প্রিয়দর্শিনী এবং ভারত
বিষয়টা যে গুরুত্ব
দাবি করে আমি তার জন্য প্রস্তুত নই। প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধির
‘প্রিয়দর্শিনী’ নাম দিয়েছিলেন স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই ওই বরেণ্য
নারীর যে ব্যপ্তি সেই ব্যপ্তি আমার মত আনপোড় ‘শ্রমজীবী সাংবাদিক’ তথা ‘ব্লগ লেখক’-এর
কাছে অনেকটাই ঔদ্ধত্য হয়ে যায়। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা যায় আমার যোগ্যতা। The WEEK পত্রিকার সম্পাদক Philip Mathew ডিসেম্বর ২১, ২০১৪ সালের সংখ্যায় সম্পাদকীয় কলামে লিখছেন, ‘’Edwin LUTYENS NEVER attended school. Rheumatic fever
had got the better of his child hood. He spent time observing construction of
houses and carpentry in the English countryside. By age 15, he began evolving
as an architect. এই প্রসঙ্গ আমার সঙ্গে তুলনায় আসে না। তবুও সত্য এতটাই দাবি করে আমি একজন
স্কুল ছুট, কলেজ ছুট, পরিবার ছুট, প্রেম ছুট, সমাজ ছুট, দল ছুট, মঞ্চ ছুৎ, মঞ্চ
অচ্ছুৎ দলিত ব্যক্তি।
আজ ৩১ অক্টোবর 16, তার
প্রয়াণ দিবস অথবা আত্মবলিদান দিবস। মনে পড়ছে ১৯৮৪ সালের ওইদিনটির কথা। ওই বছর আমি
বীরভূমে দেশের বাড়িতে ছিলাম। ২৮ অক্টোবর অথবা ২৯ অক্টোবর আমার তৎকালীন এক ঘনিষ্ঠ চিত্রকর
বন্ধু আমাদের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। পরে সেই বন্ধুটি আভিজাত্যের জঙ্গলে হারিয়ে গেছেন। আজ সম্ভবত সেই ব্যক্তিটিরও মনে
পড়বে। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সেই চিত্রকরকে কলকাতার গাড়িতে তুলে দিতে বেলা বারটার
সময় ‘নলহাটি’ স্টেশনে এসেছিলাম। গঞ্জ শহর থমথম করছে। স্টেশনে লোক নেই বললেই চলে।
স্কুল, বাজারে অঘোষিত বন্ধ। সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে আমি খবরটা রাজনৈতিক সূত্রে এবং
প্রশাসনিক সূত্রে আগেই পেয়েছিলাম। সেই চিত্রকর ব্যক্তিটিকে জানিয়েও দিয়েছিলাম।
সাবধানে এবং সতর্কভাবে কলকাতা যাওয়ার কথা বলেছিলাম।
ইন্দিরা গাঁন্ধিকে এর আগে প্রথম দেখি ষাটের দশকে। সালটা মনে নেই। আমাদের পরিবার
কংগ্রেসি হওয়ার কারণে বড়দা এবং বাবার সঙ্গে ‘নলহাটি’ স্টেশনে গিয়ে তাকে দেখি। একটি
ট্রেনের সেলুন কামরায় তিনি বসেছিলেন। খুব সম্ভবত আমাদের অঞ্চলে কংগ্রেসের বিধায়ক
ছিলেন শিরমনি প্রসাদ ভকত। আমার বয়স এতটাই কম ছিল, স্মৃতিও ঠিক ততটাই দুর্বল।
সেইজন্য ইতিহাস নাও মিলতে পারে সময়ের সঙ্গে পদচারণায়। তবে তার ব্যক্তিত্ব, হাসি,
কণ্ঠস্বর আজও স্মৃতিপটে অম্লান হয়ে আছে। শৈশবে দেখা মায়ের মুখের মত। অভিভাবকের মুখ
মনে রাখার মত। আকাশবাণীতে খবর শোনার সময় তাঁর কণ্ঠস্বর আমরা শুনতে পেতাম। সেই
কণ্ঠস্বর আজও অবচেতন মনে এসে ধাক্কা দেয়। এতটাই আত্মশক্তি ছিল সেই কণ্ঠস্বরে।
এরপর ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে ইন্দিরা গাঁন্ধির তিনটে জনসভায় গিয়েছিলাম।
খুব মনে পড়ছে শেষটা ছিল রামপুরহাট গান্ধী ময়দানে। ১৯৭৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের
আগে। এতটাই জনসমাগম হয়েছিল যে কেউ একজন দলছুট হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
আমার স্পষ্ট মনে আছে। ভিড় হবে এমনটা আগাম খবর ছিল আমাদের বাড়িতে। বাবা এবং বড়দা
সরকারি কর্মী হিসাবে মিছিলে যাবেন সেটাই বাস্তব। দুজনেই কংগ্রেস সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নের
সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ভিড়ের কারণে
আমার যাওয়ার উপর নিষেধাঞ্জা ছিল। আমি নিষেধাঞ্জা অমান্য করেই ইন্দিরা গাঁন্ধির
জনসভায় গিয়েছিলাম। যদিও বাড়ি ফিরে মৃদু ধমক খাই।
তারপর সময়ের মানদণ্ডে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৪। ইন্দিরা
গাঁন্ধী এবং রাজীব গাঁন্ধির মৃত্যু ভারতে এক অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ী এনডিএ সরকারের নেতা হিসাবে দেশের টালমাটাল
পরিস্থিতির হাল কিছুটা হলেও ধরতে পেরেছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত এবং
বর্তমান সময়ে ইন্দিরা গাঁন্ধির প্রয়োজনীয়তা দেশের আর্থসামাজিক স্বার্থেই আলোচনায়
আসা উচিত বলেই মনে হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর এ বছর দেশের প্রয়াত প্রাক্তন
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁন্ধির জন্মশতবর্ষ। আগামী ১৯ নভেম্বর দিল্লিতে প্রাক্তন
প্রধানমন্ত্রীর জন্মশতবর্ষের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। শেষ হবে আগামী বছর নভেম্বরে। এই
উপলক্ষে সারা বছর কর্মসূচি নেওয়ার জন্য এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী
প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকে
চিঠি পাঠিয়েছেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রই বদলে
ফেলতে পেরেছিলেন ইন্দিরা গাঁন্ধি। তৎকালীন জনসঙ্ঘ নেতা অটলবিহারি বাজপেয়ীও তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রীকে ‘দুর্গা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
নেহরু এবং লালনাহাদুর শাস্ত্রী পরবর্তী ভারত কেমন ছিল? ফিরে দেখা যাক এক
নজর। সমাজতত্ববিদদের বক্তব্য, ভারতে ষাটের দশকের শুরুতে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র থেকে
জাতীয় আয় ছিল ৯.৯ শতাংশ। নয়া আর্থিক নীতি যে সময় চালু হয় সে সময় যা জাতীয় আয়
উৎপন্ন হত তাতে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের অংশ ছিল ২৭.১২ শতাংশ। একটি সূত্র বলছে ‘’ব্যাঙ্ক,
বীমা, রেল, বন্দর- এসব বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য সংস্থা,
যে গুলিকে বলা হয় পাব্লিক এন্টারপ্রাইজ, ভারতে ১৯৫১ সালে তাঁদের সংখ্যা ছিল ৫টি,
এগুলিতে যা পুঁজি বিনিয়োগ করা হয় তাঁর পরিমাণ ছিল ২৯ কোটি টাকা। আশির দশকের শেষে
এগুলির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪টি; এগুলিতে নিযুক্ত পুঁজির পরিমাণ হয়ে পড়ে ৯৯,৩২৯ কোটি
টাকা।‘’
‘’...............ভারতের পক্ষে উপনিবেশ লুঠ করার সুযোগ ছিল না, বানিজ্য
পুঁজিরও বাড়বাড়ন্ত ছিলনা সে সময় যা থেকে ট্যাক্স বসিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করা
যায়। কৃষি থেকে এই আদি সঞ্চয় করা যেত— সোভিয়েত রাশিয়ার শিল্পায়ন সেভাবেই ঘটেছে।‘’
কিন্তু ভারতে কৃষিতে তার জন্য যে সংস্কার করা দরকার তার পরিকাঠামো আমাদের
দেশে ছিল না। তৎকালীন শাসকদল জাতীয় কংগ্রেসেরও ছিল না। বিষয়টি তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁন্ধির নজর এড়ায়নি। তিনি সেই মোতাবেক কাজ শুরুও করেছিলেন।
কিন্তু সামন্ত্রশ্রেণী এবং তাঁদের ফোড়ের দল কৃষিতে রাষ্ট্রীয় পুঁজির বিনিয়োগ বা
যৌথ খামার ব্যবস্থাকে সব সময় নাকচ করেছে। নাকচ করেছে কৃষিতে সমবায় ব্যবস্থারও। যার
ভয়ঙ্কর ফল ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গাঁন্ধির হত্য। ‘আইরন লেডি’ খ্যাত ভারতের
সর্বকালের সেরা মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু। ইন্দিরা গাঁন্ধির মৃত্যুর পর যে
অবাঞ্ছিত ঘটনা ভারতে ঘটেছিল সেটা আদৌ আবশ্যিক ছিল না। কংগ্রেসের সবাই এই ঘটনার
জন্য প্রস্তুতও ছিলেন বলে মনে হয় না। আমরা দেশের জন্য আত্মত্যাগের কথা বলি।
স্বাধীন ভারতে তিনটে নাম খুব এবং বারে বারে সামনে আসে। মহাত্মা গাঁন্ধি, ইন্দিরা
গাঁন্ধি এবং রাজীব গান্ধিঁ। আমরা কেন ভুলে যাব রাজনীতির জন্য আশির দশকে পাঞ্জাবের
সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরার কথা। সত্তরের দশকে এই বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে
রক্ত ঝরেছে। নব্বইয়ের দশকে বোম্বে, উত্তর প্রদেশ সহ আমাদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন
অঞ্চলের মানুষ রক্তাক্ত হয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে গুজরাটের মানুষও নিজেদের
মূল্য দিয়েই ভারতে থাকার অধিকার পেয়েছেন সম্ভবত। বর্তমান কাশ্মীরে যে ঘটনা আমরা
দেখছি। রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায়িত্ব একজন নেতা বা নেত্রীর উপর বর্তায় না। আমরা
যারা সংবেদনশীল লেখক, সাংবাদিক তাঁরা বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করতেও পারি না। আমাদের
উপর যতই আক্রমণ নেমে আসুক।
কেউ কেউ বলে ইন্দিরা গাঁন্ধি সোভিয়েত ব্লকের প্রতিনিধি ছিলেন। বামপন্থী
নেতা সন্তোষ রাণা গত শতাব্দীর আশির দশকের প্রথম দশকে একটি পত্রিকায় লিখেছিলেন
‘’১৯৬৯ সালে ভারতবর্ষের মুৎসুদ্দি বুর্জোয়া ও বড় জমিদারদের প্রধান পার্টি কংগ্রেস বিভক্ত
হলো এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোটামুটিভাবে রুশপন্থী ও মার্কিনপন্থীদের মধ্যে
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রুশপন্থীরা জিতলো।‘’
‘’.........ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ইন্দিরা গাঁন্ধি ১৩০০ কোটি টাকার অস্ত্র
চুক্তি করেছে............’’। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় ১৯৮০ সালে সারা বিশ্বে
সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছে ৫০,০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় সামরিক খাতে ব্যয়
হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। প্রতিদিন ১২২৪ কোটি টাকা।
উল্লেখিত পত্রিকার একই সংখ্যায় প্রবন্ধটির লেখক তপন রায় লিখছেন, ‘’অন্য
ধরণের কিছু উদাহারণও তোলা যায়ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহু কোটি টাকার
অস্ত্র চুক্তি, আন্তর্জাতিক অর্থতহবিল থেকে এ যাবৎ সর্ব বৃহৎ ঋণ ও তার আনুষঙ্গিক
গোপন চুক্তি, আফগানিস্তানে বারবাক কারমালের সরকারকে স্বীকৃতি দানের অস্বীকৃতি,
বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ নীতি শিথিল করা, ইত্যাদি।‘’
আলোচনার দুটি বিষয়কে আমরা আধুনিক গণতন্ত্রের টেবিলে রেখে যদি ইন্দিরা
গাঁন্ধির বিচার করি তাহলে আমরা একজন স্বয়ং সম্পূর্ণ ভারতীয় নেতা তথা অভিভাবকের
ব্যক্তিত্ব দেখতে পাব। যিনি প্রঞ্জায় স্থির অবিচল ছিলেন। তার কাছে দেশ আগে পরে দল।
বিচারের মানদণ্ড ছিল এমনটাই। খুব সম্ভবত মহাত্মা গাঁন্ধি, জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই
পটেল, আম্বেদকরদের অনুপস্থিতে ইন্দিরা গান্ধি পেয়েছিলেন ভূপেশ গুপ্ত, হীরেন মুখোপাধ্যায়,
জ্যোতির্ময় বসু সহ একাধিক দিকপাল ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য। সর্বপরি ছিল
‘শান্তিনিকেতন’-এর মূল্যবোধ।
The Telegraph পত্রিকায় রামচন্দ্র গুহ ১৪ জুলাই, ২০১২ তে লিখছেন, ‘’In my
views, the greatest Indians of the 20th century were Mahatma Gandhi, and
Rabindranath Tagore, followed, at a short distance, by a quientet whose members
were Nehru, B.R. Ambedkar, Vallabhbhai Patel, C. Rajagopalachari and Kamaladevi
Chattopadhayay. These visionaries laid the foundation of multy-party political
system, prooted linguistic and religius pluralism, fought caste and gender
hierarchies, and in other ways helped make India’s transitation to nationhood
and democracy somewhat less painful and bloody than it would otherwise have
been.
The distace between Jawaharlal Nehru and Sonia Gandhi is clossal. So is
the distance between Mahatma Gandhi and Narendra Modi. By making these points
in print I have made myself unpopular with the courtries of the Congress
president and, it now appears, with the courtiers of the Gujrat chief minister
as well.’’
ইন্দিরা গাঁন্ধির পাশ্চাত্য শিক্ষা কোন উচ্চতায় ছিল তার উদাহারণ আমরা পাই
প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী এবং সমাজবাদী কংগ্রেস নেতা এবং বর্তমান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি
শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কলমে। তাঁর রুপা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘The Dramatic Decade’ বইয়ে তিনি লিখছেন, ‘’Her visit to Wales was remarkable. At the
inauguration of a spiral steel mill owned by Swraj Paul, her emotional speech
swept the audience off its feet. Wales is the place where Aneurin Bevan had
made his historical speeches to further the cause of socialism. Bevan was a
personal friend of Pandit Jawaharlal Nehru. Against this historical backdrop,
the followers of Bevan and the daughter of Nehru made a pretty picture together
and evoked intense spells of nostalgia. Moved by her speech, a worker commented
that she was sure to win the parliamentary seat if she chose to contest from Wales.’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁন্ধির
স্বমহিমায় ফিরে আসা প্রসঙ্গে প্রণববাবু লিখেছেন, ‘’…………..But the media soon lost interest in the subject, since more
important developments were taking place in Parliament at the time.
Indira Gandhi took oath as a
member of the Lok Sabha on 20 November. Having been elected from Karnataka, she
took the oath in Kannada. Janata Party and CPI(M) members like Jyoti Basu
stated that with her ‘evil has come back to Parliament’. Other than that, most
members welcomed her warmly. But it wasn’t for long that she was an MP.’’ (Reprint
: ‘The Week’, 21 December, 2014, page- 39).
কম বেশি ১২৮ বছরের কংগ্রেস দল সময়ের সঙ্গে তাল, লয়, ছন্দ মিলিয়ে দলটির আগা
মাথা সব বদলে ফেলতে চাইছে। নতুন যুব নেতৃত্বের হাত ধরে। আধুনিকমনা প্রবীণ এবং
প্রবীণতম নেতৃত্ব এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন। কংগ্রেসের রাজ্যপাট চালানো তথা
সরকার চালানোর একটা গোপন এজেন্ডা আছে। সেই এজেন্ডা গড়ে দিয়ে গিয়েছেন জওহরলাল
নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গাঁন্ধি, রাজীব গাঁন্ধি এবং ডঃ মনমোহন সিংহ।
সকলের জন্য শিক্ষা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য, তথ্য জানার অধিকার এবং সকলের জন্য
উন্নয়ন, এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল ধারাপাত। এই ‘মন্ত্রগুপ্তি’ খুব সম্ভবত
কংগ্রেস ঘরানা বলে পরিচিত। আমাদের এই রাজ্যে সেই ঘরানার শপথ নিয়ে চলছেন তৃণমূল
কংগ্রেসের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় নিজেও।
No comments:
Post a Comment