Wednesday, 13 April 2016

সাধের খেয়া

সাধের খেয়া
সীমানা ভেঙ্গে দিয়ে চলে গেছে আমীন, 
তহসিলদার পাহাড়ায় ছিল।
হাতে অচেনা তমসুক, তমস্বিনী তমাল বৃক্ষের
নব পল্লবে নিরুপাখ্য লিপিকুন্ডলী।
‘এপারে তুমি রাধে ও পারে আমি’।
বাঁশ বনের শুকনো পাতায়
খস খসে আওয়াজ.........।
হিস হিস শব্দ আসে, ভেঙ্গে যায় তোমার উজ্জ্বল
স্নায়ু বন্দনার নূপুরের মায়াবী রাগ---
‘এপারে তুমি রাধে ও পারে আমি’।
পার্থিব বস্তু ছুঁয়ে দেখেছ! লজ্জাবতী গাছের
জাগ্রত স্নায়ুর সুতীব্র উচ্চারণে কেউ বলছে;
মৃত কোষকে পুরস্কৃত কোরনা।
শুকনো চোখের খস খসে আলো, 
রাষ্ট্রনেতার পায়ে ঠিকরে পড়বে না।
‘এ পারে তুমি রাঁধে ও পারে আমি’।
এবার বসন্তে পলাশ ফোটেনি,
শিমূলও ক্লান্ত মূর্ছনায় তলপেট হাতড়াচ্ছে,
ফুলরেণু আজও রসে টইটুম্বুর।
পীচ রাস্তার নীচে মাটি নয়
পাথর আছে, পীচ রাস্তার উপরে
তাপ-উত্তাপ নেই।
চল হেঁটে আসি আমরা......।
সম্মিলিত মিলন উৎসবে কৃষ্ণচূড়া,
রাধাচূড়ার পাপড়ির গালিচায়
হাটতে ‘বড়কুটুম’ লাগে তোমাকে।
‘এ পাড়ে তুমি রাঁধে ও পারে আমি’।
মাঝে বসন্ত বয়ে যায়।
এই শনিবার বারের পূজো, বাড়িতে
সত্য নারায়ণের হরির লুঠ দেব।
সোমবার সত্য পীড়ের দরগায়
ছিট কাপড়ের চাদর চাপিয়ে দিও।
‘ও পারে তুমি শ্যাম এ পারে আমি’,

মাঝে বসন্ত বয়ে যায়।   

No comments:

Post a Comment