চিনব বললেই কি?
পা টেনে টেনে যাব বললেই কি যাওয়া যায়?
চিনব বললেই কি চিনে চিনে চলা যায়?
সাদা আতপ চাল আর ঘি দিয়ে ভাত
যেদিন প্রথম খেলাম। নিয়ামিষ তরকারি ছিল,
সুস্বাদু যেন স্বর্গের অমৃত। ‘কিরে আর এক গ্রাস
দিমু?’
সাদা থান পড়ে দিদিমার প্রশ্ন এবং প্রশ্রয়!
সাদা থান কাপড়, সাদা আতপ চালের ভাত,
নিরামিষ তরকারি। সাদা সিঁথি। ধব ধবে সাদা শনের মত
একমাথা চুল ছিল আমার দিদিমার।
জানতাম দাদু স্বর্গের অমৃত সফরে গেছেন।
কুচ কুচে কালো বেড়ালটাও বসে থাকত।
হেথায় আরও একজন ছিলেন কালো চুল, সাদা থান, সাদা
সিঁথি
আমার মাসিমা। বাল বিধবা ছিলেন তিনি।
শেষ বসন্তে এবং গ্রীষ্মের প্রথম প্রহরে ‘কাসুন্দি’
তৈরি হবে। দিদিমা, এবং নোয়া মাসি ফ্যাকাসে চোখে
‘বইয়া থাকেন’। সধবার দল আমার তিন মামিমা
স্নান করে, পুজো সেরে রোদে ভেজানো গরম জলে.........
সরষে বাটা গুলে ‘কাসুন্দি’ করছেন।
হিন্দু ব্রাহ্মণ বাড়ির নিয়ম ঐতিহ্যের
সাতদন্ডি পৈতের উপাচার সাজিয়ে!
কালো বেড়ালটা সরষের তীব্র ঝাঁঝে
নাকের উপর শুর তুলে ঘোলাটে চোখে দূর পাশে গিয়ে
শরীর এলিয়ে দিল। আজ নিরামিষ।
আমিষ সমাজ তুমি আর কতদূরে?
No comments:
Post a Comment