবর্তী প্রজন্মের
রাজনীতিকদের কাছে বার্তা দিতে চাইছেন হয়তবা, দল আগে ব্যক্তি নয়।
কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একটা কথা চালু আছে। ঠিক বেঠিক
কিনা বলতে পারব না। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দশ
বছর সময় নিতে পারেন। ঘটনাটা যে অনেকটা সত্য সেই উদাহারন আমরা রাহুল গাঁধির
ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ রাহুল গাঁধিকে আরালে রেখে গড়ে তুললেন। ২০০৪
সালের জানুয়ারি মাসে রাহুল গাঁধি রাজনীতিতে এসেছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালে ধীর লয়ে
রাহুল গাঁধিকে নেতৃত্বে তুলে আনতে চেষ্টা করে চলেছেন। ধাপে ধাপে সাধারণ সম্পাদক,
উপাধাক্ষ্য। আগামীতে রাহুল গাঁধি হবেন সভাপতি। পিছনের দিকে যদি একটু ফিরে তাকাই
দেখব তিন বছর আগে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, ‘তবে কি গাঁধি পরিবারের মহিমার দিন
শেষ?’ কিন্তু কংগ্রেসের পোড় খাওয়া নেতারা মনে করেন দলটাকে একজোট করে রাখা এবং
চাঙ্গা করে রাখতে এই পরিবারের বিকল্প নেই। ইন্দিরা গাঁধি উত্তর কংগ্রেসের হাল যেমন
রাজীব গাঁধি ধরেছিলেন। রাজীব গাঁধির অবর্তমানে শুধুমাত্র কংগ্রেস দলটাই নয়। ভারত
নামক একটি সামন্ত মূল্যবোধের দেশকেও সামনের সারিতে নিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন সনিয়া
গাঁধি। ২০১৫ সাল থেকেই সনিয়া গাঁধি অতি সক্রিয় ভূমিকায় নেমে গঠনমূলক বিরোধী দলের
স্বীকৃতি আদায় করে এনেছেন। ওই বছরে ১৯ এপ্রিল জমি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে কৃষক সভার
মঞ্চ থেকে আমরা আরও একবার সনিয়া গাঁধি নামক এক প্রাণবন্ত নেত্রীকে দেখেছিলাম। একজন
যোগ্য গণতান্ত্রিক নেত্রীকে আবার ফিরে পেল ভারত নামক তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা
একটি দেশ। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক শীর্ষ সারির নেতা সেদিন বলেছিলেন, ‘’আসলে
জমি নীতির বিরোধীতা উপলক্ষ মাত্র। সনিয়ার কাছে উনিশের সভার গুরুত্ব অন্য। আসল কথা
হল, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গাঁধি পরিবারের মাহাত্ম্য ধরে রাখার লক্ষেই ওই সভার ডাক
দিয়েছেন সনিয়া। কারণ, তিনিও বুঝতে পারছেন, ওই মহিমা টিকে থাকলে তবেই কংগ্রেস টিকে
থাকবে। রাহুল গাঁধির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও সুনিশ্চিত হবে। নইলে কংগ্রেসটাই টুকরো
টুকরো হয়ে যাবে।‘’
১৯ এপ্রিল জমি অধ্যাদেশের পরে ৩ নভেম্বর সনিয়া
গাঁধি পথে নেমেছিলেন অসহিষ্ণুতার পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিবাদে। ৩ নভেম্বরের ওই সভায়
কংগ্রেস সভাপতির শরীরী ভাষা বলে দিচ্ছিল তাঁর নীরবে একান্ত পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ
প্রতীক্ষা আজ সফল হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং দলের অন্যান্য
নেতা সাংসদদের নিয়ে সেদিন বিকেলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে যান স্মারকলিপি জমা দিতে।
সঙ্গে ছিলেন রাহুল গাঁধিও। স্মারকলিপি পেশ করে বেরিয়ে সনিয়া সেদিন বলেছিলেন,
‘’গোটা দেশে ভয়, হুমকি ও অসহিষ্ণুতার পরিবেশ কায়েম হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে সরকার ও
তাদের মতাদর্শের কিছু লোক। ছক কষেই এ সব করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যে রকম নীরব,
তাতেই পরিষ্কার যে এ ব্যাপারে তাঁর সম্মতি রয়েছে।‘’ এই ঘটনার পরে খুব সম্ভবত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
দলের হাল ধরার পর আমার ব্যক্তিগত ধারণা সনিয়া
গাঁধি ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। এবং চেষ্টা করেছেন বর্তমান
প্রেক্ষাপটে সেই অভিঞ্জতা মিলিয়ে দিতে। কখনো সাফল্য এসেছে কখনো ব্যর্থতা। সংসদীয়
গণতন্ত্রে এটাই দস্তুর। একটি লেখায় পড়েছি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংসদীয় গণতন্ত্রের
মন্ত্রী পারিষদরা যদি অসৎ হয়ে যান। রাজস্ব নয় ছয় করেন, কিংবা কোনও কাজ করতে না
পারেন। জাল ভোটে জয়ী হয়ে যদি ক্ষমতা ভোগ করেন। সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ব্রিটিশদের দেখে এই প্রসঙ্গ মাথায় আসে গাঁধিজীর। তিনি স্থীর করেন আইন সভার সদস্য
তথা মন্ত্রীদের মাথার উপরে একটি অভিভাবকমণ্ডলী বা উপদেষ্টামণ্ডলী রাখবেন। তাঁরা
নির্বাচনে নামবেন না, কিন্তু যারা দলের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতায় অংশ নেবেন
তাঁদের টিকিট দেবেন। এবং মন্ত্রীসভা গঠন করলে সেই মন্ত্রীসভায় কারা মন্ত্রী হবেন
সেই সিদ্ধান্ত উপদেষ্টামণ্ডলী নেবে। ইউপিএ আমলে গঠিত বহু বিতর্কিত ‘ঝোলাওয়ালা’
রাজনীতি বা সংস্কৃতির কথা আমরা মনে করতে পারি। তৎকালীন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া
গাঁধির বলয়ে বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ, সমাজকর্মী, ইতিহাবিদরা ছিলেন। সেই দলের মাথা
থেকেই আজকের সফল এমএনরেগা বা ১০০ দিনের কাজের মতো জনপ্রিয় প্রকল্প দেশে চালু হয়েছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে সমালোচনা করলেও তাঁর নেতৃত্বে
প্রকল্পের ২০১৭-১৮ সালে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আমরা কি গাঁধিজীর পরিকল্পিত
ক্যানভাসকে ইউপিএর সরকারের মাথার উপরে থাকা কমিটির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারি না?
আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর সনিয়া গাঁধি একজন
অভিঞ্জ অভিভাবকের মতই আড়ালে থেকে কাজ করবেন। সামনে এগিয়ে দিয়েছেন নিজের সন্তান
রাহুল গাঁধিকে। কংগ্রেস দলটি প্রায় ১৩০ বছরের দল। বিভিন্ন ঘটনার স্বাক্ষী আমাদের
দেশের সব থেকে প্রাচীন এই দলটি। সামন্ততান্ত্রিক ভারত নামক একটি দেশে কংগ্রেস আড়েবহরে
যত বেড়েছিল ঠিক ততটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে প্রথম
দিকে বামপন্থীরা প্রশ্ন তুলত। পরে জনসংঘ আরও পরে বিজেপির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী
বিরোধী দলের উত্থান হলে তাঁরা একই প্রশ্ন তুলতে থাকে। গুজরাট ভোট প্রস্তুতির মধ্যে
মঞ্চের ভাষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পক্ষে
বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত আমাদের নজরে আসে। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের বুদ্ধিজীবী
নেতা মনিশঙ্কর আয়ারের একটি আল টপকা মন্তব্যকে লুফে নেয় বিজেপির বিকাশ পুরুষ নামক
দক্ষ নেতা মোদী। কংগ্রেস নামক দলে মনিশঙ্কর আয়ারের পরিচিতি গাঁধি পরিবারের অত্যন্ত কাছের লোক
হিসাবে। এছাড়া তিনি রাজীব গাঁধির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অন্যতম। মনিশঙ্করের মোদীকে নিয়ে
শব্দ চয়ন এবং সেই শব্দ প্রয়োগ করাকে কেন্দ্র করে বিজেপি
তাঁদের সংবাদ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। গুজরাট ভোটের আগে ব্রহ্মাস্ত্র
পেয়ে যায় বিজেপি। নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যমও মনিশঙ্কর আয়ারকে সমালোচনা করলে কংগ্রেসের
ভবিষ্যত সভাপতি রাহুল গাঁধি দলের কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে
প্রবীণ নেতাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এবং সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর মনিশঙ্কর আয়ারজিকে
কিছুদিনের জন্য কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ভারত তথা উত্তর বিশ্বায়ন
সংস্কৃতির ভাষা এবং মূল্যবোধে অভ্যস্ত আধুনিক ইন্ডিয়া নামক দেশটিকে আরও সামনের
দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেস দলে রাহুল গাঁধির মতো নেতার প্রয়োজন রয়েছে। উত্তর
সনিয়া গাঁধি কংগ্রেস দলে যেমন ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে প্রচলিত দলীয় গণতন্ত্র
প্রয়োজন। প্রয়োজন মানবাধিকার সংক্রান্ত মানসিক উদারতা এবং গঠনশৈলী। যে সংস্কৃতি
সনিয়া গাঁধি আমাদের চিনতে সাহায্য করেছেন। একজন গণতান্ত্রিক নেতা ভুল এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার
জন্যই তিনি মানুষ। তাই প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধির
পথেই সনিয়া গাঁধি কংগ্রেসকে আরও গণতান্ত্রিক করতে চেয়েছেন। সম্প্রতি একটি বাংলা পাক্ষিক পত্রিকায় প্রাক্তন
সাংসদ অধ্যাপক কৃষ্ণা বসু লিখছেন, ‘’............সাধারণত, রাজনৈতিক নেতারা
অ্যাকাডেমিক কাজকর্মে বিশেষ উৎসাহী হন না, কিন্তু ইন্দিরা শুধু ব্যক্তিগত কারণে
নয়, ত্রিশের দশকের ইউরোপ নিয়ে কাজ করছি জেনে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।‘’ সনিয়া গাঁধির
বলয়ে কাজ করতেন এবং এখনও কাজ করেন এমন কতজন অ্যাকাডেমিশিয়ান আছেন? উত্তর আমাদের
খুঁজে নিতে হবে। তাঁর ৭১ বছরের জন্মদিনে আমাদের শুভেছা রইল। এই লেখায় আমি তাঁকে
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
No comments:
Post a Comment