মুক্ত সংস্কৃতি গঠনমূলক
সাংবাদিকতা:
দেখুন ছাগলটা কেমন হেলে দুলে হাঁটছে দেখুন! যেন
দিল্লির না না কলকাতার তুঘলকি রাস্তায় গদাই লস্করি চালে হাঁটছে। কেউ কেউ বলে বাবা
মায়ের তৃতীয় সন্তান। কে বা কারা কাগজ স্টেনসীল কেটে ছাগলটার গায়ে কালো কালিতে দেগে
দিয়েছে। লেখা আছে তৃতীয় সন্তান। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছে ওই ছাগলটাকে গোপাল ভাঁড়ের
আত্মীয় স্বজন বাজাড়ে ছেড়ে দিয়ে যায়নিতো? অনেকের বক্তব্য ছাগলটা আসলে অষ্টম সন্তান।
তবে হাসিম শেখ, রামা কৈবর্তরা জানে ছাগলটা আসলে চতুর্থ সন্তান। এই ধরণের চটুল তর্ক
বিতর্ক না থাকলে বাংলা ভাষা থাকবে কেন? বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিত মাথায় রাখলে দাদা
ঠাকুরকে বড় প্রয়োজন ছিল বাংলার। সামাজিক উচাটান বলি অথবা সমাজজীবনের টানাপড়েন। বাংলার মাটিতে আজ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার
ভীষণ প্রয়োজন। গোষ্ঠীভুক্ত সাংবাদিকতার উর্ধে উঠে উগ্র রাজনীতির মাটিকে আর প্রশমিত
করতে না দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করতে অসুবিধা কোথায়? এই লেখার নাম হওয়া উচিত
‘মুক্ত সংস্কৃতির পৃষ্ঠা খুলুন গঠনমূলক সাংবাদিকতায়’।
অতীতের পৃষ্ঠা- ২০০৭ সাল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম বিষয়কে
কেন্দ্র করে রাজ্য সরগরম। ষাট সত্তর দশকের মত আঁচ অনুভূত হচ্ছে। আমরা যারা
মহাকরণের খবরে দায়িত্বে ছিলাম তাঁদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা কমিয়ে এনে গঠনমূলক
সাংবাদিকতা কিভাবে করা যায় সেই কথা ভাবতাম। এই বছরের কোনও একটা সময় বিদেশী কোনও
বাণিজ্য প্রতিনিধিদল মহাকরণে আসবেন। সঙ্গে সেই দেশের কোনও সরকারি কর্তা। একটি
প্রথম শ্রেণির ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক আর আমি দুজনে আমাদের সংবাদ মাধ্যম থেকে
দেওয়া নোটবুকে সময় লিখছি। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কখন এসছেন।
শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন কখন এলেন। শিল্প সচিব আসার সময় এবং বিদেশী প্রতিনিধি দল
যে সময় এলেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক এবং যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন।
আমাদের দুজনের সময় লেখার বিষয়টা একটি জনপ্রিয় বাংলা খবরের (২৪ x ৭) চ্যানেলের একজন
মহিলা সাংবাদিক ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিকের কাছে জানতে চাইল, ‘’দাদা তোমরা সময় লিখছ
কেন?’’ ইংরেজি কাগজের সাংবাদিক আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বলল, ‘’দীপেন্দুকে জিগ্যেস কর।‘’
মহিলা সাংবাদিকের থেকেও আমি প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতায় শেষ বেঞ্চের ছাত্র তাই আমি
দ্বিধা করলাম। ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদকিকে বললাম, ‘’তুই বলে দে’’। আমাদের দু’জনের
মধ্যে এরকমই সম্পর্ক ছিল। পরে সেই মহিলা সাংবাদিক আমার কাছে আরও বিস্তারিত জেনে
নেয়। সেইদিন সাংবাদিক বান্ধবী আমায় বলেছিল, ‘’দীপুদা তুমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা
নিয়ে এত সংকোচ কর কেন? আমারও সাংবাদিকতায় কোনও ডিগ্রি নেই। তোমাদের মত অভিঞ্জতাও
নেই।‘’ ওর এই কথা আজও মনে রেখেছি সাংবাদিকতা মাঠ ময়দান থেকে শিখতে হয়। তবেই সম্ভবত
গঠনমূলক সাংবাদিকতার ভাষা রপ্ত করা যায়।
অতীতের পৃষ্ঠা- ২০০৮ সাল। নন্দীগ্রাম তখনও খবরের
শীরোনামে। নন্দীগ্রামে স্কুল কলেজ বন্ধ। অনেকেই ঘরছাড়া। সে বছর মাধ্যমিক
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কতজন দিতে পেরেছিল সরকারি কতৃপক্ষ বলতে পারবে। ওই বছর উত্তর কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে নন্দীগ্রাম
এবং রাজ্যের আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে সেমিনার ছিল। উল্লেখিত অনুষ্ঠানে সেদিন
অন্ধ্রপ্রদেশের কবি ভারাভারা রাও এসেছিলেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আমার উপর
দায়িত্ব পড়ল। আমি অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হওয়ার পর আমাকে আলাদা করে সাজঘরে নিয়ে
যাওয়া হল। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম নন্দীগ্রাম থেকে দুই ভাই-বোন এসছে। তাঁরা ঘর
ছাড়া। বাবা-মার সঙ্গে ক্যাম্পে আছে। মেয়েটি মাধ্যমিক দেবে ক্যাম্প থেকেই। ছেলেটি
ক্লাস নাইনের ছাত্র। চেষ্টা করলাম ওদের কষ্ট, যন্ত্রণার কথা ‘বাইটে’ তুলে আনার।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্রশ্ন কম করে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বিষয়ক ‘বাইট’ নিয়েছিলাম। এবং ওদের আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার প্রশ্ন ছিল। সচেতনভাবেই
রাজনৈতিক প্রশ্ন করিনি। রাজনৈতিক প্রশ্ন করেছিলাম কবি ভারাভারা রাওকে। ভারাভারা
রাওয়ের সাক্ষাৎকারটি ছিল ইংরেজিতে। নিয়মমত আমরা ‘ক্যাসেট’ মুখ্য প্রডিউসারের হাতে
স্ক্রিপ্ট সহ দিয়ে দিতাম। ষ্টোরি ফাইল করার প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক পরে আমার ডাক পড়ল ‘বিজনেস’ ডেস্ক থেকে। আমাদের
চ্যনেলের ‘বিজনেস’ ডেস্কের তৎকালীন এডিটর ছিলেন অভিজিৎ ঘোষাল। তিনি আমায় বললেন,
‘’দাদা এত ভালো ষ্টোরি করলে কিন্তু কিছুটা খামতি রেখে দিলে কেন?’’ আমি কিছুটা
ঘাবড়ে গেলাম। বললাম, ‘’কোন জায়গাটায় ভুল হয়েছে?’’
এডিটর বললেন, ‘’না না ভুল কিছু হয়নি। তুমি মনে হয়
দু’ই ভাই বোনকে নন্দীগ্রামের রাজনীতির ময়দানে আনতে চাওনি। তবে একটা দু’টো রাজনৈতিক
প্রশ্ন করলে ভালো করতে দাদা। ভারাভারা রাওয়ের সাক্ষাৎকার ভালো হয়েছে। আর তোমার কাছে আমি শিখলাম ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় ওদের ‘তুই’ সম্বোধন না করে ‘তুমি’
সম্বোধন করা ভালো।‘’
অতীতের পৃষ্ঠা-২০০৯ সাল। লোকসভার নির্বাচন আমাদের
টিভি চ্যানেলে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরুপ বিশ্বাসের ফোন এল। তিনি তখনও এতটা
কেউকেটা হয়ে ওঠেননি। মানে বলতে চাইছি অরুপবাবু এতটা দায়িত্ব পাননি। এই মুহূর্তে
অরুপবাবু যথেষ্ট পরিণত নেতা এবং মন্ত্রী। আমিও মনে করি রাজনীতি করতে গেলে সমালোচনা
হবে। সেদিন আমার ফোন নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি। আমাকে অনুরোধ করলেন, ‘’আগামী কাল
রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রোড শো আছে। আমরা চাইছি
আপনি কভারেজ করুন।‘’
আমি বললাম, ‘’আপনার প্রস্তাব শুনে নিজেকে গর্বিত
মনে হচ্ছে। আমি যেতেই পারি তবে আপনাকে চিফ রিপোর্টারের সঙ্গে একটু কথা বলে নিতে
হবে।‘’
উত্তরে অরুপবাবু বলেছিলেন, ‘’আগেই সেই কাজ করে
রেখেছি। অনুগ্রহ করে যদি আপনি কভারেজ করেন।‘’
পরেরদিন আমি বিকেল পৌনে পাঁচটায় লর্ডসের মোড়ে
পৌঁছে গিয়েছিলাম। সঙ্গে তৃণমূল সমর্থক ক্যামেরা পার্সন। দিদির আসার কথা পাঁচটায়।
কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা জানে দিদি আসবেন একঘন্টা পরে। সেই কারণে তখনও টিভি
চ্যানেল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার কোনও সহ নাগরিক এসে পৌঁছয়নি। আমাদের অবাক করে দিয়ে
ঠিক বিকেল পাঁচটায় এসে পৌঁছেলেন তৃণমূলনেত্রী। নিজের গাড়ি থেকে নেমে একটি ম্যটাডোর ভ্যানে উঠেই
রওনা দিলেন। আমাদের চ্যানেল আগে আসার জন্য আমরা বেশ কিছু এক্সক্লুসিভ ছবি এবং
মুহূর্ত পেলাম। দীর্ঘ দু’তিন ঘণ্টা একটানা ওই অঞ্চলের অভিজাত এলাকা, বস্তি অঞ্চল
আমরা ঘুরলাম। আমি ফিরে এসে স্ক্রিপ্টে লিখেছিলাম ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সময়কে
মূল্য দিতে শুরু করলেন। এদিনের রোডশোয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক বিকেল পাঁচটায়
লর্ডসের মোড়ে এসে পৌঁছেছেন। আলুভাতে বাঙালির নিয়ম এবং সময়কে অবঞ্জা করাটা আজ ‘মিথে
পরিণত হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত।’’
খবরের প্রয়োজনেই এই বাক্য বন্ধ আমাকে সাজাতে হয়েছিল। প্রাসঙ্গিক হবে উল্লেখ করা,
এই খবর দেখার পরে তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক এবং কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম আমাকে অনুরোধ
করেছিল ওর বিধায়ক এলাকায় দিদি চার পাঁচদিন পরে প্রচার করবেন আমি যেন ওই কভারেজটা
করেদি। যদিও ‘ববি’র আয়োজিত ওইদিনের কভারেজ আমার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন
কাজের চাপে। এবং মানসিক চাপে, কারণ তখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় পাঁচ-ছ মাসের বেতন
বকেয়া ছিল। জনান্তিকে বলে রাখি
বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম
সেন সময় এবং নিয়মের বিষয়ে আজও রাজ্যের রাজনীতিবিদ সহ সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে
উদাহরণ।
আমার মত ছা-পোষা কলমচির ‘ফকিরের ঝোলায়’ কত আর
থাকবে? যাদের অভিঞ্জতা বেশি তাঁরা আরও বেশি বেশি বলতে পারবেন। তিনটে তিন রকমের
উদাহরণ টেনে আনার কারণ কলকাতায় তথা এই রাজ্যে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা আজও ছাগলের
তৃতীয় সন্তান? আক্ষেপ করেন অনেক প্রবীণ সাংবাদিক। যে কোনও কারণে হোক কলকাতা প্রেস
ক্লাবে গত দু’ই দশক সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য গঠনমূলক কোনও বিনোদন বা
শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল না। যেটুকু হত সেসব নম নম করে নিয়ম রক্ষার
অনুষ্ঠান। সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের গান এবং সুতপা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা পাঠে সপরিবার উপস্থিত থাকতে পেরে কলকাতার প্রেসক্লাবকে নতুন
মাত্রায় পাওয়া গেল। ১৪ মে বৈশাখ মাসের শেষ প্রহরে ঘুমিয়ে থাকা বাংলা তথা ভারতীয়
চেতনাকে জাগিয়ে দিলেন সেদিন দুই শিল্পী। বাড়তি মাত্রা ছিল বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের
এক প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ। দুই বাংলার মিলনে সেদিন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শঙ্খ ঘোষ
আমাদের হাত ধরে পাশের বাড়ি চিনিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি
সফিকুল রহমান সেদিন বলেন, ‘’আমরা আজ গর্বিত কলকাতা প্রেসক্লাব আমাদের এই অনুষ্ঠানে
আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই বাংলার সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা না থাকলে আমরা
আজকের বাংলাদেশ গড়তে পারতাম না।‘’
খুব অবাক হয়েই বলতে হয় জানেন? বাচিক শিল্পী সুতপা
বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত দু’জনেই আবেগ ভেঙ্গে
বেড়তে পারছিলেন না। তাঁদের দু’জনের বক্তব্য ছিল আমাদের অনেকদিনের ইচ্ছে, যদি প্রেস
ক্লাবে একটা অনুষ্ঠান করা যায়। স্বাগতালক্ষ্মী মনে করতে পারলেন খুব সম্ভবত উনত্রিশ
বছর পর তিনি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠান করছেন। এদিন ১৭ বছর পর আমি দেখা পেলাম আমার
বন্ধু অমলদা। সেই অমলদার বন্ধু দেবঞ্জন চক্রবর্তীর। দেবাঞ্জনদা এক সময় ‘দূরদর্শন
কলকাতা’ কেন্দ্রের অধিকর্তা (নিউজ) ছিলেন। আমি স্ট্রিঞ্জারের চাকরি চাইতে
গিয়েছিলাম। ওইদিন প্রেসক্লাবে দেবাঞ্জনদা ‘অ’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন হাতে ধরিয়ে
দিয়ে পড়ার জন্য বললেন। তাঁর আমলাসুলভ মেজাজে। যে মেজাজটা আমরা আশির দশক থেকে চিনি।
কফি হাউসের আড্ডায়।
‘’পেছনে পেছনে ধায় পুরোনো সময়/ ধরতে চায় পিষে।/
ভুলে গেছি দেখানোর সব অভিরুচি।/ নেমে আসি পথের ধুলোয়, দেখি/ এখনও প্রতীক্ষা নিয়ে
বসে আছে অবহেলাভরে ফেলে-যাওয়া/ অবসাদে ঘেরা ওই মুচি।‘’ (বর্তমান, শঙ্খ ঘোষ)
আমরা ছাপোষা সাংবাদিকরা আশা করব আগামীদিনে
নিয়মিতভাবে বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, বড়দিন, ইদ, শুভ বিজয়া এবং বৌদ্ধ জয়ন্তিতে
এই ধরণের অনুষ্ঠান হবে। বাংলার আকাশে অনেক তারা প্রজ্বলিত হোক।
ভারতের মত বৃহত্তর গণতন্ত্রে গোষ্ঠী রাজনীতির
উর্ধে উঠে গঠনমূলক সাংবাদিকতার পৃষ্ঠা খুলতে গেলে মুক্ত সংস্কৃতির চর্চা আমাদের
করতেই হবে। ‘আয়ারাম গয়ারাম’ রাজনীতির যেমন কোনও ভবিষ্যৎ থাকে না। উল্টোদিকে বলা
যায় ‘আয়ারাম গয়ারাম’ সাংবাদিকের বর্তমান থাকে না। খুব সম্ভবত এই কথা মাথায় রেখেই
কি আমরা পেলাম একদিনের ‘ডিজিটাল সাংবাদিকতা’-এর কর্মশালা? ২০ মে ‘প্রেসক্লাব
কলকাতা’ এবং ‘পাব্লিক রিলেশনস সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’ কলকাতা চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্যোগে
হল এই কর্মশালা। এবং অবশেষে কলকাতার সাংবাদিকরা এই সেদিন পেল ‘মাঠে ময়দানে’ কাজ
করার জন্য ‘প্রেস’ নামাঙ্কিত হলুদ জ্যাকেট। তবুও কি রাজনীতির দাদা এবং পুলিশের
লাথি-লাঠি থেকে আমরা বাঁচব? অনিশ্চিত সামাজিক পেশাজীবীর দল? পাঠক আপনারা কি
বলেন? মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে
ধন্যবাদ। বাংলার সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকরাই পারে মুক্ত সংস্কৃতির প্রচার এবং
প্রসার করতে। তাঁদের পাশে থাকুন। আপনার দলের সমর্থক সাংবাদিক এবং আপনার বিরোধী
দলের সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কর্মজীবনের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে পারেন
আপনিই।
No comments:
Post a Comment