ভারতীয় ভাষা সভ্যতা সাগরের মতো
বাঙালি সংস্কৃতি গঙ্গার অববাহিকা:
সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে আমার এক আত্মীয় ফোন করেছিল। আমি তাঁর কাছে জানতে
চাই পাহাড়ের কি অবস্থা? কবে বনধ উঠবে? স্থায়ী সমাধান কি কিছু দেখা যাচ্ছে? আত্মীয়
বন্ধুটি বলল, ‘স্থায়ী সমাধান হলেও হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের
পরে। তবে মনে হচ্ছে পাহাড়ে গোষ্ঠী রাজনীতি নতুন করে শুরু হবে। আমরা সমতলবাসী দ্রুত
পাহাড় সমস্যার সমাধান চাই। টানা বন্ধে সমতলের মানুষেরও ব্যাবসায়ী স্বার্থ এবং
সামাজিক সম্পর্কের টানাপড়েন বাড়ছে। দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে রাজ্যের যে পর্যটন
শিল্প সে সবের কি হবে জানি না। হেরিটেজ বাড়ি, বিখ্যাত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক
ক্ষতি হয়ে গেল।’ বন্ধুর আক্ষেপের সঙ্গে বহু শিল্পী, বুদ্ধিজীবীর আক্ষেপ মিলে
যাচ্ছে। কলকাতা বা দেশের অনেক খ্যাতনামা ব্যাক্তি আছেন যাঁদের শৈশব কৈশোর দার্জিলিং, কালিম্পং-এর মতো শৈল শহরের মিশনারি
স্কুল, হস্টেলে কেটেছে। তারাও আজ উদ্বিগ্ন। যেমন চলচিত্র অভিনেতা তথা পরিচালক
অঞ্জন দত্ত। তাঁর ব্যক্তি জীবনের অনেকটাই জুড়ে আছে দার্জিলিং। তাঁদের সঙ্গে আমার
বন্ধুটির কথা যেন অনেকটাই মিলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড়ের দলগুলি নিয়ে ২৯ অগস্ট নবান্নে যে বৈঠক হয়েছে সেই
বৈঠকে রাজ্য সরকার, গোর্খা জন্মুক্তি মোর্চা এবং পাহাড়ের অন্যান্য দলের আলোচনা
আমাদের আশার আলো দেখিয়েছে। পাহাড় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল বাংলা ভাষা চালু করাকে
কেন্দ্র করে। সেই আলোচনা পথ বদলে পাহাড় ‘গোর্খাল্যান্ড’-এর দাবিতে রক্তাক্ত হয়ে
উঠেছে। ৮ জুন পাহাড়ে রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক চলাকালীন পাহাড়ে গন্ডগোল শুরু হয়। যেটা
এই রাজ্যের সুশিক্ষিত সচেতন নাগরিক অতীতেও চায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতেও চায় না। ২৭ অগস্ট
রবিবার কলকাতার লেক ক্লাবে ‘ক্যালকাটা ডিবেটিং সার্কল’-এর একটি বিতর্কসভা ছিল।
সভার মত ছিল, ‘বাংলা ভাষার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে’। এই সভায় প্রবীণ কবি শঙ্খ ঘোষ
বলেন, ‘’নীচের তলায় বাংলাও গুরুত্বপূর্ণ। শহরের লেখাপড়া শেখা মানুষের দৃষ্টিতে সব
কিছু দেখা ঠিক নয়।‘’ এই কথা বলার আগে শঙ্খ ঘোষ একটি গল্প শোনান আমাদের। তিনি বলেন,
বিলেতের লেখক উইলিয়ম রাদিচে। এবং অবশ্যই তিনি বাংলাবিদ। বিলেতের ছাত্রেরা আরও ভালো
বাংলা শেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় আসতে চেয়ে লেখকের মতামত জানতে চেয়েছিল।
রাদিচে সেইসব আগ্রহী ছাত্রদের কলকাতা যেতে নিষেধ করেন। রাদিচে বলেন, ‘ভালো ইংরেজি
শিখতে হলে কলকাতায় যেতে পার! ভালো বাংলার জন্য যাবে ঢাকা।’ বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম
পথিকৃৎ এবং অভিভাবক কবি শঙ্খ ঘোষ আমাদের হাত ধরে চিনিয়ে দিলেন উচ্চ শিক্ষিত বাংলার
নাগরিক আমরা কোথায় আছি।
এই সূত্রে পাহাড়ের ইতিহাসটা আর একবার চর্বিত চর্বণ করে নেওয়া যাক। চাণক্য
নীতি সেই কথাই বলে না? ইতিহাস না জানলে একটা অঞ্চলকে আলতো করে দেখা হয়। যে কোনও
অঞ্চলের গভীরে জানতে হলে সেই অঞ্চলের ইতিহাস জানাটা অবশ্যই জরুরি।
দার্জিলিং শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষার শব্দ "দুর্জয়
লিঙ্গ" থেকে। এর অর্থ " অদম্য ক্ষমতার অধিকারী শিব, যে হিমালয় শাসন
করে"।
সিক্কিম, নেপাল, ভূটান ও ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীন ভাবে জড়িত
দার্জিলিং এর ইতিহাস । ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্য্যন্ত সিক্কিম রাজ্য দ্বারা
দার্জিলিং সংলগ্ন পাহাড়ী অঞ্চল এবং নেপাল রাজ্য দ্বারা শিলিগুড়ি সংলগ্ন তরাই
সমতল অঞ্চল শাসিত হত। ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে নেপালের গুর্খারা সমগ্র পাহাড়ী অঞ্চল
অধিকারের চেষ্টা শুরু করলে সিক্কিম রাজ্যের ছোস-র্গ্যাল তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত
হয়ে পড়েন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নেপালীরা তিস্তা নদীর তীর পর্য্যন্ত
সিক্কিম সেনাবাহিনীকে হঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এই সময় সমগ্র উত্তর সীমান্তে
নেপালীদের বিজয়যাত্রা রুখতে ব্রিটিশরা তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ১৮১৪
খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত ইঙ্গ-গুর্খা যুদ্ধের ফলে গুর্খারা পরাজিত হয়ে পরের বছর সগৌলি
চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে সিক্কিম রাজ্য থেকে অধিকৃত মেচী নদী থেকে
তিস্তা নদী পর্যন্ত সমস্ত অঞ্চল নেপালীরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সমর্পণ
করতে বাধ্য হয়। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে তিতালিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্রিটিশ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চল ছোস-র্গ্যালকে ফিরিয়ে দিয়ে সিক্কিম রাজ্যের
সার্বভৌমত্ব সুনিশ্চিত করে।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে লেপচা ও হিন্দুস্থানী
ভাষায় রচিত এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দার্জিলিং অঞ্চলের
লীজ প্রদান করা হয়।(
নেপালি ভাষা নয়)
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক প্রতিনিধিদল
নেপাল-সিক্কিম অঞ্চলের সীমান্তে তাদের যাত্রাকালে দার্জিলিং অঞ্চলে অবস্থান করার
সময় এই স্থানে ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর স্বাস্থ্য উদ্ধারকেন্দ্র নির্মাণ করার
সিদ্ধান্ত নেন।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ছোস-র্গ্যালের নিকট হতে মহানন্দা নদীর পশ্চিমাঞ্চল লীজ নেন।১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে সিক্কিম রাজ্য আর্থার ক্যাম্পবেল নামক কোম্পানির একজন আধিকারিক এবং জোসেফ ডাল্টন হুকার নামক একজন উদ্ভিদবিদ ও অভিযাত্রীকে গ্রেপ্তার করলে কোম্পানি তাঁদের মুক্ত করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠায়, যার ফলে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোম্পানি ৬৪০ বর্গমাইল (১,৭০০ কিমি২) এলাকা অধিকার করে নেয়। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভূ্টান ও ব্রিটিশরা সিঞ্চুলা চুক্তি স্বাক্ষর করলে কালিম্পং ও পাহাড়ের গিরিপথগুলির ওপর ব্রিটিশ রাজের অধিকার হয়।
ব্রিটিশ ও সিক্কিমের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিবাদের ফলে ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিস্তা নদীর পূর্ব তীরের অঞ্চলগুলি ব্রিটিশদের হস্তগত হয়। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১,২৩৪ বর্গমাইল (৩,২০০ কিমি২) ক্ষেত্রফল এলাকা নিয়ে দার্জিলিং জেলা গঠিত হয়, যা বর্তমানে একই আকারের রয়ে গেছে।
১৮৯০ গ্রীষ্মকালে সমতলভূমির প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ আধিকারিকেরা দার্জিলিংয়ের মনোরম আবহাওয়ায় বসবাস শুরু করলে দার্জিলিং একটি শৈলশহর ও স্বাস্থ্য উদ্ধারকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।
আর্থার ক্যাম্পবেল ও রবার্ট নেপিয়ার এই শৈলশহর গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টার ফলে ১৮৩৫ থেকে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পাহাড়ের ঢালে চাষাবাদ ও ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হলে দার্জিলিংয়ের জনসংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়।
১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সমতলের সঙ্গে সংযোগকারী প্রথম সড়কপথ নির্মিত হয়।
১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য অস্ত্রাগার নির্মিত হয় এবং ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে এই শহরকে পুরসভায় পরিণত করা হয়।১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাণিজ্যিক ভাবে চা চাষ শুরু হলে বেশ কিছু ব্রিটিশ চা প্রস্তুতকারক এই স্থানে বসবাস শুরু করেন। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং শহরকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী রূপে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা করা হয়। স্কটিশ ধর্মপ্রচারকরা ব্রিটিশ আধিবাসীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা শুরু করেন। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল চালু হলে শহরের উন্নয়ন আরো দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ছোস-র্গ্যালের নিকট হতে মহানন্দা নদীর পশ্চিমাঞ্চল লীজ নেন।১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে সিক্কিম রাজ্য আর্থার ক্যাম্পবেল নামক কোম্পানির একজন আধিকারিক এবং জোসেফ ডাল্টন হুকার নামক একজন উদ্ভিদবিদ ও অভিযাত্রীকে গ্রেপ্তার করলে কোম্পানি তাঁদের মুক্ত করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠায়, যার ফলে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোম্পানি ৬৪০ বর্গমাইল (১,৭০০ কিমি২) এলাকা অধিকার করে নেয়। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভূ্টান ও ব্রিটিশরা সিঞ্চুলা চুক্তি স্বাক্ষর করলে কালিম্পং ও পাহাড়ের গিরিপথগুলির ওপর ব্রিটিশ রাজের অধিকার হয়।
ব্রিটিশ ও সিক্কিমের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিবাদের ফলে ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিস্তা নদীর পূর্ব তীরের অঞ্চলগুলি ব্রিটিশদের হস্তগত হয়। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১,২৩৪ বর্গমাইল (৩,২০০ কিমি২) ক্ষেত্রফল এলাকা নিয়ে দার্জিলিং জেলা গঠিত হয়, যা বর্তমানে একই আকারের রয়ে গেছে।
১৮৯০ গ্রীষ্মকালে সমতলভূমির প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ আধিকারিকেরা দার্জিলিংয়ের মনোরম আবহাওয়ায় বসবাস শুরু করলে দার্জিলিং একটি শৈলশহর ও স্বাস্থ্য উদ্ধারকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।
আর্থার ক্যাম্পবেল ও রবার্ট নেপিয়ার এই শৈলশহর গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টার ফলে ১৮৩৫ থেকে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পাহাড়ের ঢালে চাষাবাদ ও ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হলে দার্জিলিংয়ের জনসংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়।
১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সমতলের সঙ্গে সংযোগকারী প্রথম সড়কপথ নির্মিত হয়।
১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য অস্ত্রাগার নির্মিত হয় এবং ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে এই শহরকে পুরসভায় পরিণত করা হয়।১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাণিজ্যিক ভাবে চা চাষ শুরু হলে বেশ কিছু ব্রিটিশ চা প্রস্তুতকারক এই স্থানে বসবাস শুরু করেন। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং শহরকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী রূপে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা করা হয়। স্কটিশ ধর্মপ্রচারকরা ব্রিটিশ আধিবাসীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা শুরু করেন। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল চালু হলে শহরের উন্নয়ন আরো দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়।
ব্রিটিশ শাসনকালের শুরুতে দার্জিলিংকে অর্থনৈতিক ভাবে অনুন্নত জেলা
হিসেবে গণ্য করা হত, যার ফলে ব্রিটিশ ভারতের অন্যান্য জেলাতে প্রযোজ্য আইন এই অঞ্চলে
বলবত হত না। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে এই অঞ্চলকে একটি পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা
করা হয়।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দার্জিলিং অঞ্চলের চা
বাগানগুলিতে অসহযোগ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।[
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে সশস্ত্র বিপ্লবীরা বাংলার গভর্নর স্যার জন অ্যান্ডারসনকে হত্যার চেষ্টাও করেন।
১৯৪০-এর দশকে এই জেলার চা শ্রমিকদেরকে সংগঠিত করে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে সশস্ত্র বিপ্লবীরা বাংলার গভর্নর স্যার জন অ্যান্ডারসনকে হত্যার চেষ্টাও করেন।
১৯৪০-এর দশকে এই জেলার চা শ্রমিকদেরকে সংগঠিত করে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতার পর দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং ও তরাই
অঞ্চলের কিয়দংশ নিয়ে নির্মিত দার্জিলিং জেলাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত
করা হয়। পাহাড়ে নেপালীরা প্রধান জনগোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করলেও তরাই সমতলে ভারত
ভাগের ফলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বিশাল সংখ্যক বাঙালি উদ্বাস্তুরা বসবাস শুরু
করতে শুরু করে। নেপালীদের দাবীগুলির প্রত্যুত্তরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিস্পৃহ
মনোভাবে বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে দার্জিলিংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নেপালী
ভাষার স্বীকৃতির দাবী ওঠে।
১৯৭৫খ্রিস্টাব্দে সিক্কিম নামক একটি নতুন রাজ্যের উদ্ভব হলে এবং ভারত সরকার দ্বারা নেপালী ভাষাকে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নিস্পৃহতা লক্ষ্য করে এই অঞ্চলে গোর্খাল্যান্ড নামক একটি নতুন রাজ্য তৈরীর জন্য বিংশ শতাব্দীর আশির দশক জুড়ে ব্যাপক ও হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট ও সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ নামক একটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সৃষ্টি করা হয়, যাদের ওপর এই জেলার প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া হয়।
২০০৮-০৯ সাল নাগাদ ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পৃথক রাজ্যের দাবী মেনে নিতে অস্বীকৃত হলে পুনরায় ধর্মঘট আন্দোলন শুরু হয়।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে একটি চুক্তির ফলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামক একটি নতুন স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য পরিষদ গঠন করে এই জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়। (Courtesy: Mahendra Nath Bala, Facebook)
১৯৭৫খ্রিস্টাব্দে সিক্কিম নামক একটি নতুন রাজ্যের উদ্ভব হলে এবং ভারত সরকার দ্বারা নেপালী ভাষাকে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নিস্পৃহতা লক্ষ্য করে এই অঞ্চলে গোর্খাল্যান্ড নামক একটি নতুন রাজ্য তৈরীর জন্য বিংশ শতাব্দীর আশির দশক জুড়ে ব্যাপক ও হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট ও সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ নামক একটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সৃষ্টি করা হয়, যাদের ওপর এই জেলার প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া হয়।
২০০৮-০৯ সাল নাগাদ ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পৃথক রাজ্যের দাবী মেনে নিতে অস্বীকৃত হলে পুনরায় ধর্মঘট আন্দোলন শুরু হয়।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে একটি চুক্তির ফলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামক একটি নতুন স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য পরিষদ গঠন করে এই জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়। (Courtesy: Mahendra Nath Bala, Facebook)
আন্দোলনের শুরু ‘বাংলা ভাষা’ বাধ্যতামূলক করা হবে কি হবে না এই
নিয়ে। আমাদের রাজ্যে বাংলা ভাষা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল রাজ্য
শিক্ষা দপ্তর জানিয়ে দেয়, এই বিষয়ে কোনও বিঞ্জপ্তি জারি হয়নি। বিষয়টা আলোচনার
স্তরে ছিল। রাজ্যের ভাষা বিতর্ক আজকের নয়। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতই এই বাংলার
অভিযোগ ‘হিন্দি ভাষা’ কে রাজ ভাষা করে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আগেও ছিল
বর্তমানেও আছে। বিশেষত জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি গড়ে তোলার অন্যতম রাজনৈতিক দল বিজেপির
এজেন্ডাতে আছে ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান’। বিজেপি
বিরোধী দলগুলির এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। উল্লেখিত অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা
দিলে প্রাক্তন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া
নায়ডু বলেন,
‘’Minister Venkaiah Naidu also said that it was necessary for people to
learn their mother languages as the "dominance of English medium has
shadowed their cultural heritage".
Union Minister
Venkaiah Naidu today called Hindi the "national language" earning him
a sharp rebuke from the opposition and a fact check on social media.
"Hindi is our national language, our identity and we should be proud of
it," Mr Naidu said, adding that "it's very unfortunate that we are
obsessed with English" which, according to him, was detrimental to the
nation's progress.
Opposition leaders tore through the comments, pointing out that the Indian Constitution does not mark any language as "national". Under its Article 343, Hindi and English are assigned the status of official languages.’’
Opposition leaders tore through the comments, pointing out that the Indian Constitution does not mark any language as "national". Under its Article 343, Hindi and English are assigned the status of official languages.’’
ইংরেজি
সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ২৪ জুন টুইটারে টুইট করেন,
‘’Hindi is NOT our national language.
It is India's most widely-spoken language & useful to know. But it cannot &should
not be imposed on anyone https://twitter.com/JayasreeVijayan/status/878514646231113728 …’’
ন্যাশন্যাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লা ওই একই দিনে টুইটারে
জানতে চান দেশ কবে জাতীয় ভাষা পাবে? "When did
we get a national language?"
কর্ণাটকে টিউব রেলে বিঞ্জপ্তির কারণেও ‘হিন্দি ভাষা’ নিয়ে আর একদফা
বিতর্ক হয়। কয়েকটি আঞ্চলিক দল বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রের কোয়ালিশন সরকারের উদ্যোগে
‘হিন্দি ভাষা’ চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলে তৎকালীন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী
ভেঙ্কাইয়া নায়ডু আহমেদাবাদে সাংবাদিকদের বলেন,
"It is
unfortunate that everyone is bent upon learning English because it guarantees
employment. Hence I want the nation to discuss, promote and learn our mother
languages more and at the same time learn Hindi as well," Mr Naidu told
reporters at an event in Ahmedabad.( Sources:News agency)
গত ৭২ দিন পেরিয়ে গেছে। পাহাড়ে টানা বনধ চলছে। সাধারণ মানুষ সমাধানের
রাস্তা কি হতে পারে সেই ধন্দে রয়েছে। কেউ কেউ রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার উপর ভরসা করে
রয়েছে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে। পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকে মানুষ
আজ ক্লান্ত। যে করেই হোক দুর্গা পুজোর আগে একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজে বার করতে
হবে। পাহাড়ের পর্যটন না হলে সাধারণ মানুষ কাজ হারাচ্ছে। রাজ্য সরকার এবং ভারত
সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করতে পারছি ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মার্চ মাস
পর্যন্ত বার দু’ই তিনেক ‘লেপচা’ জনজাতি গোষ্ঠীর নেতৃত্বের সঙ্গে আমার যোগাযোগ
হয়েছিল। ওই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তখন সন্তর্পণে মহাকরণে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব
ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। ২০১০ সালে আমি যে দৈনিকে চাকরি করতাম সেই
দৈনিকের জন্য সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম আমার পরিষ্কার মনে আছে। দার্জিলিং-এ লেপচা
বোর্ড গঠনের পরে একটার পর একটা বোর্ড গঠন হয়েছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন ইউপিএ সরকার এবং বর্তমান এনডিএ জোট সরকারের নির্দেশিকা
মেনেই এই সব বোর্ড গঠন করেছেন পাহাড়ের উন্নয়নকে মাথায় রেখে। যুক্তরাষ্ট্রীয়
কাঠামোয় এমনটা হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
দুর্গা পুজোর আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৯ অগস্ট, ২০১৭ রাজ্যের সদর দপ্তর নবান্নে পাহাড়ের দলগুলিকে
নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রাজ্যের প্রথম সারির বিরোধী দলগুলি
অংশগ্রহণ করেনি। এই বিষয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিপিএমের পাহাড়ের বর্ষীয়ান নেতা এবং
বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘’আমাদের মতো বামপন্থী
দলকে কি রাজ্য সরকারে কোন প্রয়োজন আছে? পাহাড়ে সমস্যা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে সিপিএম
থাকার কি প্রয়োজন? তাই না? এই বিতর্কিত সময়ে সব কথা না বলাটাই সৌজন্য হয়, তাই নয়
কি? আমাদের প্রস্তাব রাজ্য সরকার, গোর্খা জনমুক্তি এবং
কেন্দ্রের প্রতিনিধি রেখে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হোক। বর্তমানে পাহাড়ের যা অবস্থা একটা
দল আড়াআড়ি দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশদের কথা মনে পড়ছে। এরপর পাহাড়ে কি হয় সেটা
দেখার অপেক্ষায় থাকছি।‘’
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা
একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘’পাহাড়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সহ যে সব দল পাহাড়
ইস্যুর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এবং এটাই যুক্তি সঙ্গত বলে
মনে করি। ওই বৈঠক নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান হচ্ছে
গোরখাল্যান্ড ইস্যুতে যা কিছু করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে
আলোচনা করেই করতে হবে। রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে কিছু করা হবে না।‘’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে
সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘’মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পাহাড়ের
উত্তেজনাকে কমিয়ে আনা। সৌহার্দপূর্ণ আলোচনায় সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।‘’
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের
প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নান একান্ত সাক্ষাৎকারে কিছুটা উস্মা প্রকাশ করে বললেন,
‘’আমি যা বলছি সেটাই লিখবে। রাজ্য সরকারের কাছে যে ধরণের গণতান্ত্রিক সৌজন্য পাওয়া
উচিত আমরা সেটা পাই না। সেই সৌজনা এবং সম্মান না পেলে আমরা কি করে আমাদের অবস্থান
জানাব?’’ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য একান্ত সাক্ষাৎকারে
জানান, ‘’রাজ্য সরকারের ডাকা সর্ব দলীয় বৈঠকে আমাদের অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। কারণ
গোরখ্যাল্যান্ড চুক্তি নতুন ভাষায় আমাদের সরকার করেছিল। বর্তমানেও আমরা ঐক্যবদ্ধ
ভারতের কথা বলি। গোর্খা, নেপালি সহ অন্যান্য ভাই বোনেদের সঙ্গে নিয়েই অখন্ড ভারতের
কথা বলতে হবে। সেটাই আমাদের অবস্থান।‘’
তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষনেতা একান্ত
সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘’আমাদের দিদি তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য এবং
দেশের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা পাহাড়ের মানুষের ভালো হবে এই ভেবেই
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী চান পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। পাহাড়ে ব্যবসা বাণিজ্য
স্বাভাবিকভাবে হোক। জনজীবন স্বাভাবিক হোক। পর্যটন মরশুমে পাহাড়ে শান্তি ফিরুক।
পাহাড়ে শান্তির বাতাবরণ ফেরাতে রাজ্য প্রশাসন সব রকম সাহায্য করবে।‘’
উত্তর পূর্ব ভারতের গেটওয়ে হচ্ছে
শিলিগুড়ি। পাহাড়তলির মেঘেদের কোলে কোলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। কাছেই ‘চিকেন নেট’। এ
বছর ১৫ অগস্ট আমরা
ভারতের স্বাধীনতার ৭০বছর আড়ম্বরপূর্ণ মেজাজে উদযাপন করলাম। কিন্তু উত্তর পূর্ব ভারত?
উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষের শিক্ষা, গণতান্ত্রিক নাগরিক অধিকার, তাঁদের বৈচিত্রময়
সংস্কৃতির গ্রহণ বিষয়ে আমরা এই সেদিন পর্যন্ত উদাসিন ছিলাম। উত্তর ভারতের
নাগরিকদের আমাদের মতো সুশিক্ষিত নাগরিক কিছুটা নাক উঁচু করে দেখে থাকি। দীর্ঘ
দিনের বঞ্চনা ওইসব রাজ্যের নাগরিকদের ভাবেত বাধ্য করছিল ওরা ‘অন্য মানুষ’। এই
পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ নতুন নীতি
আনলেন। সেই নীতি ছিল ‘লুক ইস্ট’ পলিসি। এই নীতির পরে উত্তর পূর্ব ভারতের নাগরিক
জীবনে ‘পোষ্ট ট্রুথ’ ভারতের আলো এসে অন্ধকার থেকে মুক্তির রাস্তা বলে দিচ্ছে। ওই
সব রাজ্যের মানুষজন ‘নেশন স্টেট’ নিয়ে কি আদৌ চিন্তিত ছিলেন? ওইসব রাজ্যের
নাগরিকদের প্রতি ধারবাহিক উদাসীনতা ছিল এক অকথিত অধ্যায়। রাজনীতি আর রাষ্ট্রনীতির
অপরিনীত এক অমোঘ দর্শন ছিল কি সেটা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ
সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসির মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের কথা বলছেন। এই
কথা শুধু বললে হবে না। ভারত নামক অখন্ড এক আধুনিক রাষ্ট্রের কথা বলব। অথচ সারা
দেশের নাগরিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করব সেটা আম নাগরিকের কাছে আজও প্রশ্ন
‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিঁউ আতা হ্যায়’? উত্তর পূর্বের মানুষ ভারতে সামাজিক
অধিকার এবং নাগরিক অধিকার কবে পাবে?
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানতে পারছি সুপ্রিম
কোর্টের নয়জন বিচারপতি তাঁদের রায়ে ব্যক্তি পরিসরের অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলেছেন।
৫৪৭ পৃষ্ঠার রায় তাঁরা শেষ করেছেন ইতি পূর্বে বহুবার উচ্চারিত একটি পঙক্তি উধৃত
করে। ‘দি ওল্ড অর্ডার চেঞ্জেথ, য়িল্ডিং প্লেস টু নিউ’। বাংলায় বলা যায় পুরানো
ব্যবস্থা বদলায়, নতুনের পরিসর ছেড়ে দিতে। রবীন্দ্রনাথের গানেও আমরা পাই ‘কতবার
ভেবেছিনু আপন ভুলিয়া/ তোমার চরণে দেব হৃদয় খুলিয়া.........’’
No comments:
Post a Comment