এই রাজ্যে ২০১৬ সালে কংগ্রেস থেকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পাব কি আমরা? কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্নটা তুলে দেওয়া যাক। প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য? সৌমেন মিত্র? ডি পি রায়? না অধীর চৌধুরী? এদের মধ্যে থেকে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রদেশ কংগ্রেস নাকি প্রায় সাইনবোর্ডে দেখা যায়। এই পৌণপুনিক সিদ্ধান্তের পরেও রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে সি পি আই এম এবং তৃণমূল দু দলই ত্তপ্র কেন? নিবন্দধের সূচনা এইখান থেকেই হোক।
গত দুটি নিরবাচনে ভোট প্রাপ্তি কি ছিল? ২০১৪ সালের লোকসভায়; বিজেপি- ১৭%, সিপিএম- ৩৯%, তৃণমূল- ৪১%, কংগ্রেস- ১৪% । ২০১৫ সালের পুরসভায়ঃ বিজেপি- ৯% - ১০%, সিপিএম- ২৭%, তৃণমূল- ৪৯%, কংগ্রেস- ৫% ।
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক ২০১৬ সালে প্তন্ম ুখী সি পি এম দলটিকে, নতুন রাজ্য কমিটি, রাজ্য সম্পাদক কম্রেড সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে নব গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি কতটা আন্দোলনে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন? হযা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। ২০১১ সালের বিধান্সভা নিরবাচনের পরে গুটিয়ে থাকা সত, সুস্থ এবং সংগ্রামী বাম-ক্রমী, সমর্থকরা রাস্তায় নামতে পারছেন। এই মানদণ্ডে শেষতম সিদধান্ত সিঙ্গুর থেকে শাল্বনী পদযাত্রা। সিপএমের বর্তমান রাজ্য স্মপাদক্মনডলী রাজ্য স্মপাদকের নেতৃত্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৩৪ বছরের বাম জমানার শিল্পায়নের দুই মুখ কমরেড নিরুপম সেন এবং কমরেড বুদধদেব ভটটাচারজ্জ সামনে রেখে শিল্পের জন্য পদযাত্রা হল। বাম জমানার ৩৪ বছ্রে দুবার হয়েছে বলেই জানি। একবার বক্রেশবের জন্য রক্তের বিনিম্যে শিল্প। দবিতীয়বার হ্লদিয়া পেটরো কেমিকযালস্যের জন্য। এই বছরে 'বিপিএমও'য়ের নেতৃত্বে জাঠা শাল্বনী পৌছলে কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্র বৃহত শিল্পের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বৃহত শিল্পের জন্য গৃহীত নীতি যতই বিতর্কিত হোক, শিল্পায়ন রাজ্যে প্রয়োজন। 'কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিসযত'। এই শ্লোগান নিশ্চয়ই কোনও চপ্লমতি সুবিধাভোগী নেতার মাথা থেকে আসেনি। অত্যন্ত সুগভীর, নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরেই এই শ্লোগান নিরমাণ সম্ভব হয়েছিল। পাশাপাশি বর্তমান তৃণমূল সরকারও চাইছে রাজ্যে শিল্পায়ন হোক। স্রকারি দলটিও ২৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি প্রচার যাত্রা শুরু করছে। গত সাড়ে চার বছ্রে তৃণমূল সরকার যে সব উন্ন্যন্মূল্ক কাজ করেছে, সেই সব কাজের কথাই দলীয় কর্মীরা রাজ্যের ৩৪১ টি বল্কে ছড়িয়ে দেবেন। বর্তমান সরকারও শিল্পায়নের প্রয়জনে শ্লোগান তৈরি করেছেন অত্যন্ত ভেবে চিনতে। 'শিল্প আমাদের সৌরভ, কৃষি আমাদের গৌরব।' এই শ্লোগানটিতেও মুন্সিয়ানা আছে। তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখযম্নত্রীও বলছেন, 'আমরা অশান্তি চাই না। উন্নয়ন চাই'। নেত্রীর গড়ে দেওয়া নতুন বাংলায় তাঁর ক্রমীরাও এবার সিপিএমের জাঠায় কলান্ত পথিকদের তথা বাম ক্রমীদের পানীয় জল, লজেন্স, চকলেট দিয়ে বৃহত্তর গণতন্ত্রের সংস্কৃতি রচনা ক্রলেন। এখন বলাই যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবযুহের ভেত্রে প্রবেশ এবং নিরগ্মন অনায়েস গতিতে করতে পারেন।
বামেদের উপ্সথিতি ভারতে তথা আমাদের রাজ্যে অবশ্যই প্রয়োজন। দেশের ভারসাময বজায় রাখার খেত্রে গণতান্ত্রিক ভারতে বামপন্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একথা নোবেল জ্যী প্রখযাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন একাধিকবার বলেছেন। কিছুদিন আগেও তিনি আমাদের মনে ক্রিয়ে দিয়েছেন।
''Leftist thought is still very important. But Bengal once had a lot of business, when there were 18 flights a week to London, for instance. The Left definitely had a big role in ruining that business here, it must be admitted. When they decided that it must change, they were removed from government. Now they are discussing and are criticising, which is correct, but we must figure out what we must do.....Popular movements can not be built on slogans but with logic.'' ( The Telegraph, Kolkata, 31 December, 2015).
মুখবন্দধে ফিরে যাই। কেন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস থেকে? খবরে পরকাশ সিপিএমের কাছে রাজ্য
কংগ্রেস নেতৃত্ব ১০৪টি আস্ন চেয়ে রেখেছে। আর সিপিএমের জন্য ৮০টি। ফ্যসালা কততে হবে? দেবা ন জান্নতি। যত কমই হোক কংগ্রেস বেশি দাবি ক্রবেই। সেই সূত্রায়ণ ধরে মুখযম্নত্রীর দাবিদার কংগ্রেস। ন্য় কি? রাজায় রাজায় জোট বা আস্ন ভাগাভাগি। কলকাতা দপ্তরে কি করে সম্ভব? দিল্লির ম্নত্রক সিদ্ধান্ত নেবে। অতএব হাইকমান্ড।
আর সিপিএমে? এক, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না যেতে গত পারটি কংগ্রেসের কট্টর অবস্থান। তথা মতাদ্রশগত বিশাল পারথকয। দুই, কেরল এবং ত্রিপুরার ধারাবাহিক সমাজ এবং সংসদীয় গণতান্ত্রীক রাজনীতির নিজ নিজ সমীকরণ রয়েছে।
আমাদের রাজ্য কতটা পিছিয়ে রয়েছে সেটা শিক্ষার হার বিচার করলেই বোঝা সম্ভব। ২০১১ সালের জনগননার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১১ বছর এবং তার উরদ্ধে সাখস্রদের মধ্যে ২৭ শ্তাংশের প্রাথমিক শিক্ষা হয়নি। এই দায় শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের নয়। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারও দায় অসবীকার করতে পারে না। বিষয়টা চাপান উত্রের বিষয় নয়। এই প্রিস্থিতিতে এই রাজ্যে কোনও জোট গড়ে তোলার আগে অনেক অনেক বেশি ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন। একান্তভাবে যদি বৃহত্তর স্বার্থে কংগ্রেস হাই কমান্ড 'সিস্টার সংগঠন' তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার পরামর্শ দেয়, তাহ্লে এই 'জোট' পুরো মেয়াদ অরথাত ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন এবং মানুষের স্বার্থে থাকা উচিত। দ্বিতীয় ম্নত্রীসভায় কংগ্রেসের ঝক ঝকে কিছু তরুণ থাকা বাঞ্ছনীয়। ২০১১ সালের মানদণ্ডে মাত্র কয়েক মাসের জন্য 'বিড়াল মেসো'র সিদ্ধান্ত নিলাম সেটা একধ্রনের অপ্রিন্ত ক্লাব সচিবের সিদ্ধানত হয়ে যেতে পারে। এবং এটাও ঠিক এই রাজ্যে কংগ্রেসের সুযোগ থাকলে স্থায়ী স্রকারে স্মমানের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ সরকারে থাকলে প্নচায়েতস্তর পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পে অংশ নেওয়া সম্ভব। গ্রামস্ত্রে দল্কে সংগঠিত করতে গেলে কংগ্রেস আম্লে গড়ে ওঠা ত্রিস্ত্রীয় প্নচায়েত বযবস্থাকে ঠিকমত প্রিচালনা করা উচিত নয় কি?
১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট ত্রিস্ত্রীয় পনচায়েত বযবস্থার কাঠামোকে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য কাজে লাআতে পারে। কিন্তু নিজেদের ভুলেই সেই ব্যবস্থা সুযোগমত স্বজন পোষণের মঞ্চ হয়ে ওঠে। যদিও পনচায়েত ব্যবস্থা নিয়ে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের 'মিশ্র অরথনীতি'র জনক জওহরলাল নেহ্রু কি বলেছেন দেখে নেওয়া যাক। পণ্ডিত নেহরু তাঁর 'Discovery of India' বইয়ে লিখছেন,
Jawaharlal Nehru: The Discovery of India
Chapter Six: New Problems
Village Self-Government. The Shukra Nitisara (Pages 248-250)
গত দুটি নিরবাচনে ভোট প্রাপ্তি কি ছিল? ২০১৪ সালের লোকসভায়; বিজেপি- ১৭%, সিপিএম- ৩৯%, তৃণমূল- ৪১%, কংগ্রেস- ১৪% । ২০১৫ সালের পুরসভায়ঃ বিজেপি- ৯% - ১০%, সিপিএম- ২৭%, তৃণমূল- ৪৯%, কংগ্রেস- ৫% ।
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক ২০১৬ সালে প্তন্ম ুখী সি পি এম দলটিকে, নতুন রাজ্য কমিটি, রাজ্য সম্পাদক কম্রেড সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে নব গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি কতটা আন্দোলনে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন? হযা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। ২০১১ সালের বিধান্সভা নিরবাচনের পরে গুটিয়ে থাকা সত, সুস্থ এবং সংগ্রামী বাম-ক্রমী, সমর্থকরা রাস্তায় নামতে পারছেন। এই মানদণ্ডে শেষতম সিদধান্ত সিঙ্গুর থেকে শাল্বনী পদযাত্রা। সিপএমের বর্তমান রাজ্য স্মপাদক্মনডলী রাজ্য স্মপাদকের নেতৃত্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৩৪ বছরের বাম জমানার শিল্পায়নের দুই মুখ কমরেড নিরুপম সেন এবং কমরেড বুদধদেব ভটটাচারজ্জ সামনে রেখে শিল্পের জন্য পদযাত্রা হল। বাম জমানার ৩৪ বছ্রে দুবার হয়েছে বলেই জানি। একবার বক্রেশবের জন্য রক্তের বিনিম্যে শিল্প। দবিতীয়বার হ্লদিয়া পেটরো কেমিকযালস্যের জন্য। এই বছরে 'বিপিএমও'য়ের নেতৃত্বে জাঠা শাল্বনী পৌছলে কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্র বৃহত শিল্পের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বৃহত শিল্পের জন্য গৃহীত নীতি যতই বিতর্কিত হোক, শিল্পায়ন রাজ্যে প্রয়োজন। 'কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিসযত'। এই শ্লোগান নিশ্চয়ই কোনও চপ্লমতি সুবিধাভোগী নেতার মাথা থেকে আসেনি। অত্যন্ত সুগভীর, নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরেই এই শ্লোগান নিরমাণ সম্ভব হয়েছিল। পাশাপাশি বর্তমান তৃণমূল সরকারও চাইছে রাজ্যে শিল্পায়ন হোক। স্রকারি দলটিও ২৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি প্রচার যাত্রা শুরু করছে। গত সাড়ে চার বছ্রে তৃণমূল সরকার যে সব উন্ন্যন্মূল্ক কাজ করেছে, সেই সব কাজের কথাই দলীয় কর্মীরা রাজ্যের ৩৪১ টি বল্কে ছড়িয়ে দেবেন। বর্তমান সরকারও শিল্পায়নের প্রয়জনে শ্লোগান তৈরি করেছেন অত্যন্ত ভেবে চিনতে। 'শিল্প আমাদের সৌরভ, কৃষি আমাদের গৌরব।' এই শ্লোগানটিতেও মুন্সিয়ানা আছে। তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখযম্নত্রীও বলছেন, 'আমরা অশান্তি চাই না। উন্নয়ন চাই'। নেত্রীর গড়ে দেওয়া নতুন বাংলায় তাঁর ক্রমীরাও এবার সিপিএমের জাঠায় কলান্ত পথিকদের তথা বাম ক্রমীদের পানীয় জল, লজেন্স, চকলেট দিয়ে বৃহত্তর গণতন্ত্রের সংস্কৃতি রচনা ক্রলেন। এখন বলাই যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবযুহের ভেত্রে প্রবেশ এবং নিরগ্মন অনায়েস গতিতে করতে পারেন।
বামেদের উপ্সথিতি ভারতে তথা আমাদের রাজ্যে অবশ্যই প্রয়োজন। দেশের ভারসাময বজায় রাখার খেত্রে গণতান্ত্রিক ভারতে বামপন্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একথা নোবেল জ্যী প্রখযাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন একাধিকবার বলেছেন। কিছুদিন আগেও তিনি আমাদের মনে ক্রিয়ে দিয়েছেন।
''Leftist thought is still very important. But Bengal once had a lot of business, when there were 18 flights a week to London, for instance. The Left definitely had a big role in ruining that business here, it must be admitted. When they decided that it must change, they were removed from government. Now they are discussing and are criticising, which is correct, but we must figure out what we must do.....Popular movements can not be built on slogans but with logic.'' ( The Telegraph, Kolkata, 31 December, 2015).
মুখবন্দধে ফিরে যাই। কেন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস থেকে? খবরে পরকাশ সিপিএমের কাছে রাজ্য
কংগ্রেস নেতৃত্ব ১০৪টি আস্ন চেয়ে রেখেছে। আর সিপিএমের জন্য ৮০টি। ফ্যসালা কততে হবে? দেবা ন জান্নতি। যত কমই হোক কংগ্রেস বেশি দাবি ক্রবেই। সেই সূত্রায়ণ ধরে মুখযম্নত্রীর দাবিদার কংগ্রেস। ন্য় কি? রাজায় রাজায় জোট বা আস্ন ভাগাভাগি। কলকাতা দপ্তরে কি করে সম্ভব? দিল্লির ম্নত্রক সিদ্ধান্ত নেবে। অতএব হাইকমান্ড।
আর সিপিএমে? এক, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে না যেতে গত পারটি কংগ্রেসের কট্টর অবস্থান। তথা মতাদ্রশগত বিশাল পারথকয। দুই, কেরল এবং ত্রিপুরার ধারাবাহিক সমাজ এবং সংসদীয় গণতান্ত্রীক রাজনীতির নিজ নিজ সমীকরণ রয়েছে।
আমাদের রাজ্য কতটা পিছিয়ে রয়েছে সেটা শিক্ষার হার বিচার করলেই বোঝা সম্ভব। ২০১১ সালের জনগননার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১১ বছর এবং তার উরদ্ধে সাখস্রদের মধ্যে ২৭ শ্তাংশের প্রাথমিক শিক্ষা হয়নি। এই দায় শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের নয়। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারও দায় অসবীকার করতে পারে না। বিষয়টা চাপান উত্রের বিষয় নয়। এই প্রিস্থিতিতে এই রাজ্যে কোনও জোট গড়ে তোলার আগে অনেক অনেক বেশি ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন। একান্তভাবে যদি বৃহত্তর স্বার্থে কংগ্রেস হাই কমান্ড 'সিস্টার সংগঠন' তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার পরামর্শ দেয়, তাহ্লে এই 'জোট' পুরো মেয়াদ অরথাত ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন এবং মানুষের স্বার্থে থাকা উচিত। দ্বিতীয় ম্নত্রীসভায় কংগ্রেসের ঝক ঝকে কিছু তরুণ থাকা বাঞ্ছনীয়। ২০১১ সালের মানদণ্ডে মাত্র কয়েক মাসের জন্য 'বিড়াল মেসো'র সিদ্ধান্ত নিলাম সেটা একধ্রনের অপ্রিন্ত ক্লাব সচিবের সিদ্ধানত হয়ে যেতে পারে। এবং এটাও ঠিক এই রাজ্যে কংগ্রেসের সুযোগ থাকলে স্থায়ী স্রকারে স্মমানের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ সরকারে থাকলে প্নচায়েতস্তর পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পে অংশ নেওয়া সম্ভব। গ্রামস্ত্রে দল্কে সংগঠিত করতে গেলে কংগ্রেস আম্লে গড়ে ওঠা ত্রিস্ত্রীয় প্নচায়েত বযবস্থাকে ঠিকমত প্রিচালনা করা উচিত নয় কি?
১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট ত্রিস্ত্রীয় পনচায়েত বযবস্থার কাঠামোকে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য কাজে লাআতে পারে। কিন্তু নিজেদের ভুলেই সেই ব্যবস্থা সুযোগমত স্বজন পোষণের মঞ্চ হয়ে ওঠে। যদিও পনচায়েত ব্যবস্থা নিয়ে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের 'মিশ্র অরথনীতি'র জনক জওহরলাল নেহ্রু কি বলেছেন দেখে নেওয়া যাক। পণ্ডিত নেহরু তাঁর 'Discovery of India' বইয়ে লিখছেন,
Jawaharlal Nehru: The Discovery of India
Chapter Six: New Problems
Village Self-Government. The Shukra Nitisara (Pages 248-250)
There is an old book of the
tenth century which gives us some idea of Indian polity as it
was conceived prior to the Turkish and Afghan invasions. This is the Nitisara,
the Science of Polity, by Shukracharya. It deals with the organization of the
central government as well as of town and village life; of the king's council
of state and various departments of government. The village panchayat or
elected council has large powers, both executive and judicial, and its members
were treated with the greatest respect by the king's officers. Land was
distributed by this panchayat, which also collected taxes out of the produce
and paid the government's share on behalf of the village. Over a number of
these village councils there was a larger panchayat or council to supervise and
interfere if necessary.
Some old inscriptions
further tell us how the members of the village councils were elected and what
their qualifications and disqualifications were. Various committees were
formed, elected annually, and women could serve on them. In case of
misbehavior, a member could be removed. A member could be disqualified if he
failed to render accounts of public funds. An interesting rule to prevent
nepotism is mentioned: near relatives of members were not to be appointed to
public office.
These village councils were
very jealous of their liberties and it was laid down that no soldier could
enter the village unless he had a royal permit. If the people complained of an
official, the Nitisara says that the king ‘should take the side, not of his
officers, but of his subjects.' If many complained then the official was to be
dismissed, 'for who does not get intoxicated by drinking of the vanity of
office.' The king was to act in accordance with the opinion of the majority of
the people. 'Public opinion is more powerful than the king as the rope made of
many fibres is strong enough to drag a lion.' 'In making official appointments
work, character and merit are to be regarded neither caste nor family,' and
'neither through colour nor through ancestors can the spirit worthy of a
Brahmin be generated.'
In the larger towns there
were many artisans and merchants, and craft guilds, mercantile associations,
and banking corporations were formed. Each of these controlled its own domestic
affairs.
All this information is
very fragmentary but it does appear from this and many other sources that there
was a widespread system of self-government in towns and villages and the
central government seldom interfered, so long as its quota of taxes was paid.
Customary law was strong and the political or military power seldom interfered
with rights based on custom. Originally the agrarian system was based on a
co-operative or collective village. Individuals and families had certain rights
as well as certain obligations, both of which were determined and protected by
customary law.
There was no theocratic
monarchy in India. In Indian polity if the king is unjust or tyrannical, the
right to rebel against him is admitted. What the Chinese philosopher, Mencius,
said 2,000 years ago might apply to India: 'When a ruler treats his subjects
like grass and dirt, then subjects should treat him as a bandit and an enemy.'
The whole conception of monarchical power differed from that of European
feudalism, where the king had authority over all persons and things in his
domain. This authority he delegated to lords and barons who vowed allegiance to
him. Thus a hierarchy of authority was built up. Both the land and the people
connected with it belonged to the feudal lord and, through him, to the king.
This was the development of the Roman conception of dominium. In India there
was nothing of this kind. The king had the right to collect certain taxes from
the land and this revenue-collecting power was all he could delegate to others.
The peasant in India was not the lord's serf. There was plenty of land
available and there was no advantage in dispossessing the peasant. Thus in
India there was no landlord system, as known in the west, nor was the
individual peasant the full owner of his patch of land. Both these concepts
were introduced much later by the British with disastrous results.
ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬ দিল্লিতে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁনদ্ধীর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের পোড় খাওয়া নেতাদের সাত স্কালে একটি বৈঠক হবে। সেখানে বিস্তর আলোচনা হলেও সম্ভবত সেদিনই কংগ্রেস হাইকমান্ড জোটের বিষয়ে কোনও ঘোষণা করবে না। প্রদেশ নেতৃত্ব মাছের আশের গল্প সংবাদ মাধযমকে বলতে পারে। কারণ এ বছ্রে রাজ্যে প্রধান বযক্তির ভূমিকা দুর্বল হওয়ার জন্য 'শাক দিয়ে মাছ' ঢেকে রাখা সম্ভব হবে না বলেই মনে হয়। আবার 'মাসির কবে গোঁফ বেড়বে তবে মেসো বলব'। রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার বলা এই প্রবাদটি এতদিনে সবাই বুঝতে পারছেন আশা করি। দুর্নীতি, চিট ফানড, পৃথক বিষয়। উন্নয়নের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। কেন্দ্রে কংগ্রেস স্রকারে নেই। সংসদে আস্ন সংখযা ৫০ এর নীচে। তার মানে এটা নয় যে দলটির স্রব ভারতীয় প্রিচিতি লোপ পেয়েছে। এমন কোনও দুরব্লতা না দেখানোই ভালো যে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুদ্ধিহীন্তায় ভুগছে। সহ সভাপতি রাহুল গাঁধির নেতৃত্বে কংগ্রেস দলে একটি উজ্জব্ল এবং বুদধিদিপ্ত বলয় কাজ করছে। যে দলটিকে দেশ এবং বিদেশের শিল্পগোষ্ঠী বিশ্বাস ক্রছেন ও আস্থা রাখছেন। দেশের বৃহত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীও এই সংগঠিত কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বকে সমাজ নিরমিতির দায়িত্ব নিতে আহবান জানাচ্ছে। মানদণ্ড একটা থাক। সেটাও অধযাপক অমর্ত্য সেনের কাছ থেকে নিতে পারি। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় বলেছেন। ''অশিক্ষিত আর রুগ্ণ শ্রমিক দিয়ে কোনও কালেও শিল্প হবে না। সেই কারণে ভারসাম্যের এই প্রক্রিয়ায় প্রতযেকের স্কুলে যাওয়া এবং পড়াশনা নিশ্চিত করতে হবে। সবার জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য প্রিসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।''
No comments:
Post a Comment