কলকাতা তুমি তন্বী যুবতীর
নৃত্যের ছন্দে তিলে তিলে সাজছ।
সাপের মত পাকদণ্ডি...........
আকাশ দেখা কংক্রিটের উড়ান,
ছুটছে আলোর সভ্যতা------ভয়ে ভয়ে থাকি
কেন? ভয় কেন? আলোয় যে দেখা যায় নামঠিকানাহীন ভদ্রতা! ৩৬৫ গুণিতক ছয়, কত হয়? নিকষ কালো, কৃষ্ণ গহ্বর, নতুন যুগের নতুন সভ্যতা।
থুথু ছিটে আসে, 'ও মদিরা পাগল মানুষ
ওকে রেখে দাও আবাসে।' 'ফেসবুকে' এঁকে দাও ১৯-২০, ২৫-৩০, ৩০-৪০,
৫০-৫৮ বছরের নারীর যোনি।
ক্ষমাহীন ঘৃণা? নাকি সভ্যতা? মজা মজা খেলার
ঘসা মজার মৃদু মন্ত্রণা? তাই বলি এসো অন্ধকার
তোমাকে চুম্বন করি। 'সোশাল মিডিয়ায়' ওরা বলে
এই দেখ তৈলাক্ত দড়ি! আচছা পাহাড় ঠেলেই তো
আলো আসে.........আলো.........
সেদিন আধেক রাত ছিলাম কলকাতায়।
৩৬৫ গুণিতক ছয়। কত হয়? আলোক উজ্জল
এই কলকাতার দেশে?
'ডান চোখের 'ছানি'র চাদর
ফুড়ে আলোর কলকাতা দেখে এলে?
আলোক সনযাসীর বেশে?' বলল যে জন
আত্মার আত্মীয় নয়, নয় বন্ধু স্বজন।
কৃষ্ণ কালো রাতে যে প্রদীপ জ্বালে
সেও কি কূজন?
এই বাড়িতে অলক্ষ্মীর আরাধনা আজ
ঘরে ঘরে লক্ষ্মী-নারায়ণের
শুভ মহরতের সাজ।
হুতোম বলল, আজ থেকে
আমি তোমার সঙ্গে থাকব! আহা কি মজা.........
চল পাগলা মহাকরণ।
শুভ দীপাবলি
দীপেন্দু চৌধুরী, ১৪২২
No comments:
Post a Comment