ভাঙ্গা পাল্কীর পাঁচালী
বর্তমান সমাজে থেকেও
ব্যক্তিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে তর্পণ করার মত গঙ্গাসাগর খুঁজে পাওয়াটা হয়ত বিড়ম্বনা
হয়েই থেকে গেল। এই বিষয় নিয়ে কিছু লেখার আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করা উচিৎ। নারী
বিষয়ক বিশেষত নিপীড়িত নারীর সামাজিক বিষয়ে লিখতে চাইছি কেন? গত তিন দশকের নোনা
ঘামের স্বাদ বারে বারে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কয়েকজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি এবং তাঁদের
সম্পৃক্ত সমাজের কাছে। খুব সম্ভবত তারা অপেক্ষায় থাকে নতুন কোনও ছিদ্র পথে আঘাত
হানার। এঁদেরকেই কি বলে ‘বাঙ্গালি কাঁকড়া?’ এরাই কি সেই ‘আত্মঘাতী বাঙ্গালি’দের
প্রতিনিধি? আমার এই সব খ্যাতনামা বন্ধুরা আছেন
উত্তর দিনাজপুর জেলায়, সল্টলেক, রাজারহাট, দমদম এবং কলকাতায়। হুগলী,
মুর্শিদাবাদ (সিল্ক), মালদা (তসর) সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, ‘পারলে একবার মালদা
এসো’ বাক্য আজও ‘বিন্দুবাসিনী’ পাহাড়ের আকাশে বাতাসে গুমরে কাঁদছে। রবীন্দ্রনাথের ‘পলাতকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘নিষ্কৃতি’ কবিতায় মঞ্জুলিকা পুলিনকে
বিয়ে করে ফরাক্কাবাদ চলে গিয়েছিল। বাস্তবের এক মঞ্জুলিকা সমাজ পরিবারের
রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বারান্দার গ্রিলটা ভাঙ্গতে পারলেও মা এবং কৌশলী দাদার
হুকুমকে উপেক্ষা করতে পারেনি। তাই চোখের জলে বয়সে অনেক বড় দোজ বরকে মেনে নিতে
বাধ্য হয়েছিল। আর পাঁচজন গ্রাম বাংলার সাধারণ মেয়ের মত। যতদূর জানি ভাঙ্গা
মন নিয়ে আজও নীরবে সংসার করছে ভারতীয় নারীর আত্ম সমর্পণের সংস্কৃতি মেনে। পুলিন
সেই চোখের জল দেখেছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর জ্যোৎস্না ভেজা এক নির্মল সন্ধ্যায়। বাস্তবের
পুলিনের চামড়ায় তখনো পালিশ লাগেনি। বাস্তবের পুলিন ছিল হত দরিদ্র পরিবারের পর
উপকারি এক বুদ্ধিদীপ্ত তরতাজা যুবক। সে
তাঁর ত্যাগের ব্রত আগলে রেখে বন্ধুদের কাছে বলত ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ
চোর বটে’’। আসুন সঙ্গে আমরা বৃন্দ গান গাই, ‘’ব্যর্থ প্রেমের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে
আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো।‘’
বাস্তবের মঞ্জুলিকার নাক উঁচু, উচ্চগর্বী দাদার মত বাংলার খাপ পঞ্চায়েতের
অনেক সদস্য আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এঁরা আমার গড়ে তোলা বৃত্তে হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে ব্যক্তি
স্বার্থের প্রয়োজনে। নিজেদের পারবারিক প্রয়োজন না মিটলেই আমাকে নিয়ে টানাটানি শুরু
হয়। যখন থেকে বর্ণ হিসাবে সামাজিকভাবে ‘ব্রাহ্মণ’ হলাম, গাঁয়ের চামড়ায় নাগরিক
পালিশ লাগল, আমি হয়ে উঠলাম প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। তখন থেকে এঁরা পারিবারিক বন্ধনে
টানতে চাইল। অনেক অনেক ধন সম্পদের বিনিময়ে। মনে পড়ছে শ্রদ্ধেয় কবি সমর সেনের কথা।
তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি। ‘’......বন্ধক রেখে বিদেশে পড়তে যেতে পারব না।‘’
আমার সেইসব পরিচত
বন্ধুদের বাড়ির পাল্কী ছিল স্বর্ণ খচিত। আমি আজ ছোট্ট এক পারুল বোনের কথা দিয়ে
শুরু করি। পাল্কীর গান শুনলেও পারুল নিজে আর পাল্কীতে চড়তে পারেনি। সালটা ১৯৮৫। তপসিলি জাতির পরিবারের বড় মেয়ে। অত্যন্ত গরীব। মাটির বাড়ি।
বাবা ক্লাশ টেন পর্যন্ত পড়েছে। বাজারে সব্জি বিক্রি, কখনও ট্রেনে ডিম সেদ্ধ হকারি
করে স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে সংসার চালায়। ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো।
ফুটফুটে ফর্সা। প্রান চঞ্চল পারুল। সকলের কাছে সে পাড়ার ভালো মেয়ে। মেধাবী ছাত্রী। সে বছর পারুল ক্লাশ এইটের ছাত্রী। লাল
মোড়ামের রাস্তার ধারে মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি দেওয়া বাড়ি ওঁদের। গড় পড়তা প্রায় প্রতি মাসে ওঁদের বাড়ির সামনে দিয়ে তাসা পার্টি, ব্যান্ড পার্টির দল সানাই বাজিয়ে পাল্কীর শোভাযাত্রা করে
বর-বৌ নিয়ে যায়। সানাইয়ের আওয়াজ শুনলেই পারুল ছুটে যায়। পাড়ার অন্যান্য মা-মাসি,
দিদি-বৌদিরাও ছুটে যায় নতুন বৌয়ের মুখ দেখতে। পাল্কীর সিল্কের পর্দা টেনে সরিয়ে নতুন
বৌয়ের লাজকু মুখটা তুলে ধরে বলে, ‘’দেখি দেখি মুখটা দেখি।‘’ নিজেই ঘোমটা সরিয়ে ভিন
গাঁয়ের মেয়ে পাশের গ্রামের নতুন বৌয়ের লাজুক মুখ দেখে বলে ‘’ও গো এ যে আমার
স্কুলের বন্ধু।’’ পারুলের বয়স তখন ১৩ কি ১৪ বছর। ওই পাড়ার তপসিলি জাতির প্রথম মেয়ে। যে সাফল্যের সঙ্গে ক্লাশ
এইটে উঠেছে। বিএ পাশ করে স্কুলের মাস্টার হয়ে ছাত্র পড়ানোর স্বপ্ন ওর দু’চোখে। পারুলের একটা হাত
বাকা ছিল। বাড়ির গরু, ছাগল বিক্রি করে ওর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বড় সরকারি
হাসপাতাল থেকে ঠিক করিয়ে এনেছিলাম। পারুল আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। আত্মবিশবাস
ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু তারপর?
সালটা ১৯৮৫। রাত এগারটা
বারটা হবে। আমি আর আমার এক বন্ধু বাড়িতে ছিলাম। শুক্ল পক্ষের রাত। আমদের বাড়ির
শিউলী ফুলের গাছটার পাতা চুইয়ে চাঁদের আলোছায়া। পিয়ারা গাছে এসে বাদুড় পাকা পিয়ারা
খাচ্ছে। এক আলো আঁধারী পাতার ছায়ায় আমরা তখন বসে আছি। পারুলের বাবা হাউ হাউ করে
কাঁদতে কাঁদতে এসে বলল, ‘ভাই পারুল কে কোথাও খুঁজে পেছি না। বিকাল বেলায় খানিক
বাজার থেকি আসছি বুলে চলি গ্যালে। তারপর আর খুঁজে পেছি না ভাই।’’
পারুলকে আমরা খুঁজে
পেলাম পরের দিন সকালে পাঁচ কিলোমিটার দূরে রেল লাইনের ধারে। মৃত অবস্থায়। কেন
পারুল মারা গেল? আমরা জানলেও বলা যাবে না। আমার ছোট্ট প্রাণ চঞ্চল ছটফটে বোনের
সমাধিতে সাদা ফুল রেখে শপথ করেছিলাম। আমি কাউকে কিছু বলব না বোন। পারুলের মত কত শত
মেয়ে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাচ্ছে অজানা অচেনা নাগরিক সমাজে।
১৯৮৭ সালের কোনও দিন
হবে। তখন আমি ‘বসুমতি’ পত্রিকার ‘বিনোদন’ পাতার আবেগপ্রবণ সাংবাদিক। সম্পাদক বললেন
একটা ভালো সফট স্টোরি লিখতে। আমার স্টকে এরকম অনেক ছিল। আমি মনে মনে ভেবে নিয়ে
সটান হাজির ‘সোনাগাছি’। সেখানে এক সপ্তাহ খোঁজ করার পর সেই নারীর খোঁজ পেলাম। তিনি বাংলা সাহিত্য বা ভারতীয়
সাহিত্যের সেইসব নারীদের একজন। বাঁসলই নদীর তির তির জল ভেঙ্গে যে কাশবনের জঙ্গলে
ছুটে বেড়াত। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাড়িতে তাঁত ছিল। স্কুলে ক্লাশ এইটে
পড়ার সময় পাশের গ্রামের ধনী পরিবারের ছেলের সঙ্গে প্রেম। কলেজে পড়ার সময় প্রেমিকের
কথামত দিল্লি গিয়েছিল। আর বাড়ি ফেরা হয়নি। প্রেমিক ছেলেটি আর তাঁর দাদা
‘নিষিদ্ধপল্লী’র অন্ধকার ঘরে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিল। তারপর কেটে গেছে ২০-২৫ বছর।
তাঁর জীবনের রোজগারের সমস্ত অর্থ গ্রামের দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের পড়ার জন্য তিনি
গোপনে নিজের গ্রাম এবং আশপাশের গ্রামে পাঠাতেন। আমার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছিলেন
একটা শর্তে, তাঁর জীবন নিয়ে কোনদিন কিছু
লেখা যাবে না। অত্যন্ত ব্যথায়, যন্ত্রণায় নিজের সম্পর্কে শেষ কথা বলেছিলেন, ‘’শরৎবাবুর চন্দ্রমুখী হয়েই থাকতে
চাই। আমার আসল নাম জানতে চাইবেন না।‘’ আপনার আসল নাম আমি আজও জানি না। আপনি বেঁচে আছেন
কিনা তাও জানি না। আপনি আমার প্রণাম নেবেন ‘অন্নদাদি’।
ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামে আজও নাবালিকার বিয়ে দেওয়াটা যতটা না সংস্কার তাঁর
থেকে ঢের বেশি কারণ আর্থ-সামাজিক। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়ন উত্তর আধুনিক মেয়েদের
সমাজে আমরা কতটা সচেতন? কম বয়সে মেয়েদের
বিয়ে নিয়ে বিদ্বজন সমাজ ধারাবাহিকভাবে আদৌ সোচ্চার কতটা? প্রদীপের নীচেই আলো থাকে।
বিচ্ছিন্নভাবে হলেও গ্রামের সাধারণ পরিবারের মেয়েরা নিজেরাই সচেতনভাবে এগিয়ে এসে
নিজেদের বিয়ে রুখে দিচ্ছে। সমাজপ্রভুদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে। পুরুলিয়া জেলার
কোটশিলা থানার গরয়টাঁড় গ্রাম। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত ভারতের শরৎচন্দ্র, তারাশঙ্কর,
রবি ঠাকুরের গ্রাম বাংলা। এই গ্রামেই বাড়ি রেখা কালিন্দীর। নাবালিকা বিয়ে বন্ধ
করার ‘ব্রান্ড’ অ্যাম্বাস্যাডার হিসাবেই চেনে গোটা দেশ। কয়েক বছর আগের ঘটনা। রেখা
তথাকথিত গ্রামীণ মূল্যবোধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে
নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দিয়েছিল। বলেছিল, আগে পড়াশোনা পরে বিয়ে। সময়ের সঙ্গে পা
মেলাতেই পুরুলিয়া জেলায় রেখার দেখানোর পথটাই আরও অনেকের কাছে চেনা পথ হয়েছে। একে
একে ওরাও উঠে এসেছে। বীণা কালিন্দী, সুনীতা মাহাতো, আফসানা খাতুনদের মতো গ্রাম্য
সহজ সরল কিশোরীরা।
সম্প্রতি রেখা কালিন্দী বলেছে, ‘’বিয়ের উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হওয়ার
অনেক সমস্যা রয়েছে। ব্যপারটা আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে জানি। নানা শারীরিক অসুবিধা
হয়। আমার দিদিরও কম বয়সে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর চারটে সন্তান মারা যায়। আমি খুব কাছ
থেকে এসব দেখেছি।‘’
রেখা আরও বলেছে, ‘’বাল্য বিবাহের একটা রেওয়াজ এলাকায় চিরকালই রয়েছে। অভিভাকদের
সচেতনতা তো দরকারই। তবে সবচেয়ে জরুরি মেয়েদের রুখে দাঁড়ানো।‘’
বাল্য বিবাহ বা নাবালিকা বিয়ে রুখতে না পারলে নারী এবং শিশু পাচার
সংক্রান্ত অপরাধ কমানো যাবে না। সূত্রের খবর রাজ্য সমাজ কল্যাণ দপ্তর ভালো কাজ
করছে। ইউপিএ সরকারের শিক্ষা কর্মসূচীর আলোয় সচিন তেন্ডুলকরের ‘সাপোর্ট মাই স্কুল’
প্রকল্পে দেশের বিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন কর্মসূচী নিচ্ছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারও ‘বেটি
বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পে গ্রাম শহরে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। আমাদের
নিজেদের রাজ্য, দেশের খাপ পঞ্চায়েতের কথা আমরা জানি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র
‘নেপাল’এর অবস্থা আরও ভয়াবহ।
এই শিরোনামে সম্প্রতি ‘নিউ
ইয়র্ক টাইমস’ এর সাংবাদিক Heather Barr একটি ক্ষেত্র সমীক্ষা করে
ছিলেন। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ লেখাটি ০৯/০৮/ ২০১৬ তারিখে
প্রকাশ করে।
The harm caused by child marriage is well known, but there are signs in
Nepal a growing number of children are choosing to wed as a way of coping with
dire circumstances.
“I had three
kids. Two died. Only one is alive,” Kamala Kumari Pariyar told Human Rights
Watch, sitting in the shade outside her home in Nepal’s southern Terai region.
Kamala married at age 13.
She attended
school to class three but then dropped out. “My father used to be a fisherman,”
she said. “Sometimes we had fish and sometimes we had none, so it was difficult
for me to buy notebooks and pencils. So I left school to work.”
Kamala*
began working at age 10 as a domestic servant in the home of a wealthier
family. Three years later, she had developed a chronic condition in her hands
as a result of the work, so her parents told her to leave that job.
Kamala
feared her father, who had developed a drinking problem, would send her
somewhere else to work that could be more dangerous. She saw marriage to a
childhood friend as a means of escape, and her father and brother agreed to the
match. She became pregnant almost immediately; her husband and mother-in-law
wanted her to have a child.
Kamala’s story is all too common. In Nepal, 37 percent of
girls marry before age 18, and 10 percent before they turn 15. Boys also often
marry as children in Nepal, though in smaller numbers.
Child
marriage in Nepal is driven by a many factors, but chief among them is gender
discrimination.
Girls are
seen as a burden for their families, in part because convention dictates that
girls go to live with and contribute to their husband’s family, while boys stay
with and support parents through their old age.
As a result,
girls are more likely than boys to be denied education. Girls are more likely
to be kept home to do domestic work, rather than study. As they grow up,
families may seek to unload girls through marriage.
Poverty
increases the risk. Parents who are unable to feed their children, or pay for
their education costs, may seek a husband for their daughters simply so that
the girls can eat.
In interviews for a new report, “Our Time to Sing and Play: Child Marriage in Nepal,” Human Rights Watch documented how girls are
disproportionately likely to be sent out to undertake paid labor, at ages as
young as 6. Poor girls lack access to education because they are obliged to
work instead of going to school, but also because their families cannot afford
associated costs for uniforms, pencil, notebooks, etcetera, even when tuition
is free. The government does little to ensure that children actually attend
school.
Social
pressures, include an expectation in some communities, especially traditionally
marginalized ones, that girls should marry soon after they begin menstruating,
or even before. This makes child marriage not only accepted but expected in
some communities. Lack of access to information about sexual and reproductive
health, and access to contraceptive supplies, puts children at risk of a rushed
marriage in response to, or in fear of, extramarital pregnancy. The number of
children being married off by their families is gradually falling in
Nepal. But there are signs that
a growing number of children, like Kamala, are themselves choosing child
marriage — sometimes — as a way of coping with dire circumstances.
The harm caused by child marriage is well known. Married children usually drop out of school. Married
girls often become pregnant quickly — and are expected to do so. Many suffer
serious health consequences as a result of early and closely-spaced pregnancies.
Their children also often suffer serious health consequences; infant mortality
is more prevalent in cases of early pregnancy. Research globally shows that
girls who marry younger are at greater risk of domestic violence, and many of
the girls we interviewed described violence and rape they suffered in their
marital homes.
There is a unique window of
opportunity right now to reduce child marriage in Nepal and elsewhere. Under
the new U.N. Sustainable Development
Goals, launched at the beginning of 2016,
countries around the world have pledged to end child marriage by 2030. The
issue is receiving growing attention and growing funding. The Nepal government
promised to meet the target of ending child marriage by 2030, and has started
developing a plan for reaching that goal.
But progress is much too slow. Ending child marriage will take a lot of work. It will
require the Nepal government to strengthen and enforce its own law which makes
child marriage a crime. The government will need to figure out how to keep
children in school, and end harmful child labor. Nepal’s schools should do
better at teaching children about family planning, and its government health
services need to do more to offer adolescents access to contraception.
None of this
is impossible, but none of it is easy. The government spent several years
developing a strategy on child marriage that lays out some good ideas, but it
lacks the detail needed to launch work on the ground. A detailed plan is in its
earliest stages and moving slowly.
It’s time
for a more urgent effort to end child marriage in Nepal. 2030 will be here in a
flash, and girls like Kamala have no time to wait.
*not her real name
Heather Barr is a senior researcher on women’s rights at
Human Rights Watch. She is the author of a new report on child marriage in Nepal.
এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন অমেরিকা
সহ মধ্য প্রাচ্যের যে টুকরো টুকরো ছবি আমাদের সামনে আসছে, এবং সিরিয়া ইরাকের
গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থীর যে ঢল ইউরোপে আছড়ে পড়েছে সেই উদ্বাস্তু দলেও হাজারে
হাজারে শিশু কন্যা আছে। ওঁদের আগামী ভবিষ্যতের দায়িত্ব উন্নত দুনিয়ার গণতান্ত্রিক
নেতৃত্ব তথা মানবিক সংগঠকদের নিতে হবে। এই দাবি করা আজকের বাস্তবতায় নিশ্চয়ই
অনধিকার চর্চা হবে না। সেই কথা মাথায় রেখে
‘ইউনেস্কো’ ২০৩০ সালকে সময় সীমা ধার্য করেছে। যাতে নাবালিকা বিয়ে নামক সভ্যতার এই
অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
Reading
the Past, Writing the Future
This year
marks the 50th anniversary of International Literacy Day and UNESCO is
celebrating it under the banner “Reading the Past, Writing the Future”.
International Literacy Day 2016 celebrates and honours the past five decades of
national and international engagement, efforts and progress made to increase
literacy rates around the world. It also addresses current challenges and looks
to innovative solutions to further boost literacy in the future.
Fifty
years ago, UNESCO officially proclaimed 8 September International Literacy Day
to actively mobilize the international community and to promote literacy as an
instrument to empower individuals, communities and societies.
Now
International Literacy Day is celebrated worldwide, bringing together
governments, multi- and bilateral organizations, NGOs, private sectors, communities,
teachers, learners and experts in the field. On this day also International
Literacy Prizes are awarded to people with outstanding solutions that can drive
literacy towards achieving the 2030 Education Agenda. This year the focus is on
innovation.
This is
the first year of implementation of the 2030 Agenda for Sustainable
Development. In this context the vision of literacy is aligned with lifelong
learning opportunities with special focus on youth and adults. Literacy is a
part of Sustainable Development Goal 4, which aims to “ensure inclusive and
equitable quality education and promote lifelong learning opportunities for
all”. The target is that by 2030 all youth and a substantial proportion of
adults, both men and women, achieve literacy and numeracy (SDG Target 4.6).
The
International Literacy Day will be celebrated all around the world. The main
global celebration of the day will take place at UNESCO Headquarters, Paris in
the form of a two-day conference on 8 - 9 September, the highlight of which
will be the awarding of the Literacy Prizes. At the same time the Global
Alliance for Literacy (GAL) will be launched, a new and ambitious initiative to
make all major stakeholders pull together to promote literacy as a foundation
for lifelong learning. UNESCO
No comments:
Post a Comment