উনবিংশ শতাব্দীর
নাগরিক মূল্যবোধের
আজও প্রয়োজন
রয়েছে:
গুজরাট বিধান সভা
ভোটে মাত্র ৭ ভোটে জিতে বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আরও জোড় দিতে
চাইছে। সংবাদ মাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি একটি গণতান্ত্রিক দেশের
বৃহত্তম দল। দলটি উন্নয়ন এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের ককটেল বানিয়ে দেশের মাটিতে
রাজনীতি করে। কংগ্রেস বামপন্থী সহ বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির বক্তব্য বা অভিযোগ আমরা
যাই বলি। দাও ফিরে সে হিন্দুত্ব। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সঙ্ঘ পরিবারের শাখা
সংগঠনগুলিকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে সংগঠিত করতে চাইছে বিজেপি। রামমন্দির
নির্মাণের ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী নেওয়ার জন্য আরএসএস প্রধান
মোহন ভাগবতের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সহ একগুচ্ছ বিজেপি নেতা বৈঠক করবেন। সংবাদ
মাধ্যম সূত্রে আরও খবর বিজেপি নাকি বলছে, ‘’হিন্দুত্ব আমাদের কোর ইস্যু। বিকাশ-উন্নয়ন
করতে হবে। কিন্তু ওটা ভোটের প্রচারের প্রধান অস্ত্র হয় না।‘’
বিজেপির এই চেনা অস্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহল আছে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ
শক্তিগুলি। সম্প্রতি সমাজ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পাশে আছি’ নামের উদ্যোগে
কলকাতায় অনুষ্ঠিত হল ‘রোকেয়া উৎসব’। বিধান
নগরের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ঐকতান সভাগৃহে ১৮ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠান
হয়। সাহিত্যিক দেবেশ রায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেই আমাদের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন
উনবিংশ শতাব্দীর অবিভক্ত বাংলার মনীষীদের ভূমিকা। তাঁর কথায় বিদ্যাসাগরের মতো বেগম
রোকেয়াও ভারতীয় নারীর মুক্তি আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। শব্দটা দেবেশবাবু
ব্যবহার করছেন ‘ভারতীয় নারী’-এর প্রসঙ্গে। ভারতীয় নারী মুক্তির কথা তিনি উল্লেখ
করছেন। মুসলিম নারী মুক্তির কথা তিনি বলছেন না। দেবেশবাবুর কথায় রোকেয়া বেগম
মুসলমান নারীদের শিক্ষার জন্য তাঁর সমস্ত উৎসাহ, উদ্যোগ, অর্থ দান করে গিয়েছেন।
তিনি প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি কিন্তু আমরা তাঁকে স্মরণ করি না। ১৮৫৬ সালের যে
আন্দোলন সেই আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বেগম রোকেয়ার। বিধবা বিবাহ
আন্দোলন তখনকার দিনে করা সহজ ছিল না। শাস্ত্রের সব অনুশাসন না মানা মানে বিদ্রোহ করা নয় বলছেন প্রবীণ সাহিত্যিক।
দেবেশবাবু আরও বলছেন, বেগম রোকেয়াকে সংকীর্ণ জায়গায় রাখবেন না। তিনি একজন মহৎ
ভারতীয়। তাঁর আন্দোলন উনিশ শতকের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। উনিশ শতকের আন্দোলনের
রেনেসাঁ আন্দোলনের সঙ্গেই তাঁর নাম উচ্চারণ হওয়া উচিত।‘’
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘’হিন্দু ধর্মের মধ্যে অনেক স্ববিরোধ আছে।
উনবিংশ শতাব্দীতে আন্দোলনের কথা আপনারা শুনলেন। সত্যি সত্যি দেশভাগের আগে
মুসলমানরা সমাজের জন্য যে কাজ করেছেন সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। শুধুমাত্র
অবিভক্ত বাংলায় নয়। দেশভাগের পরেও এই বাংলায় সামাজিক উন্নয়নে মুসলমানরা অনেক কাজ
করেছেন।‘’ আনন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত কবি সুধীর দত্ত সোচ্চারে প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, ‘’রোকেয়া
জানি। কিন্তু খুব কম জানি। কেন আমরা কম জানি? এই বাংলার বুদ্ধীজীবীদের দেউলিয়াপনা
নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।‘’ কবি সৈয়দ হাসমত জালাল আমাদের মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না।
তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রথমেই উল্লেখ করলেন, ১৩৭ বছর আগে যে নারীর জন্ম, তিনি
অবিভক্ত ভারতে একটি প্রবল পর্দানশীন রক্ষণশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন। হাসমত জালাল
বলেন, ‘’সে যুগে নারীশিক্ষার কোনও সহজলভ্য সুযোগ ছিল না। তবু রোকেয়া সমস্ত বাঁধা
অতিক্রম করে তাঁর দাদার কাছে হ্যারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করেছেন। পরে সেই আলো
বিচ্ছুরিত করেছেন ভারতীয় নারীমুক্তি আন্দোলনের মাঠে ময়দানে। তাঁর আবেদন ভোলার নয়।
সামাজিক আন্দোলনের তিনি পথিকৃৎ। উনবিংশ শতাব্দীর রেনেসাঁর সঙ্গেই রোকেয়ার
আন্দোলনের যোগ।
তিন তালাক প্রসঙ্গে বলেন অধ্যাপক আফ্রোজা খাতুন। আফ্রোজা বলেন, ‘’তালাক
বিষয়টা জন্মসূত্রে মুসলিম পুরুষদের। ১৯০২ সালে রোকেয়ার লেখা উপন্যাস ‘পদ্মরাগ’।
১৯২৪ সালে প্রকাশ হয়। তালাক নিয়ে আমরা যে আন্দোলন করছি সেটা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে
নয়। পদ্মরাগ উপন্যাসটা পড়লে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারব। এই আন্দোলন মৌলবাদীদের
বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়। পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন।‘’
দেশপ্রেমিক রোকেয়া বিষয়ে বলেন, শিক্ষাবিদ এবং লেখিকা মীরাতুন নাহার।
ব্যক্তি মীরাতুন নাহার সম্পর্কে বাংলার
মানুষের কাছে নতুন করে বলার নেই। ধর্মনিরপেক্ষতার উজ্জ্বল উদাহারণ তিনি। এই বাংলার মানুষের কাছে যে কোনও বিপদে অন্যতম সহায় এবং আশ্রয়ের নাম
মীরাতুন নাহার। তিনি এদিন বলেন, ‘’ বেগম শব্দটা রোকেয়া পছন্দ করতেন না। কেন এই
শব্দটা জড়ীয়ে গেল তাঁর নামের সঙ্গে সেটা সময়ের অভাবে এখন বলছি না। প্রধান ভুল
আন্তর্জাতিক স্তরে চলে গেছে। তাঁর জীবনের কাজ ছিল সৃষ্টিশীল লেখা এবং সমাজসেবা।
কেউ কেউ বলে থাকে রোকেয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন সবটাই মুসলিম মহিলাদের জন্য। আমি
বলব এটা ভুল ধারণা। রামমোহন বিদ্যাসাগর উত্তর সমাজে রোকেয়া আলো দেখিয়েছিলেন। সমাজ
সংস্কারক হিসাবে। সেই আলো সমস্ত মানবজাতির জন্য ছিল। পুরুষের পাশাপাশি, রামমোহন বিদ্যাসাগরের
পাশাপাশি আমাদের দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।‘’
মীরাতুন নাহার আরও বলেন, ‘’মাত্র ২৮ বছর বয়সে রোকেয়া বিধবা হলেন। পরমা
সুন্দরী ছিলেন। মুসলিম পরিবারে যে নিয়ম নীতি আছে সেই অনুশাসন মেনে তিনি আবার বিয়ে
করতে পারতেন। আমরা রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিত’ উপন্যাসে এই ধরণের একটি চরিত্র পাই।
কিন্তু তিনি সে পথে গেলেন না। তিনি বর্তমান সময়ের এনজিও ( বেসরকারি সংস্থা) ধাঁচের
সংগঠন করে সমাজের কাজ করেছিলেন। পর্দা পরে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে গরিব মেয়েদের
নিজের স্কুলে নিয়ে আসতেন। ভারতীয় নারীদের স্ত্রী শিক্ষায় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে
চেয়েছিলেন বলেই রোকেয়া ‘পদ্মরাগ’ উপন্যাস লিখেছিলেন। বর্তমান সময়ের মানদণ্ডে
আমাদের দুই বাংলার মানুষের কাছে রোকেয়ার বড় বেশি করে প্রয়োজন অনুভব করি।‘’
এদিনের অনুষ্ঠানে রোকেয়া সমাজ সম্মান দেওয়া হয় ‘প্রতিবাদী নারী’ ইসরাত
জাহানকে। রোকেয়া সাহিত্য সম্মান দেওয়া হয় তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানে আমি
নিজে উপস্থিত থাকতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। রোকেয়া উৎসবের দু’দিন আগে কলকাতার ‘ইরান
সোসাইটি’ সভাঘরে আরও একটি সম্প্রতির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ১৮ ডিসেম্বরের ‘জাস্টিস
কে এম ইউসুফ মেমোরিয়াল লেকচার’ অনুষ্ঠানে আয়োজক সংস্থা ছিল ইরান সোসাইটি। এবছরের
আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘’মাইনরিটি রাইটস ইন প্রেসেন্ট ইন্ডিয়ান সিচুয়েশনঃ প্রব্লেমস,
অ্যাপ্রেহেনসিঅনস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’’ (Minority Rights in present Indian situation: Problems, Apprehensions and
Way Forward’’)। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআইএম নেতা তথা সাংসদ মহঃ সেলিম। এদিনের অনুষ্ঠানে আরও
অনেক বক্তার পাশাপাশি সভঘরের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট
জেনারেল জামীর উদ্দিন শাহ। তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
সভাঘরে আলোচনার মূল সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন জামীর উদ্দিন শাহ সাহেব। তিনি জোরের
সঙ্গে দাবি করেন, মুসলিম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিঞ্জানসম্মত আধুনিক শিক্ষায়
শিক্ষিত হতে হবে। তিনি বলেন, ‘’মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রয়োজন সেকুলার স্কুল এবং
কলেজ। ইউরোপ আমেরিকার মতো আমাদের নামী দামী স্কুলের প্রয়োজন নেই। আমরা ছেলেবেলায়
‘সেকুলার স্কুলে’ পড়েছি। সেই স্কুল কলেজে যে বন্ধুত্ব হয়েছিল সেই ‘দোস্তি’ আজও
টিকে আছে। বচপনের ‘দোস্তি’ চিরস্থায়ী হয়। জয়হিন্দ।‘’
মূল বক্তা মহঃ সেলিম শুরুটাই করলেন ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ
প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। তাঁর কথায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী ফৌজ ভারতীয় সেনাদের কাছে ঠিক
আজকের দিনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আজ ১৬ ডিসেম্বর। ভারত নামক একটা দেশ তিনটে টুকরো
হয়ে গেল। আমরা কি এটা চেয়েছিলাম? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে অর্থনৈতিক,
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। অথচ আমরা এখনও সেই সামন্তযুগের
মূল্যবোধে আটকে রয়েছি। নাগরিক মূল্যবোধের জন্য আলাদা অধিকার প্রয়োজন। সেদিনও ছিল
আজও আছে। ভারত নামক একটি দেশ বিভিন্ন ভাষা, জাতি, বর্ণ, গোষ্ঠী তারই মধ্যে বিবিধের
মাঝে মিলন মহান। আমাদের বৈচিত্রে মাঝে ঐক্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবন দর্শনে
এই মিলনের জয়গান গেয়ে গেছেন।
মহঃ সেলিম বলেন, ‘’২৫ বছর আগে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দেওয়া হল। আফগানিস্তানে
‘বামিয়ান’ মূর্তি ভাঙার পরে নরম ইসলামের জমানা শেষ হয়ে গেল। আফগানিস্তানের সমাজ
ভেঙে পড়ল। নরমপন্থী ইসলামের জায়গায় চরমপন্থী ইসলাম আফগানিস্তান দখল করল। ‘চুনৌতি’
মসজিদ-মন্দিরের নয়। নতুন ধারণা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এই ধারণায় আমাদের পিছনের
দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সমাজে ধর্ম সব সময় থাকে কিন্তু রাষ্ট্র কেন ধর্ম নিয়ে নীতি
আচরণ করবে? ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আজ নেহরুর দর্শনও আক্রান্ত। নেহরুর
অর্থনীতি, সামাজিক দর্শনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আজকের বাস্তবতায় আমরা সংখ্যালঘুরা
বলব ‘আমার সম্পত্তি লাগবে না। আমার ঘরে যেন আগুন লাগানো না হয়’।‘’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি লেখায় লিখছেন, ‘’আমাদের দেশে কল্যণশক্তি সমাজের
মধ্যে। তাহা ধর্মরুপে আমাদের সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া আছে। সেই জন্যই এতকাল
ধর্মকে সমাজকে বাঁচানোই ভারতবর্ষ একমাত্র আত্মরক্ষার উপায় বলিয়া জানিয়া আসিয়াছে। রাজত্বের
দিকে তাকায় নাই, সমাজের দিকেই দৃষ্টি রাখিয়াছে। এই জন্য সমাজের স্বাধীনতাই
যথার্থভাবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা। কারণ, মঙ্গল করিবার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা,
ধর্মরক্ষার স্বাধীনতাই স্বাধীনতা।‘’ (আত্মশক্তি, রবীন্দ্র-রচনাবলী, ৩য় খন্ড,
পৃষ্ঠাঃ ৫৫৩)
মহঃ সেলিমের মতো সিপিএম নেতা, দেবেশ রায়, সুধীর দত্ত, মীরাতুন নাহার সহ
একঝাঁক বুদ্ধিজীবী বাংলা তথা ভারতের অগ্রগতির যে ‘পরিপন্থী শক্তি’ সেই শক্তিকে
আমাদের চিনিয়ে দিতে ভিন্ন ভিন্ন মঞ্চে উপস্থিত হচ্ছেন। সময়ের দাবিতে এই প্রয়োজন
আছে। সমগ্র ভারতবাসী জানে কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের
দায়িত্ব দেশের সমস্ত স্তরের নাগরিককে মনে করিয়ে দিয়েছে। সিপিএম নেতা বি টি রণদিভে
একটি প্রবন্ধে লিখছেন, ‘’জওহরলাল নেহরুর আধুনিক ও ধর্ম-নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি
সত্বেও, গান্ধীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিই জাতীয় আন্দোলনে প্রাধান্য স্থাপন করেছিলো।
সমালোচকরা এই প্রগতি বিরোধী মানসিকতাতেই ভ্রান্তভাবে জাত-পাতগত চাপের সামনে
একমাত্র আত্মসমর্পণ ব’লে বিবেচনা করেছেন, এবং উচ্চবর্ণের জাতীয় নেতাদের জাত-পাতের
মনোভাবের ফলেই কেবল এটা গড়ে উঠেছে ব’লে মনে করেছেন। দেশীয় সামন্ততান্ত্রিক
ভূমি-সম্পর্কের কাছে আধুনিক বুদ্ধিজীবীদের মৌলিক আত্মসমর্পণই কিন্তু জাত-পাত
ব্যবস্থাকে জিইয়ে রেখেছে। আত্মগতভাবে জাত-পাত মনস্কতা যে এব্যাপারে কোনো ভূমিকা
নেয় নি তা নয়, কিন্তু অন্যান্য কৃষি-কাঠামোকে মৌলিক ভাবে মেনে নিলে সেটা নিতান্তই
অনিবার্য হয়ে পড়ে।‘’ (‘ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি’ পত্রিকায় ১৯৭৯ সালে
প্রকাশিত প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ, অনীক, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ১৯৮৬ সংখ্যা থেকে
প্রকাশিত)
No comments:
Post a Comment